সুওয়াল:
ক্বওমী মাদরাসার মুখপত্রের জুমাদাল উখরা ১৪৪৬ হিজরী সংখ্যায় এক সুওয়ালের জাওয়াবে বলা হয়েছে, কদমবুছি নিষেধ হওয়ার পক্ষে শরীয়তে কোন নস তথা প্রমাণ নেই। তবে সেজদার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যেনো না হয়ে যায় সেজন্য সতর্কতা হলো- কদমবুছি থেকে বিরত থাকা।
জাওয়াব (১ম অংশ):
কওমী মাদরাসার মুফতীদের উক্ত জাওয়াব স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল মুবারকের খিলাফ বা বির বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বছরের কোন কোন দিন ওমরাহ্ করা মাকরূহ্?
জাওয়াব:
যিলহজ্জ শরীফ মাসের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ এই ৫ দিন উমরাহ্ করা মাকরূহ্। তবে যদি কেউ ৯ তারিখের পূর্বে উমরাহ’র জন্য ইহরাম বেঁধে থাকে তবে তার জন্য উমরাহ্ করা জায়েয রয়েছে।
সুওয়াল:
হেরেম শরীফের সীমানা কতটুকু?
জাওয়াব:
বাইতুল্লাহ বা কা’বা শরীফের উত্তরে ৩ মাইল, দক্ষিনে ৭ মাইল, পূর্বে ৯ মাইল এবং পশ্চিমে ১০ মাইল।
বি: দ্র: উপরোল্লিখিত হজ্জ ও উমরাহ সংক্রান্ত সুওয়ালের জাওয়াবসমূহের দলীল নিম্নরূপ-
দলীলসমূহ: তাফসীরে খাযেন, বাগউয়ী, তাবারী, যাদুল মাছীর, দুররে মানছূর, মাযহারী, কুরতুবী, বুখারী, মুসলিম, আ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করলে তার কি হুকুম?
জাওয়াব:
কোন এক পূর্ণ অঙ্গ অথবা তার চেয়ে অধিক স্থানে সুগন্ধি ব্যবহার করলে দম দেয়া ওয়াজিব হবে। আর যদি কোন এক অঙ্গের চেয়ে কম স্থানে সুগন্ধি ব্যবহার করে তাহলে ছদকা দেয়া ওয়াজিব হবে।
আর যদি কেউ কোন ওজরে অথবা বিশেষ কারণে সুগন্ধি লাগায় বা ব্যবহার করে অথবা মাথা কামায় অথবা সেলাই করা কাপড় পরে তাহলে তাকে নিম্নের তিনটি হুকুমের যে কোন একটি হুকুম অবশ্যই পালন করতে হবে।
(১) ইচ্ছা করলে সে একটি ছাগল কুরবানী করতে পারে।
(২) অথবা ছয়জন মিসকীনকে ‘তিন ছা’ (১০ সের ১১ ছটাক) খাদ্য বন্টন করে দিবে।
(৩) অ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ইনজেকশনের আহকাম:
আমরা শরীরের রোগ নিরাময়ের জন্যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করে থাকি, তার মধ্যে একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো- “ইনজেকশন”। এ ইনজেকশন বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিশেষ পদ্ধতি, যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম একটি ভিত্তি হলো, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রোযা, যেটা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যে ফরজে আইন করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এ বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনু জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। তিনি একবার সূরা আর-রহমান শরীফ উনার ছোট্ট একখানা পবিত্র আয়াত শরীফ-
كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
উনার তাফসীর করলেন একাধারা দুই বৎসর। তবুও যেন তাফসীর বাকী রয়ে গেল। উনার ভিতরে একটা ফখরের ভাব পয়দা হলো, নিশ্চয়ই তিনি মস্ত বড় একজন তাফসীরকারক। উনার মতো তাফসীরকারক হয়তো আর কেউ নেই। অন্যথায় একখানা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর দুই বৎসর করার পর বাকী থাকার কথা নয়। এরই মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় এক আগন্তুক উনার তাফসীরের মজলিসে গিয়ে উনাকে প্রশ্ন করলেন, হুযূর! আপনি তাফ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-
