৯. পবিত্র মদীনা শরীফ লুটপাট: ইয়াযীদ বাহিনী পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদের সমস্ত ধন-সম্পদ লুটপাট করে। তাদের চাহিদা মুতাবিক ধন-সম্পদ না পেলে বাচ্চা শিশু ও মহিলাদেরকেও শহীদ করে। নাঊযুবিল্লাহ! যেমন- তারা একজন আনছার মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে- আমাদেরকে স্বর্ণ দিন, অন্যথায় আপনাকে ও আপনার কোলের শিশুকে শহীদ করবো। ইতিমধ্যে উনার কাছে ধন-সম্পদ যা কিছু ছিলো ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি উনার পরিচয় তুলে ধরেন। কিন্তু তারা উনার কথায় কর্ণপাত না করে তাদের চাহিদা মুতাবিক স্বর্ণ না দিতে পারায় উনার কোল থেকে দুগ্ধপ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَتْ حَضْرَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِينَ الثَّالِثَةُ الصِّدِيْقَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ: كُنْتُ أَدْخُلُ بَيْتِي الَّذِي فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنِّي وَاضِعٌ ثَوْبِي وَأَقُولُ: إِنَّمَا هُوَ زَوْجِي وَأَبِي، فَلَمَّا دُفِنَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَعَهُمْ فَوَاللَّهِ مَا دَخَلْتُ إِلاَّ وَأَنَا مَشْدُودَةٌ عَلَيَّ ثِيَابِي حَيَاءً مِّنْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার হুজরা শরীফে প্রবেশ করতে পর্দার প্রস্তুতি নিতাম না, যেহেতু সেখানে শুধু নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
৩. পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ ও পবিত্র রওযা শরীফ উনাদের অবমাননা: ইয়াযীদ বাহিনী পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার অমার্জনীয় অবমাননা করে। এই স্থান মুবারক উনাকে তারা ঘোড়ার আস্তাবলে পরিণত করে। নাঊযুবিল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ এবং পবিত্র মিম্বর শরীফ উনাদের মধ্যবর্তী স্থান মুবারক ঘোড়ার মলমূত্র দ্বারা কলুষিত করে। নাঊযুবিল্লাহ! (জযবুল কুলূব)
আল্লামা হযরত সামহূদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ আরো অনেকে লিখেন-
وَجَالَتِ الْـخُيُـوْلُ فِـىْ مَسْجِدِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদের ব্যাপারে বলে-
لَيْسَ لَـهُمْ اِلَّا هٰذَا الْغَشْمَةُ وَاللهِ لَاَقْـتُـلَـنَّـهُمْ
অর্থ: “উনাদের জন্য শুধু ঐ যালিমটিরই (ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি আলাইহিরই) প্রয়োজন। নাঊযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি অবশ্যই অবশ্যই উনাদেরকে শহীদ করবো। ” নাঊযুবিল্লাহ! (বিদায়াহ্-নিহায়াহ্ ৮/২৩৯)
ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে বলে, ‘যদি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হও এবং বায়াত গ্রহণে পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনারা রাজি না হন, তাহলে তুমি ছোট-ব বাকি অংশ পড়ুন...
৪. হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল ঘোষণা করা এবং প্রকাশ্যে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যাওয়া: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল ঘোষণা করে এবং প্রকাশ্যে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যায়। যেমন- সে আপন মা, বোন ও মেয়েকে বিবাহ করা বৈধ ঘোষণা করে, মদকে হালাল করে, প্রকাশ্যে মদ পান করে, নামায ত্যাগ করে, নাচ-গান করে, গায়িকা, নর্তকী ও বিনতুল হাওয়াদের (চরিত্র নষ্টকারী মহিলাদের) সঙ্গ দেয়, কুকুর ও বানর নিয়ে খেলতামাশায় মগ্ন থাকে, যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ! (তারীখুল খুলাফা, ইবনে সা’দ, ত্ববারী, ইবনে জা বাকি অংশ পড়ুন...
হাররার ঘটনা কি?
হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “কারবালায় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার পরে পবিত্র মদীনা শরীফে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে যে লোমহর্ষক ও মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয় এটাই ‘হাররার ঘটনা’ নামে অভিহিত। এই স্থানটি পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে এক মাইল দূরে অবস্থিত। এই ঘটনা সংঘটিত হয়- ৬৩ হিজরী শরীফ উনার ২৭ বা ২৮ যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)। ” (জযবুল কুলূব)
কারণ ও প্রেক্ষাপট:
১. ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মুসরিফ ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি
আলাইহির উক্তি:
মুসরিফ ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলে-
اَللّٰهُمَّ اِنْ عَذَّبْتَنِىْ بَعْدَ طَاعَتِىْ لِخَلِيْفَتِكَ يَزِيْدَ (لَعْنَةُ اللهِ عَلَيْهِ) وَقَتْلِ اَهْلِ الْحَرَّةِ فَاِنِّىْ اِذًا لَشَقِىٌّ
অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনার খলীফা ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির পরিপূর্ণ ইতায়াত এবং পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদেরকে শহীদ করার পরও যদি আপনি আমাকে শাস্তি দেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমি অত্যন্ত হতভাগা।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (ইক্বদুল ফরীদ ৫/১৩৯)
সম্মানিত শহীদ উনাদের মাথা মুবারক দেখে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ বাহিনীর তা-বলীলা:
৯. পবিত্র মদীনা শরীফ লুটপাট: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির বাহিনী পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদের সমস্ত ধন-সম্পদ লুটপাট করে। তাদের চাহিদা মুতাবিক ধন-সম্পদ না পেলে বাচ্চা শিশু ও মহিলাদেরকেও শহীদ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন- তারা একজন আনছার মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে, আমাদেরকে স্বর্ণ দিন, অন্যথায় আপনাকে ও আপনার কোলের শিশুকে শহীদ করবো। ইতিমধ্যে উনার কাছে ধন-সম্পদ যা কিছু ছিলো ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি উনার পরিচয় তুলে ধরেন। কিন্তু তারা উনার কথায় কর্ণপাত না করে তাদের চাহিদা ম বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইয়াযীদ বাহিনীর তা-বলীলা:
৪. পবিত্র মদীনা শরীফ উনাকে জনশূন্য করে দেয়া: হযরত ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন যে, পবিত্র মদীনা শরীফ তখন জনশূন্য হয়ে যান। মরুর পশুপাখিরা সেখানে মলমুত্র ত্যাগ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ কুকুরের বাসস্থানে পরিণত হয়। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (জযবুল কুলূব)
৫. পবিত্র মিম্বর শরীফ উনার অবমাননা: কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
فَلَمْ يُمَكِّنْ اَحَدًا دُخُوْلَ مَسْجِدِهَا حَتّٰى دَخَلَتْهُ الْكِلَابُ وَالذِّئَابُ وَبَالَتْ عَلٰى مِنْۢبَرِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “(ঐ সময়) পবিত্র মসজি বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ বাহিনীর তা-বলীলা:
১. খুন-হত্যা: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি আলাইহি ৪২ হাজার সৈন্য নিয়ে পবিত্র মদীনা শরীফ আক্রমন করে এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনাকে ৩ দিনের জন্য হালাল ঘোষণা করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! এ সময় ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির বাহিনী শিশু এবং মহিলা ব্যতীত সর্বমোট ১২,৪৯৭ জন পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদেরকে শহীদ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাদের মধ্যে হযরত মুহাজির ও আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম এবং বিশিষ্ট হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মিলে ছিলেন ১৭০০ জন, সাধা বাকি অংশ পড়ুন...












