ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
, ১২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৫ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি এবং কোনো কিছু সমর্থন মুবারকও করেননি। উনার হাটা-চলা মুবারক, নড়া-চড়া মুবারক, খাওয়া-দাওয়া মুবারক, শ্বাস-প্রশ্বাস মুবারক, চোখ মুবারক উনার পলক মুবারক, দৃষ্টি মুবারক, ঘুম মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্বপ্ন মুবারকও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মূলত, ইজতিহাদ সংক্রান্ত উল্লেখিত হাদীছ দুটি সনদ ও মতন উভয় দিক থেকেই ক্রটিপূর্ণ, বানোয়াট, মওযূ ও ভিত্তিহীন। নি¤েœ এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
১নং মওযূ হাদীছের খ-নমূলক জবাব
এটি একটি মওযূ হাদীছ। এর বহু প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে। যেমন- এই একই সূত্রে অর্থাৎ হযরত ইকরিমাহ্ ইবনে আম্মার রহমতুল্লাহি উনার সূত্রে আবূ যুমাইল সিমাক হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি হয়ে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বরাতে ‘মুসলিম শরীফ’-এ আরো একটি মওযূ হাদীছ বর্ণিত রয়েছে। আর তা হচ্ছে-
حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ حَدَّثَنَا اَبُوْ زُمَيْلٍ حَدَّثَنِىْ حَضْرَتْ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ الْمُسْلِمُوْنَ لَا يَنْظُرُوْنَ اِلٰى حَضْرَتْ اَبِىْ سُفْيَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَا يُقَاعِدُوْنَهٗ فَقَالَ لِلنَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا نَبِىَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثٌ اَعْطِنِيْهِنَّ قَالَ نَعَمْ قَالَ عِنْدِىْ اَحْسَنُ الْعَرَبِ وَاَجْمَلُهٗ حَضْرَتْ اُمُّ حَبِيْبَةَ بِنْتُ اَبِىْ سُفْيَانَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اُزَوِّجُكَهَا قَالَ نَعَمْ
অর্থ: “হযরত ইকরিমাহ্ ইবনে আম্মার ইয়ামামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমাদের নিকট বর্ণনা করেন। (তিনি বলেন,) আমাদের নিকট হযরত আবূ যুমাইল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন। (তিনি বলেন,) আমার নিকট হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হযরত ছহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সুফিয়ান আলাইহিস সালাম উনার দিকে দৃষ্টিপাতও করতেন না এবং উনার সাথে বসতেনও না। (না‘ঊযুবিল্লাহ!) তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তিনি আরযী পেশ করলেন- ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ৩টি বিষয় আমাকে দান করুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আচ্ছা; ঠিক আছে। তিনি বললেন, আরবের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট এবং সবচেয়ে সুন্দর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্বা মুবারক আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত (মেয়ে) উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি আমার নিকট রয়েছেন। আমি উনাকে আপনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ দিবো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আচ্ছা; ঠিক আছে।.......” (মুসলিম শরীফ)
এই মওযূ হাদীছটির ব্যাপারে আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
هٰذَا الْحَدِيْثُ وَهْمٌ مِنْ بَۢعْضِ الرُّوَاةِ لَا شَكَّ فِيْهِ وَلَا تَرَدُّدَ وَقَدْ اِتَّهَمُوْا بِهٖ عِكْرِمَةَ بْنَ عَمَّارٍ رَاوِىَ الْحَدِيْثِ وَقَدْ ضَعَّفَ اَحَادِيْثَهٗ يَحْيٰى اِبْنُ سَعِيْدٍ وَقَالَ لَيْسَتْ بِصَحَاحٍ وَكَذٰلِكَ قَالَ حَضْرَتْ اَحْمَدُ بْنُ حَنْۢبَلٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ هِىَ اَحَادِيْثٌ ضِعَافٌ وَلِذٰلِكَ لَمْ يُخَرِّجْ عَنْهُ الْبُخَارِىُّ وَاِنَّمَا اَخْرَجَ عَنْهُ مُسْلِمٌ لِاَنَّهٗ قَدْ قَالَ يَحْيَى بْنُ مُعِيْنٍ هُوَ ثِقَةٌ [১৫] وَاِنَّمَا قُلْنَا اِنَّ هٰذَا وَهْمٌ لِاَنَّ اَهْلَ التَّارِيْخِ اَجْمَعُوْا عَلٰى اَنَّ حَضْرَتْ اُمَّ حَبِيْبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ كَانَتْ عِنْدَ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ جَحْشٍ وَوَلَدَتْ لَهٗ وَهَاجَرَ بِهَا وَهُمَا مُسْلِمَانِ اِلٰى اَرْضِ الْحَبَشَةِ ثُمَّ تَنَصَّرَ وَثَبَتَتْ هِىَ عَلٰى دِيْنِهَا فَبَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَى النَّجَاشِىِّ لِيَخْطُبَهَا عَلَيْهَا فَزَوَّجَهٗ اِيَّاهَا وَاَصْدَقَهَا عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذٰلِكَ سَنَةُ سَبْعٍ مِّنَ الْهِجْرَةِ وَجَاءَ حَضْرَتْ اَبُوْ سُفْيَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِىْ زَمَنِ الْهُدْنَةِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَتَلَتْ بِسَاطَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتّٰى لَا يَجْلِسَ عَلَيْهِ
