ঢিলা-কুলখ ব্যবহার করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। কারণ এ ব্যাপারে উদাসীনতার ফলে শরীর ও কাপড় নাপাক থেকে যায় এবং ওজু ও নামাযও বাতিল হয়ে যায়।
শুকনা মাটির টুকরা, পাথর, নতুন বা পুরাতন কাপড়ের টুকরা, তুলা ইত্যাদি দ্বারা কুলুখ নেয়া জায়িয আছে। হাড়, শুকনা চামড়া, কয়লা ইত্যাদি কুলুখরূপে ব্যবহার করা মাকরূহ। কোন খাদ্যদ্রব্য দ্বারা কুলুখ নেয়া নিষিদ্ধ, হারাম।
পুরুষের ছোট ইস্তিঞ্জা একেবারেই সম্পূর্ণ নির্গত হয় না। খানিকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় ইস্তিঞ্জা বন্ধ হওয়া মাত্রই অপেক্ষা না করে পানি ব্যবহার করে উঠে গেলে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يـَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاَمْرَأَةٍ اِلَّا ثَالِثُهَا الشَّيْطَانُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (মহান আল্লাহ পাক উনার কসম!) কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই শয়তান এসে তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয়। অর্থাৎ তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত করার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে।” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ২৩ নম্বর আয়াত শরীফ:
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
অথ : নিশ্চয়ই যারা অপবাদ দেয়, যে সমস্ত সতী-সাধবী মহিলা, পবিত্রা মহিলা উনারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। (উনারা অপরাধতো করেন নাই বরং এ বিষয়ে উনাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। উনাদের বিরুদ্ধে তোমরা তোহমত দিও না, দিলে কি হবে?) যে অপবাদ দিবে তার জন্য ইহকাল পরকালে কঠিন লা’নত রয়েছে। এবং তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রাখা হয়েছে।” নাউযুবিল্লাহ!
অর বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার একপর্যায়ে-
أَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي ضَرَبَ ابْنِي فَقَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا ضَارِبُ ابْنِكِ قَالَتْ فَأَعْتَرِضُ لَهُ فَأَضْرِبُ ساقه فبرك قالت فرأيت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ
অর্থ: “আমার সন্তান উনাকে যেই কাট্টা কাফির আঘাত করেছে সে অগ্রসর হয়ে সামনে আসছিলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً وَاللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
অর্থ: “তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে উত্তম ঋণ দিবে। মহান আল্লাহ পাক উনার পথে দান ছদকা করবে। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে তা বহু বহুগুণে বাড়িয়ে দিবেন। বস্তত: মহান আল্লাহ পাক তিনি কাউকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল করেন এবং উনার দিকেই তোমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৪৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃ বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান সময়ে ইহুদী ফান্ড দ্বারা পরিচালিত ওহাবী, সালাফী, লা’মাযহাবী ফেরকার লোকেরা সমাজে ইচ্ছামত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে জাল, মওজু, দ্বয়ীফ বলে অপপ্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের মতবাদের বিপক্ষে মনে হলেই সেটাকে তারা জাল বলছে। আর এ জন্য তারা উছুলে হাদীছ শরীফ উনার বিভিন্ন অপব্যাখ্যার আশ্রয়ও গ্রহণ করতে কার্পণ্য করছে না। শত শত বছর ধরে উম্মত যে হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল করে আসছে কেউ কোন আপত্তি করে নাই অথচ হাল যামানায় এসব ওহাবীরা হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে জাল! জাল! বলে চিৎকার শুরু করেছে।
তাদের ধারণা পবিত্র বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ ছাড়া পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا تَـجْعَلُوْا دُعَآءَ الرَّسُوْلِ بَيْنَكُمْ كَدُعَآءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا
অর্থ: তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাকো, সেভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করো না। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নূর : আয়াত শরীফ ৬৩)
বাকি অংশ পড়ুন...
আজ ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ শহীদ দিবস। কল্পকাহিনীর উপর নির্ভর করে ঐতিহাসিক জলজ্যান্ত সত্য ভারতে মুসলমানদের ৪৬০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালের এই দিনে ভেঙে দেয়া হয়। ভারতের হাইকোর্ট কিন্তু সকল বাস্তব প্রমাণ ও নথিকে অগ্রাহ্য করে হিন্দুদের কল্পকাহিনীর পক্ষে রায় দিয়েছিলো। কাফির মুশরিকরা যে মুসলমানদের শত্রু এটা এখানে স্পষ্ট। এরপর ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার সারা ভারত জুড়ে একের পর এক মসজিদ, মাদরাসা, গোরস্থান, মুসলমানদের বাড়ি ঘর, দোকান-পাট সব উচ্ছদ করেই চলছে। সব প্রদেশে মুসলমানদেরকে জুলুম করা হচ্ছে, স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্ত বাকি অংশ পড়ুন...












