কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যদি কোন সময় বাহ্যিক দৃষ্টিতে শরীয়তের খেলাফ আমল করেন বা করার নির্দেশ দেন তাহলে বুঝতে হবে যে তাতে কোন হিকমত বিদ্যমান। যার শেষ পরিণতি উত্তম।
হযরত ইসমাইল হাক্কী বারূসুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে রূহুল বয়ানে” একথাই উল্লেখ করেছেন-
وغاية بان كل ماصدر عنه فله حكمة حميدة البتة وهذا من اداب المتعلم مع العالم والتابع مع المتبوع.
অর্থ: “উনার (পীর ও মুর্শিদ) থেকে যা প্রকাশ পায় তাতে হিকমত রয়েছে এবং শেষ পরিণতি উত্তম প্রশংসনীয়। আর এটাই হচ্ছে শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষকের বা সালিকের (মুরীদের) জন্য শায়েখউনা র (পীর বাকি অংশ পড়ুন...
আখাছ্ছুল খাছ আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুত্বাহ্হার, মুত্বহহির, আস সাফফাহ, ইমামুল উমাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সেটাই বলে দেয়া হচ্ছে, তোমরা সাবধান থাকো। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাপারে চু-চেরা কীল-কাল করবে না। উনাদের সম্পর্কে চু-চেরা কীল-কাল করলে জাহান্নাম ওয়াজিব হবে। উনাদের সম্পর্কে যারা চু-চেরা কীল-কাল করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বাকি অংশ পড়ুন...
স্মরণীয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম শরীফ উনার ভাষা বুঝা অত্যন্ত কঠিন ও সুক্ষ্ম। কারণ যখন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ নাযিল হলো তখন পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মধ্যে ‘পবিত্র সূরা কাউছার শরীফ’ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ.
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ. فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ. إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ.
অর্থ : (যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে শুরু করছি যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়।) “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার মুবারক হাদিয়া করেছি। অতএব আপনি আপনার মহান রব তায়ালা উনার সন্তুষ্টি মুবারক হা বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং আমলে ছলেহ বা নেক কাজ করেছে তাদের জন্যই জান্নাতে মেহমানদারীর ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘কোনো মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করা মহাপাপ।’ (কিমিয়ায়ে সা’য়াদাত)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ‘উত্তম ধারণা হচ্ছে উত্তম ইবাদত।’ সুবহানাল্লাহ!
একজন দরবেশ লোক বহু ইবাদত করেছে বলে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে, অপরাপর লোককে তুচ্ছ জ্ঞানে ঘৃনা করে তাদের প্রতি বদগুমান (খারাপ ধারণা) রাখে। নাউযুবিল্লাহ! আর এক ব্যক্তি অপর একজন মুসলমান ভাইকে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ধারণা করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূর বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষের অন্তরে অনেক বদ স্বভাব থাকে। যা মানুষের অন্তর বা ক্বলবকে ধ্বংস করে এবং তার নেক আমল বরবাদ করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ! এই বদ স্বভাব দূর করার জন্য হক্কানী রব্বানী আলিম, ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারকে বেশি বেশি যেতে হয়, উনাদের দেয়া সবক, যিকির-ফিকির নিয়মিত আদায় করতে হয়, জান, মাল, সময় শ্রম দিয়ে উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিতে হয় উনাদের সন্তুষ্টি মুতাবেক। তাহলে অবশ্যই বদ স্বভাব দূর হয়ে নেক স্বভাব লাভ করা যাবে। আল্লাহওয়ালা হওয়া সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
মানুষের অন্তরের বদ স্বভাবের মধ্যে শেকায়েত বা অপরের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষের অন্তরে অনেক বদ স্বভাব থাকে। যা মানুষের অন্তর বা ক্বলবকে ধ্বংস করে এবং তার নেক আমল বরবাদ করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ! এই বদ স্বভাব দূর করার জন্য হক্কানী রব্বানী আলিম, ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারকে বেশি বেশি যেতে হয়, উনাদের দেয়া সবক, যিকির-ফিকির নিয়মিত আদায় করতে হয়, জান, মাল, সময় শ্রম দিয়ে উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিতে হয় উনাদের সন্তুষ্টি মুতাবেক। তাহলে অবশ্যই বদ স্বভাব দূর হয়ে নেক স্বভাব লাভ করা যাবে। আল্লাহওয়ালা হওয়া সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
মানুষের অন্তরের বদ স্বভাবের মধ্যে শেকায়েত বা অপরের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা ক বাকি অংশ পড়ুন...
ছহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা শূরা শরীফ উনার ২৩নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
শাইখুশ শুয়ূখ হযরত শাকীক বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র হজ্জের ছফর কালে আমি কাদেসিয়া এলাকায় গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে আমি একজন সুশ্রী ও দীর্ঘদেহী যুবককে দেখলাম। উনার পরনে ছিল শাল। কাঁধে পাগড়ির প্রান্ত এবং পদযুগলে সেন্ডেল মুবারক। তিনি অনেক ভিড়ের মধ্য থেকে বের হয়ে একাকিই এক জায়গায় বসে গেলেন। আমি ভাবলাম, এই যুবক ছূফী শ্রেণীভুক্ত মনে হয়। সম্ভবতঃ তিনি এ ছফরে মুসলমানদের উপর বোঝা হয়ে যেতে চান। কাজেই উনাকে এ থেকে বিরত রাখার জন্যে বলা উচিত।
আমি উনার কাছে যেতেই তিনি বললেন, হে শাকীক! ধারণা করা থেকে বেঁচে থাক বাকি অংশ পড়ুন...












