সুওয়াল: পবিত্র কুরবানী করার সুন্নতী পদ্ধতি এবং নিয়ত জানালে খুশি হবো।
জাওয়াব: পবিত্র কুরবানীর পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা পশ্চিম দিকে রেখে অর্থাৎ ক্বিবলামুখী করে শোয়ায়ে পূর্ব দিক থেকে চেপে ধরতে হবে, তারপর পবিত্র কুরবানী করতে হবে। আর পবিত্র কুরবানী করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, সীনার উপরে নরম স্থানের উপর থেকে গলার মধ্যে একটি উঁচু হাড় রয়েছে: উভয়ের মাঝামাঝি স্থানে যেন যবেহ করা হয়। আরো উল্লেখ্য যে, গলাতে চারটি রগ রয়েছে, তন্মধ্যে গলার সম্মুখভাগে দুটি- খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী এবং দু’পার্শ্বে দুটি রক্তনালী। এ চারটির মধ্যে খাদ্যনালী বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ্বামিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ১২ ইমামগণের মধ্যে ৫ম ব্যক্তিত্ব। তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দৌহিত্র এবং হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হযরত ইমাম যায়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম) উনার সম্মানিত আওলাদ। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিতা মা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِـىٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ اَجْلَسَنِـىْ جَدِّىَ الْـحُسَيْنُ بْنُ عَلِـىٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ فِـىْ حِجْرِهٖ وَقَالَ لِـىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِئُكَ السَّلَامُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, একদা (আমি স্বপ্ন মুবারক-এ দেখলাম) আমার মহাসম্মানিত দাদাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে উনার মহাসম্মানিত ও বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না। ” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘ বাকি অংশ পড়ুন...
মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহিকে বলা হয় হাজার বছরের মুজাদ্দিদ। মোঘল শাসক আকবর ও সম্রাট জাহাঙ্গীর মধ্যকার সময়ে উনার আগমন। তিনি একাই আকবরের দ্বীনে ইলাহী নামক কুফরী ধর্মের মূল উৎপাটন করেছিলেন এবং মুসলমানদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সঠিক দ্বীন ইসলাম। তিনি না থাকলে হয়ত ভারত বর্ষে অনেক মুসলমানকে এখন দ্বীন-ই-ইলাহী ধর্মের অনুসারি হতে হতো। সেই মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহির জীবনীতে দেখা যায়, তিনি প্রথম জীবনে একবার ফরজ হজ্জ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কাফেলার সাথে রওনা দিয়েছিলেন। পথিমধ্যে তিনি ঐ জামানার বিখ্যাত ওলী ও শায়েখ হযরত বাকী বিল বাকি অংশ পড়ুন...
বোরকা পরিধান করে হাত ও মুখ খোলা রেখে ঘর থেকে বের হওয়া জায়েজ নেই ।হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
حَمَلَهَا وَرَاءَهُ وَجَعَلَ رِدَاءَهُ عَلَى ظَهْرِهَا وَوَجْهِهَا-
অর্থ: খায়বার বিজয়ের পর পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দিকে প্রত্যাবর্তনের সময় মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার বাহন মুবারকে উম্মুল মুমিনীন হযরত আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনাকে পিছনে বসিয়ে উনার স্বীয় চাদর মুবারক পিঠের উপর দিয়ে ও মুখের উপর দিয়ে উনাকে ঢেকে নেন। (মুখতাছারু ছহীহিল ইমামিল বুখারী-৩/৫৩, ফী যিলালিল কুরআন, যাদু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ يَـقُوْلُ مَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِزَارِ فَـهُوَ فِي الْقَمِيْصِ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, লুঙ্গি যেমন নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে, তদ্রুপ জামাও নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুল আওসাত, শুয়াবুল ঈমান ৮/২২০)
মূলত, ক্বমীছ বা জামা ও ইযার বা লুঙ্গি সমান সমান হতে পারে আবা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নূরুন নি‘য়ামাহ মুবারক অর্থাৎ দাড়ি মুবারকের বর্ণনা:
তাছাড়া পবিত্র হাদীছ শরীফে স্পষ্ট বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওযু করার সময় উনার নূরুন নি‘য়ামাহ মুবারক অর্থাৎ দাড়ি মুবারক খিলাল করতেন। অর্থাৎ দাড়িতে চোয়ালের নীচ দিয়ে অঙ্গুলী মুবারক চালনা করে পানি পৌঁছাতেন। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্য বাকি অংশ পড়ুন...
প্রসঙ্গত, কিতাবে একটি ওয়াকিয়া বর্ণিত আছে, পূর্ববর্তী যামানায় এক ব্যক্তি ছিল, যে মোটামুটি স্বচ্ছল ছিল। সে কুরবানী না করে কুরবানীর টাকা গরীব-মিসকীনদেরকে দিয়ে দিত। ঐ ব্যক্তি একদিন স্বপ্নে দেখল, ক্বিয়ামত সংঘটিত হয়ে গেছে এবং জান্নাত-জাহান্নামের ফায়ছালাও হয়ে গেছে। পুলছিরাত পার হয়ে যারা জান্নাতী উনারা জান্নাতে চলে যাবেন, আর যারা জাহান্নামী তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। দেখা গেল, একটি করে বাহন আসলো এবং সেই বাহনে চড়ে অনেকে পুলছিরাত পার হয়ে গেল। কিন্তু ঐ লোকের কোনো বাহন আসল না। জিজ্ঞাসা করা হল, তার বাহন কোথায়? বলা হল, তার কোন বাহন নেই বাকি অংশ পড়ুন...
যারা পবিত্র হজ্জ করতে যাবে তাদেরকে প্রথমে পবিত্র মদীনা শরীফে গিয়ে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফে গিয়ে পবিত্র সালাম মুবারক পেশ করাটা আদব। এটা পবিত্র হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ আহকাম এবং আদবের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, হাজী ছাহেবদেরকে প্রথমে পবিত্র মক্কা শরীফে যাওয়ার ব্যাপারে বাধ্য করা হয়। আবার বর্তমানে এ নিয়ম জারী করা হয়েছে যে, কোন হাজী ছাহেব ৮ দিনের বেশ বাকি অংশ পড়ুন...












