প্রথমত ‘ভিটামিন ই’ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের কোষকে মুক্ত মৌলিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া চর্মের যতেœ সহায়ক অর্থাৎ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমায়।
‘ভিটামিন ই’ হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং রক্তনালীর মধ্যে ব্লকেজ প্রতিরোধ করে, যা রক্তপ্রবাহকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।
‘ভিটামিন ই’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমত বাকি অংশ পড়ুন...
অস্টিওপোরোসিস কি?
অষ্টিওপোরোসিস হলো, হাড়ের ভঙ্গুরতা রোগ, যেখানে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায় এবং তা দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই রোগে হাড় ফাঁপা এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়, বিশেষত পিঠের কশেরুকা(spine), নিতম্ব এবং কবজির হাড় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
অস্টিওপোরোসিস কেন হয়?
বয়স বৃদ্ধির কারণে: বয়সের সাথে হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিকভাবে কমতে থাকে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: নারীদের মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের অভাব হাড় দুর্বল করতে পারে।
জেনেটিক কারণ: পরিবারে কারো অস্টিওপোরোসিস থাকলে ঝুঁকি বাকি অংশ পড়ুন...
হাড়ের ক্ষয়রোগ মানবদেহের বিভিন্ন হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর করে। শরীরে সবসময় ব্যথার অনুভূতি বাড়িয়ে স্বাভাবিক হাঁটাচলা, কাজকর্মে বিঘœ ঘটায়।
হাড় গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৪০ বছর বয়সের আগে হাড়ের বৃদ্ধি বেশি হয় আর ক্ষয় কম হয়। এরপর থেকে হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়, বৃদ্ধি কম হয়। হাড়ক্ষয় নির্ভর করে ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হাড়ের ঘনত্বের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, কোলাজেন ফাইবারের উপস্থিতি কেমন তার ওপর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ ক্ষয়জনিত সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।
কারণ:
বয়োবৃ বাকি অংশ পড়ুন...
নারীদের গড় আয়ু এখন প্রায় ৭৩ বছর। তাই কুড়িতে বুড়ি হওয়ার সময় এখন আর নেই। অনেকের মতে, জীবনের শুরু এখন চল্লিশে। এটা ঠিক যে চল্লিশ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে শরীরে কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু সে পরিবর্তন হয় প্রাকৃতিক নিয়মে। প্রাকৃতিক এ বিষয়গুলো বুঝতে পারলে চল্লিশ পরবর্তী জীবন অনেকটাই সহজ করা সম্ভব। এ জন্য জীবনে আনতে হবে ইতিবাচক পরিবর্তন। যাপনে থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর। শরীর ও মনে থাকতে হবে নির্ভার।
চল্লিশ পেরোলে শুরু হয় জীবনের আর একটি অধ্যায়। বোধবুদ্ধির স্তর বদলে যায়, বয়স বাড়ে। তবে বয়সের পরিবর্তন সবাই মানিয়ে নেন। নিতে হয়। ত্বকে কুঞ্চন, বাকি অংশ পড়ুন...
দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ নারী। যাদের মধ্যে মধ্যবয়সি নারীর সংখ্যাও কম নয়। এই বয়সে এসে তাদের ‘ মেনোপজ’ নামক শারীরিক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এ সময় দেখা দেয় বিভিন্ন মানসিক সমস্যা।
নাজমা আক্তার, বয়স ৫০ বছর। হঠাৎই লক্ষ করেন ইদানীং স্বাভাবিক মাজুরতা অনিয়মিত হচ্ছে। এ ছাড়া শারীরিক কিছু পরিবর্তনও ঘটছে। একই সঙ্গে হঠাৎ হঠাৎ প্রচন্ড গরম, আবার কখনও খুবই ক্লান্ত বোধ করছেন। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে প্রচন্ড রেগে যাচ্ছেন। এ কারণে স্বামী-সন্তানসহ পরিবারের সবার সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ছে। উদ্বিগ্ন নাজমা আক্তার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জানতে পা বাকি অংশ পড়ুন...
