(ঘটনা-১)
সালমা বেগম (ছদ্মনাম) একজন পর্দানশীন নারী। কুরআন-সুন্নাহ মেনে পর্দা করেন বিধায় তিনি কখনও গাইরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাননি। শুধু তাই নয়, মুখম-লের ছবি তুললে সেটাও গাইরে মাহরামের কাছে যাবে বিধায় তিনি ছবি তুলেননি। আর ছবি না তোলার কারণে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডিও করতে পারেননি। কিন্তু এনআইডি না থাকায় তিনি প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যেমন-
- দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে তিনি টিসিবি থেকে পণ্য নিতে চান। কিন্তু এনআইডি না থাকায় তিনি টিসিবি থেকে পণ্য নিতে পারছেন না।
- বাসা ভাড়া নিতে গেলে বাড়িওয়ালাকে এনআইডি ক বাকি অংশ পড়ুন...
কিন্তু সে হাবশী একটা জাহেল, একটা মূর্খ। যার মধ্যে আল্লাহভীতি নেই, খোদাভীতি নেই, কোন পরওয়া নেই। সে আমার কাছ থেকে বাচ্চাটাকে টেনে নিয়ে সমুদ্রের মধ্যে নিক্ষেপ করল। যখন বাচ্চাটাকে ফেলে দিল, তখন আমি দেখলাম আমার তো আর কোন উপায় নেই। আমি দোয়া করলাম, মহান আল্লাহ পাক আপনি তো হেফাজতের মালিক, আপনার ভয়েতো আমি পাপ থেকে বিরত থাকতে চাই, আপনি আমাকে হেফাজত করুন। বলার সাথে সাথে দেখা গেল একটা বড় মাছ উঠে আসল। সেটা এসে সেই হাবশীকে কামড় দিয়ে অর্থাৎ মুখে নিয়ে সমুদ্রের তলে চলে গেল। সে নিখোঁজ হয়ে গেল, আমি বেঁচে গেলাম। আমি ভাসতে ভাসতে সমুদ্রের কিনারে আসলা বাকি অংশ পড়ুন...
সাধারণত বাদশাহ কাউকে চিঠি লিখেন না, বাদশাহ যদি কাউকে চিঠি লিখেনই তাহলে তাকে পুরস্কার দিয়ে থাকেন। ঐ সভাসদ (যে হিংসা করত) দূর থেকে দেখল বাদশাহ তাকে একটা চিঠি লিখে দিল। ঐ সভাসদ তাড়াতাড়ি বের হয়ে যেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল, ভাই! তোমাকে যে চিঠিটা বাদশাহ দিয়েছেন, সে চিঠি তুমি কোথায় নিয়ে যাবে? লোকটা বলল, এ চিঠি আমাকে অমুক লোকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
সেই হিংসুক ব্যক্তিটি বলল- ঠিক আছে, তোমার পৌঁছানোর দরকার নেই। আমার কাছে দিয়ে দাও, আমি এটা নিয়ে পৌঁছায়ে দেব। সে চিঠিটা নিয়ে গেল। পরের দিন সকালে আবার সেই লোকটা আসলো বাদশাহর দরবারে। বাদশাহ তাকে দেখে আশ্চ বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর সে বলল, হে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি মনে করেছেন, আপনি এদিক দিয়ে আমার থেকে শ্রেষ্ঠ। আমি একজন মহিলা নিয়ে বসে আছি, রঙীন বোতল থেকে পানি পান করছি, শরাব পান করছি। মূলতঃ তা নয়, এটা শুদ্ধ নয়। এ বৃদ্ধ মহিলা আমার মা, তিনি হাঁটতে পারেন না। কিছুদূর পরপর উনার বিশ্রাম নিতে হয়, উনার পিপাসা লাগে এবং পানি পান করতে হয়। এই যে রঙীন বোতলটা এটা শরাব নয়, এটা পানি, খালেছ (বিশুদ্ধ) পানি, আমি উনাকে পানি পান করাই। কাজেই আপনি যে ধারণা করেছেন-
إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,“অধিকাংশ ধারণাই বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
একজন বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য সবচেয়ে বড় নেক আমল হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! কেননা, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত যুন নুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি বড় বুজুর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী। তিনি একদিন গিয়েছেন পবিত্র কা’বা শরীফ-এ হজ্জ করতে। হজ্জ শেষে তিনি বসে রয়েছেন পবিত্র কা’বা শরীফ উনার সীমানার মধ্যে পবিত্র কা’বা শরীফ উনার পাশে। হঠাৎ দেখলেন, একটা মেয়েলোক একটা বাচ্চাসহ সেখানে এসেছে। সে এসে বলছে, “মহান আল্লাহ পাক! সেই গোপন ওয়াদা। ” বার বার সেই মেয়েলোকটা একই কথা বলছে। যখন সে এই কথা বার বার বলছে, হযরত যুন নুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যেখানে বসা ছিলেন সেখান থেকে উঠে গিয়ে সেই মহিলার নিকটে গিয়ে বললেন, হে মহিলা কিসের গোপন ওয়াদা? কোন গোপন ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। তাই পাগড়ী পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক।
পাগড়ীর পরিমাপ :
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অধিকাংশ সময় যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৭ হাত লম্বা, যা পবিত্র হুজরা শরীফ হতে বের হওয়ার সময় তিনি পরিধান মুবারক করে বের হতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার সময় এ ধরণের পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৩ হাত লম্বা। কোন কোন স বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫২. প্রসঙ্গ : ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করা দায়েমী সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত নয়। তাই তারা অন্যান্য সময় তো দূরের কথা, নামাযের সময়ও পাগড়ী পরিধান করেনা।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী বা সার্বক্ষণিক সুন্নত। কেননা, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে বা সর্বদা পাগড়ী পরিধান করেছেন। নামাযের ভিতর পাগড়ী পরিধান করা যেরূপ সুন্নত, তদ্রুপ নামাযের বাইরেও সুন্নত। পাগড়ীসহ এক রাক্য়াত নামায আদা বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
কুমিল্লার বুড়িচং সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের ভেতরে এক নারী গ্রাহকের নাকে-মুখে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ (স্কোপোলামিন) ছিটিয়ে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বুড়িচং থানায় লি বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পোশাক সম্পর্কিত হুকুম-আহকাম সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেছেন। তাই পোশাক-পরিচ্ছদের ভালো মন্দ মানুষের কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ, চরিত্র ও নৈতিকতা অর্থাৎ মানবিক জীবনের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করে এবং অন্তর ও মন-মানসিকতায় গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেননা, প্রত্যেকটা বিষয়ের একটা তাছির বা প্রতিক্রিয়া আছে।
যখন কেউ মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার আমল করে তখন তার প্রতি রহমত মুবারক নাযিল হয়। আর যখন কেউ কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ করে তার প্রতি লা বাকি অংশ পড়ুন...












