ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি এবং কোনো কিছু সমর্থন মুবারকও করেননি। উনার হাটা-চলা মুবারক, নড়া-চড়া মুবারক, খাওয়া-দাওয়া মুবারক, শ্বাস-প্রশ্বাস মুবারক, চোখ মুবারক উনার পলক মুবারক, দৃষ্টি মুবারক, ঘুম মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্বপ্ন মুবারকও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মূলত, ইজতিহাদ সংক্রান্ত উল্লেখিত হাদীছ দুইটি সনদ ও মতন উভয় দিক থেকেই ক্রটিপূর্ণ, বানোয়াট, মওযূ ও ভিত্তিহীন। নি¤েœ এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
১নং মওযূ হাদীছের খ-নমূলক জবাব
‘বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আহমদ, মুসনাদে বায্যার, মুসনাদে আবী ইয়া’লা, ছহীহ ইবনে হিব্বান, আস সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
لَمْ يَكْذِبْ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ
“হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ৩টি মিথ্যা কথা বলেছেন।” না‘ঊযুবিল্লাহ! এই মওযূ হাদীছটির ব্যাপারে হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
قُلْتُ لِبَعْضِهِمْ هٰذَا الْحَدِيْثُ لَا يَنْۢبَغِىْ اَنْ يُّقْبَلَ لِاَنَّ نِسْبَةَ الْكَذِبِ اِلٰى حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا تَجُوْزُ فَقَالَ ذٰلِكَ الرَّجُلُ فَكَيْفَ يُحْكَمُ بِكَذِبِ الرُّوَاةِ الْعُدُوْلِ فَقُلْتُ لَمَّا وَقَعَ التَّعَارُضُ بَيْنَ نِسْبَةِ الْكَذِبِ اِلَى الرَّاوِىْ وَبَيْنَ نِسْبَتِهٖ اِلَى الْخَلِيْلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ مِنَ الْمَعْلُوْمِ بِالضَّرُوْرَةِ اَنَّ نِسْبَتَهٗ اِلَى الرَّاوِىْ اَوْلٰى
অর্থ: “আমি তাদের একজনকে বলেছি, এই হাদীছটি গ্রহণ করা জায়িয নেই। কেননা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম (হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন, এটা বলা জায়িয নেই। তখন ঐ লোকটি বললো, তাহলে কিভাবে ন্যায়পরায়ণ বা ছিক্বাহ রাবীদের প্রতি মিথ্যার রায় দেয়া যেতে পারে? অর্থাৎ কিভাবে বলা যেতে পারে যে, একজন ছিক্বাহ্ রাবী মিথ্যা বলেছেন? আমি বললাম, যখন তা‘আরুয বা মতবিরোধ দেখা দিয়েছে যে, রাবী মিথ্যা বলেছে নাকি হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মিথ্যা বলেছেন। তখন আবশ্যক হয়ে পড়ে যে, রাবী মিথ্যা বলেছে, এটা বলা উত্তম।” (তাফসীরে কবীর ২৬/৩৪২)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে- যদি হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার শান মুবারক এরূপ হয় যে, উনি মিথ্যা বলেছেন এটা বলার চেয়ে রাবী মিথ্যা বলেছে এটা বলা উত্তম হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলে উনি ভুল করেছেন, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! এটা বলার চেয়ে যেই রাবী হাদীছ শরীফ বর্ণনার ক্ষেত্রে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত, যেই রাবী মওযূ হাদীছ বর্ণনাকারী, যেই রাবী মুদাল্লিস, মুদতারিব, অত্যন্ত যঈফ, অধিক ভুলকারী এবং মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সেই রাবী ভুল করেছেন, মিথ্যা বলেছেন এবং যারা স্বীয় কিতাবে সংকলন করেছেন বা উল্লেখ করেছেন উনারা ভুল করেছেন, এটা বলা কি উত্তম নয়?
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