তুচ্ছ একটা ঘটনা, তাতেই বিগড়ে গেল মেজাজ। নিমেষেই নষ্ট হয়ে গেল আনন্দের মুহূর্তটা। হয়তো সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। ফুরফুরে মেজাজটা অমন বিগড়ে যাওয়ার পর আর ঘুরতে যাওয়াই হলো না। মেজাজের এমন রংবদল কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে অল্পতেই অভিমানের মেঘ জমা আর সামান্য বিষয়েই চোখে পানি আসা একটু বেশি বেশি ঘটে। দৃশ্যমান কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপ থাকে। অথচ তিনি নিজেই হয়তো তাঁর এমন আচরণের কারণটা উপলব্ধি করতে পারছেন না। নারী-পুরুষ যে কারও এমন হুটহাট মনমেজাজের অদলবদল ঘটতে পারে। একে মুড সুইংও বলা যায়। দীর্ঘদিন ধরে প্রচ- ম বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ববর্তী পর্বে নারীর জীবনে ৪টি রোগের প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এই পর্বে পরবর্তী ৪টি সিরিয়াস রোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
ইউরোলজিক্যাল সমস্যা :
এক্ষেত্রে নারীদের অ্যানাটমি (দৈহিক গঠনতন্ত্র) অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। নারী ও পুরুষের মূল দৈহিক গঠনতন্ত্রের পার্থক্যের জন্যেই নারীদের মাঝে ইউরিনারি ট্র্যাকশন ইনফেকশন, ইনকন্টিনেন্স, ব্লাডার লিকিংয়ের মতো সমস্যাগুলো বেশি হয়। এছাড়া সন্তান জন্মদানের প্রক্রিয়ার ফলেও ইউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।
বিষন্নতা :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্য বাকি অংশ পড়ুন...
অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় বর্তমান সময়ের একটি পরিচিত রোগ। এই রোগে অনেকেই ভোগছেন। বিশেষ করে বয়স্করা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। হাড়ক্ষয় রোগ একটি নীরব ঘাতক। হাড়ের ক্ষয়রোগ মানবদেহের বিভিন্ন হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর করে। শরীরে সবসময় ব্যথার অনুভূতি বাড়িয়ে স্বাভাবিক হাঁটাচলা, কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায়।
হাড় গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৪০ বছর বয়সের আগে হাড়ের বৃদ্ধি বেশি হয় আর ক্ষয় কম হয়। এর পর থেকে হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়, বৃদ্ধি কম হয়। হাড়ক্ষয় নির্ভর করে ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হাড়ের ঘনত্বের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, কোলাজেন ফাইবারে বাকি অংশ পড়ুন...
ডায়াবেটিস কি এবং ইহার ধরণ ?
আমরা শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় কিছু খেলে সেটা আমাদের শরীরে গিয়ে ভেঙে গ্লুকোজ হয়। রক্তে এই গ্লুকোজ বেড়ে গেলেই আমরা বলি ব্লাড সুগার বেড়ে গেছে। আমরা যে রক্ত দিয়ে ডায়াবেটিস মাপি, সেটা এই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণই মাপি।
আমরা শর্করা খেলে আমাদের বডি ইনসুলিন রিলিজ করে। ইনসুলিনের কাজ হল রক্তের গ্লুকোজ শরীরের কোষে ঢুকিয়ে দেয়া। কিন্তু এই ইনসুলিন অনেক সময় শরীরে থাকার পরও কাজ করতে পারে না। কিংবা ইনসুলিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ইনসুলিনের এই অকার্যকারিতার ফলাফলই হলো ডায়াবেটিকস।
আমরা সাধারণত চার ধরন বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে হাড়ের সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটা আরও বেড়ে যায়। হাড়ের প্রধান উপাদান হল আমিষ, কোলাজেন এবং ক্যালসিয়াম। স্বাভাবিকভাবেই, ৩০ বছর পরে হাড়ের ঘনত্ব এবং পরিমাণ হ্রাস পায়। ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে যায়।
একজন নারীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হাড়ের স্বাস্থ্য এবং অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ নারী। একজন নারীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হাড়ের স্বাস্থ্য বাকি অংশ পড়ুন...