فأتيا باب سيدنا حضرت الإمام الصادق عَلَيْهِ السَّلَامُ والناس ينتظرون خروجه عَلَيْهِ السَّلَامُ وقبل خروج سيدنا حضرت الإمام الصادق عَلَيْهِ السَّلَامُ خرج عليهم من الدار غلام حدث السن فقام الناس اجلالاً وهيبة له فسأله حضرت أبو حنيفة رحمة الله عليه صاحبه عبد الله عن الغلام فقال هذا ابنه سيدنا حضرت موسى عَلَيْهِ السَّلَامُ فأراد حضرت أبو حنيفة رحمة الله عليه أن يمتحنه فتقدم إلى سيدنا حضرت الإمام موسى بن جعفر عَلَيْهِ السَّلَامُ وسأله يا غلام أين يضع الرجل حاجته؟ فرد الإمام عَلَيْهِ السَّلَامُ بما معناه يضعها في مكان بحيث يتوارى فيهِ عن الأنظار ولا يستقبل القبلة ولا يستدبرها ثم شرح له الإمام عَلَيْهِ السَّلَامُ واجبات ومستحبات ومكروهات التخلي فبهت حضرت أبو حنيفة رحمة الله عليه لأن حضرت أبا حنيفة رحمة الله عليه يعتقد أن سيدنا ح বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন এক বেদুঈন (গ্রাম্য লোক) আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দরবার শরীফে এসে আরজ করলেন: ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে কয়েকটি সুওয়াল করতে চাই।
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন: আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি কি কি বিষয়ে সুওয়াল করতে চান- তা বলুন।
তখন উক্ত বেদুঈন (গ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
যদি কোন আহলিয়া আহালকে না জানিয়ে তার সম্পদ থেকে কিছু দান করে, তার এ দান করা জায়িয হবে কি? জানতে বাসনা রাখি।
জাওয়াব মুবারক:
যদি আহাল বা স্বামীর অনুপস্থিতিতে আহলিয়া বা স্ত্রী কিছু দান-ছদকাহ করেন এবং পরবর্তীতে আহাল বা স্বামী তা জেনে চুপ থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে এতে তার পক্ষ থেকে সমর্থন রয়েছে। তাহলে আহলিয়া বা স্ত্রী তার আহাল বা স্বামীর সম্পদ থেকে দান-ছদকাহ করতে পারবে। এতে দান করার কারণে আহলিয়া ছওয়াব পাবেন। আর আহাল বা স্বামী তার সম্পদ থেকে দান করার কারণে ছওয়াব পাবেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ سَيِّدَ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
গত লাইলাতুছ ছুলাছা বাদ মাগরিব আজিমুশ^ান রাজারবাগ শরীফ সুন্নতী জামে মসজিদে কেন্দ্রীয় বয়স্ক আনজুমান উনাদের সাপ্তাহিক মজলিশ অনুষ্ঠিত হয়। বাদ ইশা পবিত্র মিলাদ শরীফ, তওবা ও মকবূল মুনাজাত শরীফ বাদ কুল কায়িনাতের সকলের উদ্দেশ্যে নসীহত মুবারক করেন মহান কিবলা কাবা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি।
নসীহত মুবারক উনার মধ্যে তিনি বলেন, যত আলোচনা হোক উদ্দেশ্য থাকতে হবে নুরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছানো।
নসীহত মুবারকের মধ্যে তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
প্রতি সপ্তাহের ন্যায় গত লাইলাতুল খমিস আজিমুশ্বান রাজারবাগ শরীফ সুন্নতী জামে মসজিদে কেন্দ্রীয় মহানগর ছাত্র আনজুমান উনাদের সাপ্তাহিক মজলিশ অনুষ্ঠিত হয়। বাদ মাগরিব পবিত্র যিকির, কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত ও বিশেষ নাত শরীফ পাঠের মাধ্যমে মজলিশ শুরু করা হয়।
বাদ ইশা পবিত্র মিলাদ শরীফ, তওবা বায়াত মুবারক ও মকবুল দুয়া মুনাজাত শরীফ বাদ কুল কায়িনাতের সকলের উদ্দেশ্যে নসীহত মুবারক করেন সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি।
এক সুওয়ালের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন- সবাইকে শালীনতা বজায় রেখেই দ্বীনি দাওয়াতে বাকি অংশ পড়ুন...












