দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
১. দু‘আ বা মুনাজাতকারীর পানাহার, লিবাস-পোশাক হারাম ও অবৈধ উপার্জন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তার উপার্জনের মধ্যে কোন প্রকার হারাম মিশ্রিত হতে পারবে না। অর্থাৎ তার সকল রিযিক হালাল পন্থায় উপার্জিত হতে হবে। কেননা, হারাম ভক্ষণকারীর দু‘আ ও ইবাদত মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করেন না।
২. অত্যন্ত ইখলাস ও খুলূছিয়তের সাথে দু‘আ করতে হবে।
৩. দু‘আ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে খালিছভাবে রুজু থাকতে হবে। রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দু‘আ করা যাবে না।
৪. দু‘আ করার পূর্বে কোন নেক কাজ করা উত্তম। অর্থাৎ পবিত্র মীল বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত (সংসর্গ) ক্রিয়া করে:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَطَاءٍ الْـخُرَاسَانِىْ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَصَافَحُوْا يَذْهَبِ الْغِلُّ وَتَـهَادَوْا تَـحَابُّوْا وَتَذْهَبِ الشَّحْنَاءُ.
অর্থ: হযরত আতা খুরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পরস্পর মুছাফাহা করো। এতে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়, মনের কালি দূর হয়। একে অন্যকে হাদিয়া দাও। এতে মুহব্বত গভীর হয় এবং হিংসা-বিদ্বে বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
আর শায়েখ বা শায়েখ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْخُ فِىْ اَهْلِهٖ كَالنَّبِىِّ فِىْ اُمَّتِهٖ وَفِىْ رِوَايَةٍ اَلشَّيْخُ لِقَوْمِهٖ كَالنَّبِىِّ فِىْ اُمَّتِهٖ
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের নিকট যের বাকি অংশ পড়ুন...
অতএব বুঝা গেলো যে, পবিত্র ক্বলবী যিকির ব্যতীত শয়তান ও শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা যেমন অসম্ভব তদ্রুপ শরীয়ত উনার খিলাফ কাজ থেকে বেঁচে থাকাও অসম্ভব।
তাই অন্তর পরিশুদ্ধ করতে হলে বা শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে হলে পবিত্র ক্বলবী যিকির করতে হবে। কারণ পবিত্র ক্বলবী যিকিরই সার্বক্ষণিক বা দায়িমী যিকির উনার একমাত্র মাধ্যম।
যেমন দায়িমী বা পবিত্র ক্বলবী যিকির সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاذْكُر رَّبَّكَ فِىْ نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَّخِيْفَةً وَّدُوْنَ الْـجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَا বাকি অংশ পড়ুন...
মূলত অন্তর পরিশুদ্ধ করা ও হুযূরী ক্বলব হাছিল করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পবিত্র “ক্বলবী যিকির”। অর্থাৎ পবিত্র ইলমে তাছাওউফ তথা মুহলিকাত ও মুনজিয়াত সম্পর্কিত পবিত্র ইলম অর্জন করার সাথে সাথে ক্বলবী যিকির করতে হবে, তবেই অন্তর পরিশুদ্ধ হবে ও হুযূরী ক্বলব অর্জিত হবে এবং নামাযসহ সকল ইবাদত-বন্দিগী শুদ্ধভাবে বা পবিত্র ইখলাছ উনার সাথে আদায় করা সম্ভব হবে। যার ফলে ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র ক্বলবী যিকির করাকে ফরয বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মুনজিয়াত منجيات হলো ওই সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব, যে সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব নাজাত বা মুক্তি দেয়। অর্থাৎ “তায়াল্লুক মায়াল্লাহ” বা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সম্পর্ক মুবারক সৃষ্টি করে দেয়।
জনৈক বুযুর্গ কবি বলেন-
خواہی کہ شوی منزل قرب مکین. بنیک چسیز نفس خویش را فرما تعلیم
অর্থ : যদি তুমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক লাভ করতে চাও, তবে তোমার নফ্স্ বা অন্তরকে নেক খাছলতসমূহ দ্বারা তা’লীম দাও।
আর ওই সকল নেক খাছলত মুবারক হচ্ছে-
১। তওবা (গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন), ২। ছবর (ধৈর্য), ৩। শোকর (কৃতজ্ঞতা), ৪। তাওয়াক্ক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান যে, তাদের মাঝে তাদের জন্য একজন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করেছেন, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ তিলাওয়াত করে শুনাবেন, তাদেরকে তাযকিয়া (পরিশুদ্ধ) করবেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন। যদিও তারা পূর্বে হিদায়েত প্রাপ্ত ছিল না। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬৪)
অনুরূপ পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২৯ ও ১৫১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ এবং পবিত্র সূরা জুমুয়াহ শরীফ উনার ২ নম্বর আয়াত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ উনার
বরকতময় শানে নুযূল বা অবতীর্ণের কারণ
‘পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ’ উনার বরকতময় শানে নুযূল সম্পর্কে বলা হয়, আরব দেশের এক সম্পদশালী ব্যক্তি যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত ছিল তখন আবূ জাহিল সেখানে উপস্থিত হয়ে মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে বললো, তোমার অর্থ-সম্পদ ও সন্তানকে আমার নিকট সোপর্দ করো, তাহলে আমি তোমার অর্থ-সম্পদ ও সন্তানকে যথাযথভাবে দেখাশুনা করবো। যাতে অন্য কেউ উক্ত অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করতে না পারে এবং তোমার সন্তানের উপর যুলূম ও অত্যাচার না করে। তখন মৃতপ্রায় ব্যক্তি আবূ জেহেলকে সব বুঝিয়ে দিল। অতপর উক্ত ব্যক্তি মারা য বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
এক আহালের দুই আহলিয়া, প্রথম আহলিয়া অনেক বছর আহাল থেকে আলাদা। অবশেষে প্রথম আহলিয়া একাধিকবার তালাক নিতে চাইলে আহাল তালাক দিতে রাজি হয় না। পরে আহলিয়া তার আহালকে মোবাইলে কল করে, আহালকে এক প্রকার বাধ্য করে মৌখিকভাবে তালাক দিতে। অবশেষে আহাল তার অনিচ্ছাসত্বেও আহলিয়ার শিখিয়ে দেওয়া তরতীব অনুযায়ী মোবাইল কলে তালাক দেয়। তার বক্তব্য ছিলো এমন- আমি অমুক (আহালের নাম) অমুকের (আহলিয়ার বাবার নাম) অমুককে (আহলিয়ার নাম) স্বজ্ঞানে, স্ব-ইচ্ছায় তালাক দিচ্ছি, এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক। এভাবে আহাল তালাক প্রদান করে। মোবাইল কলে একজন মেয়ে ও একজ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান যে, তাদের মাঝে তাদের জন্য একজন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করেছেন, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ তিলাওয়াত করে শুনাবেন, তাদেরকে তাযকিয়া (পরিশুদ্ধ) করবেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন। যদিও তারা পূর্বে হিদায়েত প্রাপ্ত ছিল না। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬৪)
অনুরূপ পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২৯ ও ১৫১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ এবং পবিত্র সূরা জুমুয়াহ শরীফ উনার ২ নম্বর আয়াত বাকি অংশ পড়ুন...












