(গত পর্বের পর)
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উক্ত কিতাবের ৬০৪নং বাব যার নাম হচ্ছে-
بَابُ الدُّعَاءِ فِي الْوِلَادَةِ- (সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য দোয়া করা) এখানে আরো একটি ছহীহ হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন।
আর এই পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে জানা যায় যে, এক দুইজন নয়, বরং একদল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বিলাদত বা জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দাওয়াতে এসে খাওয়া দাওয়া করেছেন এবং শিশুর জন্য দোয়া করেছেন-
عَنْ حَضْرَتْ مُعَاوِيَةَ بْنَ قُرَّةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يَقُوْلُ لَمَّا وُلِدَ لِـي اِيَاسٌ دَعَوْتُ نَفَرًا مِنْ اَصْحَابِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ف বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৮. প্রসঙ্গ : এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয, গোঁফ ছোট করে রাখা সুন্নত, মু-ন করা বিদয়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : দাড়ি রাখা জরুরী নয় বরং সুন্নত। দূর থেকে বুঝা যায়, এতটুকু পরিমাণ দাড়ি রাখলেই চলে। একমুষ্টি পরিমাণ রাখা শর্ত নয়। আর গোঁফ মু-ন করাই সুন্নত।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : দাড়ি কমপক্ষে একমুষ্টি পরিমাণ লম্বা করা ফরয-ওয়াজিব। অর্থাৎ একমুষ্টি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা বা ছাঁটা হারাম। চার মাযহাবের ইমামগণ উনারা এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। আর গোঁফ মু-ন করা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াত। গোঁফ কাঁচি বাকি অংশ পড়ুন...
তাক্বওয়া শব্দটি সাধারণত দু’টি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একটি অর্থ হলো- ডর বা ভয় পাওয়া বা ভয় করা যা মাজাযী তাক্বওয়া। আর একটি হলো- হাক্বীক্বী তাক্বওয়া। সেটা হলো পরহেযগারী ইখতিয়ার করা, অর্থাৎ মূল পরহেযগারী কোনটা?
মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া সমস্ত গায়রুল্লাহ্ থেকে পরহেয করা। সেটা হলো মূল হাক্বীক্বী তাক্বওয়া। হাক্বীক্বী পরহেযগারী।
এ সম্বন্ধে বলা হয়ে থাকে, একটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত মুআয ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। এক তাবেয়ী এসে হযরত মুআয ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ব বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেদিন দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন, সেই দিন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) ঈদের দিন তো অবশ্যই; শুধু তাই নয়; সেদিন রোযার ঈদ, কুরবানীর ঈদ, জুমু‘আর ঈদসহ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে আরো যত বড় বড় বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আক্বীক্বাহ্ মুবারক দেয়া এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক রাখা:
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশের ৭ম দিনে পশু যবেহ করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আক্বীক্বাহ্ মুবারক করেন এবং কুরাইশদেরকে দাওয়াত মুবারক করেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে সম্মানিত মেহমানগণ বললেন, হে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় বাকি অংশ পড়ুন...
২২ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আঙ্গুল মুবারক نُوْرُ الشَّقِّ مُبَارَكٌ নূরুশ শক্ব মুবারক
২৩ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যবান মুবারক نُوْرُ السَّلَامِ مُبَارَكٌ নূরুস সালাম মুবারক
২৪ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘাম মুবারক نُوْرُ الطِّيْبِ مُبَارَكٌ নূরুত ত্বীব মুবারক
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ وَالنَّـهَارَ اٰيَتَيْنِ. فَمَحَوْنَا اٰيَةَ اللَّيْلِ وَجَعَلْنَا اٰيَةَ النَّـهَارِ مُبْصِرَةً لّتَـبْتَغُوا فَضْلًا مّن رَّبّكُمْ وَلِتَعْلَمُوا عَدَدَ السّنِينَ وَالْـحِسَابَ. وَكُلَّ شَيْءٍ فَصَّلْنَاهُ تَـفْصِيلًا
অর্থ: “আমি রাত্রি ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। অতঃপর নিষ্প্রভ করে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে দেখার উপযোগী করেছি, যাতে তোমরা তোমাদের মহান রব তায়ালা উনার মুবারক অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা জানতে পারো বছরসমূহের গণনা ও হিসাব এবং আমি সব বিষয়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। ” (পবিত্র সূরা বনী ইসরা বাকি অংশ পড়ুন...
মুবারক শানে গোস্তাখী করার পরিণতি:
পবিত্র বদরের জিহাদে আব্দুল উজ্জা নামক এক মুনাফিক ধরা পড়লো। এই মুনাফিকের কাজ ছিলো সার্বক্ষণিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে কুৎসা রটনা করা এবং সেগুলো দিয়ে গান-বাজনা বানিয়ে প্রচার করা। নাউযুবিল্লাহ! মুনাফিক আব্দুল উজ্জাকে যখন গ্রেফতার করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে নিয়ে আসা হলো, তখন সে ক্ষমা চেয়ে খুব কাকুতি-মিনতি করে পায়ে পড়ে কান্নাকাটি শুরু করলো এবং বলতে লাগলো, সে জীবনে আর ক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمَّارِ بْنِ يَاسَرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰي عَنْهُ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ أَبَدًا: اَلدَّيُّوثُ مِنَ الرِّجَالِ، وَالرَّجُلَةُ مِنَ النِّسَاءِ، وَمُدْمِنُ الْخَمْرِ.
অর্থ: হযরত আম্মার বিন ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তি কখনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(১) দাইয়ূছ (যে পুরুষ নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করায় না)।
(২) ঐ সকল মহিলা বাকি অংশ পড়ুন...












