প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। তখন মেঘনা ও খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদীর মোহনা জনবিরল বিশাল চরাঞ্চল। তখন এখানে আগমন ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দ্বীন ইসলাম প্রচারক অনেক আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের। বলা হয়, বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার ঘটেছে এই এলাকাকে কেন্দ্র করে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি লক্ষ¥ীপুর জেলার রায়পুর পৌর শহর থেকে ৮০০-৯০০ গজ পূর্বে পীর ফয়েজ উল্লাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে দেনায়েতপুর গ্রামে অবস্থিত।
দিল্লির শাহী জামে মসজিদের হুবহু নমুনার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থ এবং মাটি থেকে ১০ ফ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দু‘আ বা মুনাজাত কবুলের সময়:
২. পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার প্রথম ১০ দিন ১০ রাত।
৩. বিশেষ করে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ৯ তারিখ। অর্থাৎ পবিত্র আরাফাহ্র দিবসে।
৪. পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে।
৫. পবিত্র জুমুআহ বার দিনে ও রাতে।
৬. রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে।
৭. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে।
৮. রাতের বেলার দু‘আ। বিশেষতঃ মধ্য রাতের দু‘আ।
৯. শেষ রাতের এক ষষ্ঠাংশে।
১০. ছুবহে ছাদিকের সময়।
১১. মুয়াযযিন যখন আযান দিতে থাকে।
১২. পবিত্র আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়।
১৩. পবিত্র তাকবীর আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে।
১৪. জিহাদের ময়দানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর পর।
বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি (মহান আল্লাহ পাক) আপনার আলোচনা মুবারক তথা মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনাকে বুলন্দ করেছি।” অর্থাৎ খ¦াল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হামদ্ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ কখনোই হারাম গানের সুরে পাঠ করা যাবে না বরং বাদ্যযন্ত্র ও হারাম গানের সুর বাদ দিয়ে ক্বাছীদা শরীফ উনার লেহানে (স্বরে) পাঠ করতে হবে।
আমরা আরবী ভাষাকে মুহব্বত করি। কেননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভাষা মুবারক আরবী, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষা আরবী এবং আখিরাতের ভাষা আরবী। কিন্তু পবিত্র হামদ্ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ বিভিন্ন ভাষায় পাঠ হয়ে থাকে। তাই যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হচ্ছে, যে ভাষায়ই পবিত্র হামদ্ শরীফ, বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
‘প্রতি দমে বা শ্বাস-প্রশ্বাসে ২টি করে ঈদ’ যা আলোচনা করা হলো। তাছাউফের পরিভাষায় কারো যদি পাছ আনফাছ যিকির জারী হয়ে যায়, তাহলে তার ২৪ ঘণ্টা আপছে আপ শ্বাস ছাড়ার সময় لَا اِلٰهَ‘লা ইলাহা’ এবং শ্বাস গ্রহণের সময় اِلَّا اللهُ ‘ইল্লাল্লাহ’ এই যিকির চলতে থাকে। সুবহানাল্লাহ! তখন ২৪ ঘণ্টাই সে মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণে, ধ্যানে, খেয়ালে ও মুহব্বতে মশগুল থাকে। ফলে ২৪ ঘণ্টাই দায়িমীভাবে তার প্রতি দমে দুটি ঈদ হয় অর্থাৎ শ বাকি অংশ পড়ুন...
হির্ছ্ ও আমাল আরবী এ শব্দ দু’টি প্রায় কাছাকাছি অর্থে ব্যবহৃত হয়। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিভিন্ন আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে শব্দ দুটি লোভ-লালসা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَتَجِدَنَّهُمْ اَحْرَصَ النَّاسِ عَلٰى حَيَاةٍ وَمِنَ الَّذِيْنَ اَشْرَكُوْا ۚ
অর্থ : আপনি তাদেরকে (ইহুদীদেরকে) জীবনের প্রতি সবার চেয়ে, এমনকি মুশরিকদের চেয়েও অধিক লোভী দেখবেন। (পবিত্র সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ৯৬)
ذَرْهُمْ يَأْكُلُوا وَيَتَمَتَّعُوْا وَيُلْهِهِمُ الْاَمَلُ ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ ◌
অর্থ : আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা আহার করুক, ভোগ করুক এবং আশায় মোহগ্রস্ত থাকুক। অত বাকি অংশ পড়ুন...
কিছু নামধারী মাওলানা যারা মূলত মানুষের ঈমান নষ্টের কাজে ব্যস্ত রয়েছে। বিশেষ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক খাটো করাই তাদের মূল কাজ। এরা প্রচার করছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিকির মুবারক করা যাবে না। করলে সেটা শিরিক হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আসলেই কি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিকির মুবারক করলে শিরিক হবে? সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে এ বিষয়ে কি বলা হয়েছে? সেটাই আমরা দেখবো নিম্নোক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَتَانِـىْ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ اِنَّ رَبَّكَ يَقُوْلُ تَدْرِىْ كَيْفَ رَفَعْتُ ذِكْرَكَ قُلْتُ اَللهُ اَعْلَـمُ قَالَ اِذَا ذُكِرْتُ ذُكِرْتَ مَعِىْ.
অর্থ : “আমার কাছে হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি আসলেন এবং তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আপনার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি জানেন, আমি আপনার যিকির বা আলোচনা মুবারককে কত বুলন্দ করেছি? তখন আমি বললাম, মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভাল জানে বাকি অংশ পড়ুন...
দশ লতিফার প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা পবিত্র যিকির জারি হওয়ার পর সম্মিলিতভাবে দশ লতিফার যিকির করতে হয়। আর একেই বলা হয় পবিত্র সুলত্বানুল আযকার বা যিকিরের বাদশাহ।
এতে প্রথমে প্রত্যেক পশমের গোড়ায় গোড়ায় অতঃপর পর্যায়ক্রমে চামড়া, গোশত, রক্ত, হাড় ও তার মজ্জায় অর্থাৎ সমগ্র শরীরে আল্লাহ আল্লাহ উনার যিকির মুবারক জারি হয়ে যায়, তখন মাথার তালু হতে পায়ের তলা পর্যন্ত শরীরের সবকিছুই আল্লাহ আল্লাহ উনার যিকির মুবারক করতে থাকে।
উল্লেখ্য, পবিত্র সুলত্বানুল আযকার যিকির মুবারক উনার তিনটি পর্যায় বা স্তর রয়েছে। প্রথমত : সালিক বা মুরীদ দেখতে পাবে যে, বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য বর্ণনা:
বর্ণিত আছে যে হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কোন দাস-দাসী ছিলো না। লোকেরা এ ব্যাপারে উনাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দেন যে, বন্দেগীর সঙ্গে খাজেগী ঠিক হয় না অর্থাৎ দাসত্বের সঙ্গে প্রভুত্ব ঠিক হয় না।
হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নফসকে দোষারোপ করতে থাকো; কেননা যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মেহেরবানীতে নিজের নফসকে মন্দ হিসাবে চিনে নেয় এবং এর চাতুরী ও ফেরেববাজী বুঝতে পারে, তার জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়। এ রাস্তা অতিক্রমকারী এ ধরণের অনেক লোক অতীতে গুজরে গেছেন, যাঁ বাকি অংশ পড়ুন...












