আসমাউর রিজালসমূহের কিতাব থেকে নফসানিয়াত অনুযায়ী বক্তব্য উল্লেখ করে ওহাবী সালাফীরা যেভাবে মানুষকে ধোঁকা দেয়:
برد بن سنان وثقه ابن معين، والنساءي، وضعفه ابن المديني قال ابو حاتم: ليس بالمتين. وقال مرة: كان صدوقا قدرياوقال ابو زرعة: لا بأس به وقال ابو داود، يرمي بلقدر
অর্থ: হযরত বুরাদ ইবনে সিনান রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্পর্কে ইমাম ইবনে মুঈন ও হযরত নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন, তিনি ছিক্বাহ। হযরত ইবনে মাদীনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি দুর্বল। হযরত আবু হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মজবুত নন। হযরত মুররা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি সত্যবাদী এবং শক্ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ حَدَّثَ بِحَدِيثٍ وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ
অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে (ছহীহ বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই) অভিমত পোষণ করে যে, এই হাদীছ শরীফখানা মওজু বা মিথ্যা সে ব্যক্তি মিথ্যাবাদীদের অর্ন্তভুক্ত। (মুসনাদে আহমদ ৪/২৫৫: হাদীছ শরীফ নং ১৮২৬৬, শরহুস সুন্নাহ ১/২৬৬: হাদীছ শরীফ নং ১২৩, মুসনাদে আবু যায়িদ ১/৩০৬: হাদীছ শরীফ নং ২০৬৭, শুয়াবুল ঈমান-মুকাদ্দিমা ১/৮৪, তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৩৬৬)
অ বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান সময়ে ইহুদী ফান্ড দ্বারা পরিচালিত ওহাবী, সালাফী, লা’মাযহাবী ফেরকার লোকেরা সমাজে ইচ্ছামত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে জাল, মওজু, দ্বয়ীফ বলে অপপ্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের মতবাদের বিপক্ষে মনে হলেই সেটাকে তারা জাল বলছে। আর এ জন্য তারা উছুলে হাদীছ শরীফ উনার বিভিন্ন অপব্যাখ্যার আশ্রয়ও গ্রহণ করতে কার্পণ্য করছে না। শত শত বছর ধরে উম্মত যে হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল করে আসছে কেউ কোন আপত্তি করে নাই অথচ হাল যামানায় এসব ওহাবীরা হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে জাল! জাল! বলে চিৎকার শুরু করেছে।
তাদের ধারণা পবিত্র বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ ছাড়া পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
মূল কথা হলো- বাতিল ফিরক্বা লা মাযহাবী বা তথাকথিত সালাফীদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের মতই ছূরত বা আকার-আকৃতি ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অধিকারী। নাউযুবিল্লাহ! পক্ষান্তরে প্রকৃত সালাফী বা চার মাযহাব অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি ১০টি বিষয় থেকে পবিত্র। এ সম্পর্কে আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
اَللهُ مُنَـزَّهٌ عَنْ جِسْمٍ وَجَوْهَرٍ وَعَرْضٍ وَتَصْوِيْرٍ وَتَـعْدِيْدٍ وَتَـبْعِيْضٍ وَتَجْزِئٍ وَتَـرْكِيْبٍ وَتَـنَاهِيٍّ وَتَحْدِيْدٍ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম বা শরীর বা নির্ভরশীলতা থেকে, চওড়া বা প্রশস্ত হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
এখন আরশে ইস্তাওয়ার অর্থ অনেকে লিখেছেন- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে এ অর্থ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত অর্থ গ্রহণ করলে এটাই সাব্যস্ত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ছূরত বা আকার-আকৃতি রয়েছে বা তিনি বসা, শোয়া ও দাঁড়ানোর মুহতাজ। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ মকতুবাত শরীফ-এ লেখা হয়েছে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি “আল্লাহ” শব্দ মুবারক থেকেও পবিত্র।”
তাহলে তিনি বসা ও উপবেশন করার মুহতাজ হন কিভাবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি তো বলেই দিয়েছেন যে-
اَللهُ الصَّمَدُ
অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি (বসা, উপবেশন করা বাকি অংশ পড়ুন...
২
মুক্বদ্দিমা
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
হযরত ইবনে মুহাররায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
سـمعت حضرت على بن الـمدينى رحـمة الله عليه يقول ليس ينبغى لاحد ان يكذب بالـحديث اذا جاءه عن النبى صلى الله عليه وسلم وان كان مرسلا فإن جـماعة كانوا يدفعون حديث الزهرى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من احتجم فى يوم السبت او الاربعاء فاصابه وضح فلا يلومن الا نفسه فكانوا يفعلونه فبلوا منهم عثمان البتى فاصابه الوضح ومنهم عبد الوارث يعنى ابن سعيد التنورى فاصابه الوضح ومنهم ابو داود فاصابه الوضح ومنهم عبد الرحـمن فالصابه
অর্থ : “আমি হযরত আলী বিন মাদিনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি যে, কারো জন্য উচিত নয় যে, সে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, বাকি অংশ পড়ুন...