অর্থ: “কোনো সন্দেহ এবং দ্বিধা নেই যে, এই হাদীছটি একজন রাবী কর্তৃক ভুল বর্ণনা। হাদীছটির রাবী হযরত ইকরিমাহ্ ইবনে আম্মার ইয়ামামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে এই হাদীছের ব্যাপারে হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা অভিযুক্ত করেছেন। হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘হযরত ইকরিমাহ্ ইবনে আম্মার ইয়ামামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত হাদীছকে দুর্বল মনে করতেন।’ আর তিনি বলতেন, ‘হাদীছগুলি ছহীহ্ নয়।’ অনুরূপভাবে হযরত আহমাদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘সেগুলি দুর্বল হাদীছ।’ এ কারণেই হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার থেকে হাদীছ বর্ণনা করেননি। তবে হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। কেননা হযরত ইকরিমাহ্ ইবনে আম্মার ইয়ামামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে মাঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিক্বাহ্ বলেছেন। (হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,) আমরা বলি- নিশ্চয়ই এই হাদীছটি ভুল। কেননা ঐতিহাসিকগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশের নিকট ছিলেন। তখন উনার একজন সম্মানিত বানাত (মেয়ে) বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনাকেসহ দু’জনই মুসলমান অবস্থায় হাবশায় হিজরত করে। অতঃপর উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশ খ্রিষ্টান হয়ে যায় (এবং কিছু দিন পর সে খ্রিষ্টান অবস্থায় মারা যায়।) না‘ঊযুবিল্লাহ! এই অবস্থায়ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিক্বামত ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাদশাহ নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট সংবাদ মুবারক প্রেরণ করেন তিনি যেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। তারপর বাদশাহ নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। অতঃপর) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন মুবারক করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারকও হাদিয়া করেন। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছিলেন ৭ম হিজরী শরীফ-এ। আর সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সুফিয়ান আলাইহিস সালাম তিনি (হুদায়বিয়ার সন্ধির পর সম্মানিত মুসলমান উনাদের সাথে মুশরিকদের) যুদ্ধবিরতির সময় যখন (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে) এসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছানা মুবারক গুটিয়ে নেন, যেন সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সুফিয়ান আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছানা মুবারক উনার উপর বসতে না পারেন। (কারণ তিনি তখনও ঈমান আনেননি।)” (কাশফুল মুশকিল মিন হাদীছিছ ছহীহাইন ২/৪৬৩, আওনুল মা’বূদ ৬/৭৫)
এই হাদীছটির ব্যাপারে হযরত ইমাম আল্লামা ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
عَنْ اَبِىْ عَبْدِ اللهِ الْحُمَيْدِىِّ قَالَ حَدَّثَنَا اَبُوْ مُحَمَّدٍ عَلِىِّ بْنِ اَحْمَدَ بْنِ سَعِيْدٍ اَلْحَافِظُ قَالَ هٰذَا حَدِيْثٌ مَوْضُوْعٌ لَا شَكَّ فِىْ وَضْعِهٖ وَالْاٰفَةُ فِيْهِ مِنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ وَلَمْ يَخْتَلِفْ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَهَا قَبْلَ الْفَتْحِ بِدَهْرٍ وَاَبُوْهَا كَافِرٌ
অর্থ: “হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ হুমাইদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন হাফিযুল হাদীছ হযরত আবূ মুহম্মদ আলী ইবনে আহমাদ ইবনে সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, এটা একটি মওযূ হাদীছ। এটা মওযূ হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এই সনদের মধ্যে ক্ষতিকর হচ্ছেন হযরত ইকরিমাহ্ ইবনে আম্মার ইয়ামামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। আর এই বিষয়ে কোনো ইখতিলাফ নেই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের এক বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ করেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সুফিয়ান আলাইহিস সালাম তিনি তখনও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেননি।” (কাশফুল মুশকিল মিন হাদীছিছ ছহীহাইন ২/৪৬৩)
এখানে বুঝার বিষয় রয়েছে। অনেকে মনে করে থাকে যে, মুসলিম শরীফ-এ কোনো হাদীছ আছে মানে এটা চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে হবে। এই বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। মূলত এটা তাদের অতিরঞ্জিত বা বাড়াবাড়ি। ‘বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফে’ও যে মওযূ হাদীছ আছে, সেটা সর্বজনমান্য ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাই বলেছেন এবং উনারা প্রমাণও করেছেন। প্রয়োজনে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
আর যারা বলে থাকে যে, ‘বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ’-এ কোনো মওযূ হাদীছ নেই। তাদের কেউ কেউ তাদের এই কথার দ্বারা এটাই প্রমাণ করতে চায় যে, ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের ‘বুখারী শরীফ’ ও ‘মুসলিম শরীফ’ লিখতে কোনো ‘যাল্লাত বা পদস্খলন ও খত্বা বা ভুল’ হয়নি। অথচ তারাই আবার বলে থাকে যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কখনও কখনও ‘যাল্লাত বা পদস্খলন ও খত্বা বা ভুল’ হয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাহলে কি তাদের দৃষ্টিতে- হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে বড় হয়ে গেলেন? না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ উছূল ও আক্বাইদের কিতাবে রয়েছে, ‘মুজতাহিদের ভুল হতে পারে এবং উনাদের ভুল ক্বিয়ামত পর্যন্ত অবশিষ্ট থেকে যেতে পারে।’ (নূরুল আনওয়ার)
তাহলে তারা কি এই মূলনীতি মানবে না?
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৩)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মাওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (২)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












