(১৯৮-১৯৯)
ارتحل الى مذهب الشافعي يعزّر. سراجية.
অর্থ: যে ব্যক্তি (ব্যক্তিগত স্বার্থে সুযোগ সন্ধানীর মতো) নিজ মাযহাব পরিত্যাগ করে শাফিয়ী মাযহাব গ্রহণ করে সে শাস্তির উপযুক্ত। অনুরূপ ‘সিরাজিয়াহ’ কিতাবে উল্লেখ আছে। (আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানউয়ীরুল্ আবছার ফী ফিকহিল্ মাযহাবিল্ ইমাম আবী হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি: আল্লামা ফক্বীহ ইমাম মুহম্মদ আলাউদ্দীন বিন্ আলী হাছ্কাফী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১০৮৮ হিজরী অধ্যায়: হুহূদ পরিচ্ছেদ: তা’যীর ৬ষ্ঠ খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়াহ বাইরূত লিব্নান, সিরাজিয়াহ, ফতয়া বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
(১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসসমূহকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোযার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত মুবারক ও নছীহত মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
‘গরতু খাহী হাম নশীনী বা খোদা, গো নশীনী দর হুজুরে আউলিয়া’
অর্থাৎ তুমি যদি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে বসতে চাও, তাহলে হযরত আউলিয়ায়ে কিরামের দরবারে বসো।
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
‘চশমে রওশন কুঞ্জে খাকে আউলিয়া, তাববিনী এবতেদা তা এন্তেহা’
অর্থাৎ হযরত আউলিয়ায়ে কিরামের পদধুলি দ্বারা তোমার চক্ষু উজ্জল করো, তাহলে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত দেখতে পাবে। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
‘আঁ নাকে খাকরা বনজর কিমিয়া কুনন্দ, আয়া বুয়াদ কেহ গোশায়ে চশম বমাকুনন্দ’
অর্থাৎ যারা দৃষ্টি দ্বারা মাটিকে স্বর্ণ করেন, কতইনা উ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ উনার ৯ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّاۤ اَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا
অর্থ: ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সাক্ষ্যদানকারী, প্রত্যক্ষদশীর্ হিসেবে প্রেরণ করেছি।’
জানা আবশ্যক, যিনি সাক্ষ্য দিবেন উনার জন্য যেরূপ হাযির বা উপস্থিত থাকা শর্ত, তদ্রƒপ নাযির বা দেখাও শর্ত।
কাজেই, বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কুল-মাখলুক্বাতের সবকিছুই হাযির ও নাযির।
এটিই হচ্ছে বাকি অংশ পড়ুন...
সন্তানদেরকে এরূপ বিষয় শিক্ষা দিবে যাতে তাদের দ্বীনী ইলিম, নৈতিক উপদেশ লাভ হয়। পাশাপাশি দুনিয়াবী আবশ্যকীয় জ্ঞানও হাছিল হয়। ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যারা দুনিয়া ভাল বুঝে তারা সম্মানিত দ্বীনও ভালো বুঝে। ”
সন্তানরা মক্তব, মাদরাসা কিংবা বিদ্যালয় থেকে আসলে তাদেরকে কিছুক্ষণ সময় অবকাশ দিবে। সবসময় লিখা পড়ার মধ্যে মশগুল রাখলে জেহেন কমজোড় হয়ে যেতে পারে। তবে তাদেরকে কখনো বাকি অংশ পড়ুন...
(বিলাদত শরীফ ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ ১৫০ হিজরী)
সম্মানিত নামায ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত:
ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আখিরাত বা পরকালের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, তায়াল্লুক-নিসবত, কুরবত মুবারক হাছিলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন। শ্রেষ্ঠতম সুফীও তিনি ছিলেন। তিনি রিয়াজত বাকি অংশ পড়ুন...
সন্তানকে তিনটি বিষয় ভালভাবে শিক্ষা দিতে হবে (১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেকে এবং তোমাদের আহাল-ইয়ালগণকে (পরিবার-পরিজন) জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো যে জাহান্নামের ইন্ধন বা জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। ” (পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
প্রত্যেক মুসলমান পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, শিশুকাল থেকে সন্তানকে উত্তম গুণাবলী শিক্ষা দেয়া। উত্তম গুণাবলী সন্তানের স্বভাবে বদ্ধমুল করার কোশেশ করা।
শি বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:
তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, সুলত্বানুল আরিফীন, কুতুবুল আলম ঢাকা যাত্রাবাড়ি শরীফ উনার মহাসম্মানিত শাইখুল মাশায়েখ হযরত মুরশীদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হিজরী ১৩৫২ সনে (১৯৩৪ খৃ.) চাঁদপুর জেলার (বৃহত্তর কুমিল্লা) অন্তর্গত নানুপুর গ্রামে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম শাহছূফী মুহম্মদ আহমদ উল্লাহ মুনশী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও সম্মানিত মাতা উনার নাম আয়িশা খাতুন রহমতুল্লাহি আলাইহা। সম্মানিত মাতা পিতা উনারা উভয়ে অত্যন্ত পরহিজগার ও আল্লাহওয়ালা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْا إِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ
অর্থ: তোমরা খাও এবং পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না। (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
খাদ্য-দ্রব্য মহান আল্লাহ পাক উনার অন্যতম নিয়ামত। তিনি বান্দাকে তা খাওয়ার জন্য দেন। অপচয় বা নষ্ট করার জন্য নয়।
কাজেই, নিয়ামতের ক্বদর (সম্মান) করা উচিত। অসম্মান করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি অসন্তুষ্ট হন। ফলে নিয়ামত লাভে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মা বাকি অংশ পড়ুন...
তথাকথিত আহলে হাদীছ, সালাফীরা বিভিন্ন দলে ও মতবাদে বিভক্ত। তারা হক্বচ্যুত বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত সেটাও উনার বিরোধিতারই কারণে। আহলে হাদীছের তথা সালাফীদের ইমাম দাউদ গযনবী। অবশ্য তার অন্তরে ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছুটা সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ ছিল। তিনি ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম মুবারক অত্যন্ত আদব সম্মানের সাথে নিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, একদিন আমি উনার খিদমতে হাজির হলাম। ইতিমধ্যে আহলে হাদীছের ঐক্য ও সংগঠন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তিনি একপর্যায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
বুদ্ধিমত্তা
ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন প্রত্যুৎপন্নমতি। অসাধারণ উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন। যে কেউ যখনই কোন প্রশ্ন করতেন তা দুনিয়াবী হউক বা উখরোবী হউক তিনি তৎক্ষণাৎ তার জাওয়াব দিতে পারতেন। সুবহানাল্লাহ!
একদিন শহরে একটি ময়ুর চুরি হয়। ময়ূরের মালিক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন। তিনি নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে দাঁড়িয়ে বললেন, ময়ূর চোরের লজ্জা করে না যে, সে নামায পড়ে আর তার মাথায় ময়ূরের পালক বাকি অংশ পড়ুন...












