এরপর যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
سُنَّةَ اللهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ
“এটা তো নতুন নয়, অতীতে যারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অতীত হয়েছেন, উনাদের ব্যাপারেও যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যে হুকুম-আহকাম, তর্জ-তরীক্বা মুবারক সেটা এভাবেই ছিল।” সুবহানাল্লাহ!
এখানে একাধিক বিষয়। একটা হচ্ছে, পালক ছেলে উনার আহলিয়াকে গ্রহণ করা। আরেকটা হচ্ছে, যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে তিনি ভয় করেন অন্য কাউকে ভয় করেন না। আরেকটা হচ্ছে, একাধিক হযরত উম্মাহাতু বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন-
وَلَاشَاهِدٌ وَّلَا وَلِيٌ
‘আমার নিসবাতুল আযীম শরীফে কোন শাহিদ, সাক্ষীর প্রয়োজন হয়নি এবং কোন ওলীরও প্রয়োজন হয়নি। সুবহানাল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার সাক্ষী এবং ওলী। ’ সুবহানাল্লাহ!
زَوَّجْنَاكَهَا
“আমি আপনার নিসবাতুল আযীম শরীফ সম্পন্ন করে দিলাম। ” সুবহানাল্লাহ!
এটা হচ্ছে শুধু একটি শরীয়ত উনার হুকুম জারি করার জন্য। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আমি আপনার সাথে উনার মহাসম্মানিত নিসবাতুল আযীম শরীফ সম্ বাকি অংশ পড়ুন...
এই বিষয় সম্পর্কে আরো অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। কাফির, মুশরিক, মুনাফিকরা বলে থাকে মানুষের ভয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিষয়টি চুপিয়ে রেখেছেন, বলেননি, পরে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিলের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ! এর পিছনে আরো আয়াত শরীফ রয়েছে। কাফির, মুশরিক, মুনাফিকদের অপপ্রচারের জবাব দিয়ে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, যে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার সে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ، وَاتَّقِ اللهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَاهُ
“যখন আপনি মহাসম্মানিত হাবীব পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন। (কি বললেন?) যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব উনাকে নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন, আপনিও উনাকে নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন। আপনি আপনার মহাসম্মানিত আহলিয়া আলাইহাস সালাম উনাকে হিফাযতে রাখুন। (অর্থাৎ উনাকে তালাক্ব যেন তিনি না দেন বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوٰى، إِنْ هُوَ إِلاَّ وَحْيٌ يُّوحٰى
“তিনি ওহী মুবারক ছাড়া কোন কথা বলেন না, কোন কাজ মুবারক করেন না, কোন সম্মতি মুবারকও দেন না। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের দু’জনের মধ্যে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়টা যখন প্রথমতঃ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার ভাই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জা বাকি অংশ পড়ুন...
‘হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা মুবারকের কোন মেছাল নেই। উনারা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! উনারা কারো মতো নন। এই বিষয়টা সকলকে ফিকির করতে হবে। জিন-ইনসান বুঝতে না পারার কারণে মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান প্রকাশ করতে পারেনি। উনাদের শান-মানের খিলাফ অনেকে বক্তব্য পেশ করেছে। নাউযুবিল্লাহ! যে বিষয়গুলো কাট্টা কুফরী, ঈমানহারা হওয়ার কারণ, জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক য বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَحِبُّوا هٰؤُلَاءِ
“তোমরা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহব্বত মুবারক করো।” আর উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন।
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ.
“হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৬ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ এবং আরো কয়েকখানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মাধ্যমে। আরো ৭ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন। এ বিষয়গুলো মুখস্থ করা ফরযে আইন।
উম্মতের জন্য ও মুসলমানদের জন্য আফসূস! তারা কিন্তু হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক বুঝতে পারে নাই। নাউযুবিল্লাহ! যার জন্য দেখা যায় সমস্ত কিতাবের মধ্যে, যে কিতাবেই হোক, সর্বশেষে উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে। নাউয বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো স্পষ্ট করে বললেন-
إِنَّمَا يُرِيدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
“নিশ্চয়ই যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চান, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। সমস্ত প্রকার নাপাকী দূর করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করা হয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে সব জবাব দিয়ে দিলেন। সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন-
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلاً مَّعْرُوفًا.
“যদি আপনারা মুত্তাক্বী হয়ে থাকেন তাহলে মানুষের সাথে কথা বলার সময় নরম স্বরে কথা বলবেন না। (যার জন্য হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যখন কারো সাথে কথা বলতেন কোন প্রয়োজনে, উনারা হাত মুবারক জবান মুবারকে রেখে কথা বলতেন যেন স্বরটা স্পষ্ট বুঝা না যায়। এভাবে উনারা কথা মুবারক বলতেন। ) যাদের অন্তরে গালিজ রয়ে গেছে (তারা চু-চেরা করতে পারে। তারা নানাভাবে লালায়িত হতে পারে। ) বর বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করলেন-
يَا نِسَاء النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاء
অর্থ : হে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আপনারা কোন মহিলাদের মতো নন। ” সুবহানাল্লাহ!
‘এখন যারা বলে যাচ্ছে প্রকাশ্য ফাহিশাহ কাজ। এর অর্থ ও ব্যাখ্যা অনেক রয়েছে, তবে মূল ব্যাখ্যা হলো, আপনারা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসন্তুষ্টিমূলক কোন কাজ করেন, তাহলে কি হবে? দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে। নাউযুবিল্লাহ! যিনি খ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রয়োজনে আপনি আপনার পিতা-মাতা উনাদের সাথে আলোচনা মুবারক করে জবাব দিবেন। তিনি বললেন ঠিক আছে, কি বিষয়। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক তিলাওয়াত করে শুনালেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি শুনে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলেছেন, আমি যেন আমার পিতা-মাতা উনাদেরকে জিজ্ঞেস করে জবাব দেই। আপনি আমাকে মহব্বত মুবারক করেন। আসলে আমার পিতা-মাতা উনাদে বাকি অংশ পড়ুন...












