নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খন্ডমূলক জবাব (৭)
, ০৭ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০১ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
‘প্রতি দমে বা শ্বাস-প্রশ্বাসে ২টি করে ঈদ’ যা আলোচনা করা হলো। তাছাউফের পরিভাষায় কারো যদি পাছ আনফাছ যিকির জারী হয়ে যায়, তাহলে তার ২৪ ঘণ্টা আপছে আপ শ্বাস ছাড়ার সময় لَا اِلٰهَ‘লা ইলাহা’ এবং শ্বাস গ্রহণের সময় اِلَّا اللهُ ‘ইল্লাল্লাহ’ এই যিকির চলতে থাকে। সুবহানাল্লাহ! তখন ২৪ ঘণ্টাই সে মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণে, ধ্যানে, খেয়ালে ও মুহব্বতে মশগুল থাকে। ফলে ২৪ ঘণ্টাই দায়িমীভাবে তার প্রতি দমে দুটি ঈদ হয় অর্থাৎ শ্বাস ছাড়ার সময় ১টি এবং শ্বাস গ্রহণের সময় ১টি মোট ২টি ঈদ হয়। সুবহানাল্লাহ!
তাছাউফের পরিভাষায় এটা হচ্ছে ঐ সালিক বা মুরীদের অবস্থা যার পাছ আনফাছ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের যিকির জারী হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আর কারো যদি ‘সুলত্বানুল আযকার’ যিকির জারী হয়, তখন তার সমস্ত শরীরে যে ১ লাখ ২৫ হাজার লতীফা আছে, সমস্ত লতীফাগুলো দায়িমীভাবে ‘আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ’ যিকির করতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, কোনো সালিক বা মুরীদের যদি ‘সুলত্বানুল আযকার’ যিকির জারী হয়ে যায়, তাহলে তার প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ঈদ হয়। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে উক্ত সালিক বা মুরীদের নিসবত মুবারক অনুযায়ী প্রত্যেকটা ঈদ আবার ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর বা তার চেয়েও বড় ঈদ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ঈদ হয়, এটা হচ্ছে যিকিরের মাধ্যমে। অর্থাৎ কারো যদি ‘সুলত্বানুল আযকার’ যিকির জারী হয়ে যায়, তার প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ঈদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর বা তার চেয়েও বড় ঈদ হয়। সুবহানাল্লাহ!
ঠিক একইভাবে প্রত্যেকটি নেক আমলে একটি করে ঈদ এবং প্রত্যেকটা বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকা একটি করে ঈদ। সুবহানাল্লাহ! কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা বান্দা-বান্দী, উম্মতদেরকে নেক আমল করার জন্য সম্মানিত আদেশ মুবারক করেছেন এবং বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। কাজেই কেউ যদি কোনো নেক আমল করে, তাহলে সে মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক পালন করে, ফলে উনারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। সুবহানাল্লাহ! আবার ঠিক একইভাবে কেউ যদি ১টি বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বাঁচতে পারে, তাহলে সে মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক পালন করে, ফলে উনারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ اَحَقُّ اَنْ يُّرْضُوْهُ اِنْ كَانُوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: “তারা যদি ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে তাদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। উনারাই সন্তুষ্টি পাওয়ার সমধিক হক্বদার। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)
কাজেই, একজন বান্দা-বান্দী, উম্মত যখন ১টি নেক আমল করার মাধ্যমে এবং ১টি বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নির্দেশ মুবারক পালন করে, তখন উনারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে অবশ্যই এটা তার জন্য ঈদ বা খুশির কারণ। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, প্রত্যেকটি নেক আমলে একটি করে ঈদ এবং প্রত্যেকটা বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকা একটি করে ঈদ। সুবহানাল্লাহ! তাহলে কেউ যদি দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায সঠিকভাবে আদায় করে, তাহলে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাযের সময়গুলোতে তার জন্য রয়েছে অনেক ঈদ। এছাড়া কেউ যদি সুন্নত এবং নফল নামায আদায় করে, তাহলে সে সময়গুলোতে তার জন্য রয়েছে অনেক ঈদ। অনুরূপভাবে কেউ যদি ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল রোযা রাখে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক অনুযায়ী প্রত্যেক রোযাদারের জন্য প্রত্যেকটি রোযায় ২টি খুশি বা ঈদ। ১টি ইফতারের সময় আরেকটি মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতের সময়। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












