পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَّلاَ صُوْرَةُ تَمَاثِيْلَ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন বাকি অংশ পড়ুন...
অনেকে মনে করে থাকে, বাচ্চা ছেলে তাকে একটু মেন্দী বা মেহেদী দিয়ে দেয়া হোক, তাতে অসুবিধার কি রয়েছে? তারা এখনও বালেগ হয়নি। কিন্তু না, বুখারী শরীফের হাদীছ শরীফে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার হযরত আন নূরুর রাবিআহ ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফে তাশরীফ নিলেন। সেখানে যেয়ে দেখতে পেলেন, হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
‘নুযহাতুল মাজালিস’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
فَعَلِمَتْ اَحْبَارُ الشَّامِ بِـسَيِّـدِنَـا حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ لِاَنَّ فِـىْ كُتُبِهِمْ اِذَا قَطَرَتْ جُبَّةُ حَضْرَتْ يَـحْيٰـى عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَدْ وُلِدَ وَالِدُ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “শাম দেশের পাদ্রীরা সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে জানতো। কেননা তাদের আসমানী কিতাবসমূহে লিখা ছিলো যে, যখন হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত জুব্বা মুবারক থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে রক্ত মুবারক ঝরতে থাকবে, তখন বুঝতে হবে যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হ বাকি অংশ পড়ুন...
মালিকু আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় মহাসম্মানিত পরিচয় মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক উসীলায় সমস্ত জিন-ইনসান এবং তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের সফল কৃষি বিপ্লবের মূলসূত্র:
মুসলমানরা ব্যাপকভাবে অর্থকরী ফসলায়ন এবং আধুনিক ফসলাবর্তন পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। কোনো জমিতে দুই বছর সময়ের মধ্যে চার বা ততোধিক ফসল উৎপাদন করার পদ্ধতিই হচ্ছে ফসলাবর্তন পদ্ধতি। মুসলমানরা ১) ফসলাবর্তনের বাস্তবসম্মত পদ্ধতি, ২) সুউন্নত সেচ কৌশল, ৩) বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন শস্যের আবাদ এই তিনটি প্রধান উপাদানের উপর ভিত্তি করে একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিকাশ ঘটান। এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটি শস্য উৎপাদনের ঋতু, জমির ধরণ এবং পানির প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে ব্যবহৃত হয়। চাষাবাদ এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ে অত বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قَاتِلُوْهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللهُ بِاَيْدِيْكُمْ وَيُـخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: আপনারা তাদের (কাফির-মুশরিকদের) বিরুদ্ধে জিহাদ করুন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। সুবহানাল্লাহ! তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদেরকে জয়ী করবেন এবং সম্মানিত ঈমানদার উনাদের অন্তরসমূহকে শিফাদান করবেন অর্থাৎ এতমিনান দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ: আয়াত শরীফ ১৪)
বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বাতিল আক্বীদা ও ফিরক্বার লোকদের বক্তব্য হচ্ছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ; তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়। আর ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ বিলাদত শরীফ উনার দিন এটা সবচেয়ে দুর্বল মত। ” এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফায়সালা কি?
জাওয়াব: (২য় অংশ)
হযরত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের বর্ণনা মতে, কোন মুসলমান নামধারী আলিম ও জাহিল নামধারী ব্যক্তির প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার রহমত উনার বাকি অংশ পড়ুন...
রিয়া অর্থ লৌকিকতা বা লোক দেখানো কাজ। যারা রিয়ার পর্যায়ে কোন প্রকারের ইবাদত করে তাদের সেই ইবাদতের পরিণাম খুবই ভয়ানক। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে রিয়াকারীদের সম্পর্কে বহু আয়াত শরীফ উল্লেখ রয়েছে এবং একইভাবে অনেক হাদীছ শরীফও উল্লেখ রয়েছে। রিয়া এটি মুনাফিকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যও বটে। এছাড়া এটি ইখলাছ বা একনিষ্ঠতার পরিপন্থী। অতএব, রিয়া নামক বদ খাছলত বা বদ স্বভাবটি নিজেদের দেহ মন থেকে দূরীভূত করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীদের জন্য ফরযের অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَمَن كَانَ يَرْجُو لِق বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন চার শ্রেণীর লোকদের সুপারিশ করবো-
এক. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সম্মান মুবারক করবেন।
দুই. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারকের আনজাম দিবেন।
তিন. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরী বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ اِكْرَامًا فَكَاَنَّـمَا اَنْفَقَ جَبَلًا مِّنْ ذَهَبٍ اَحْـمَرَ فِـى الْيَتَامٰى فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ
অর্থ: যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে, মেহমানদারী করার মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র তারীখ মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ يَـقُوْلُ مَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِزَارِ فَـهُوَ فِي الْقَمِيْصِ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, লুঙ্গি যেমন নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে, তদ্রুপ জামাও নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুল আওসাত, শুয়াবুল ঈমান ৮/২২০)
মূলত, ক্বমীছ বা জামা ও ইযার বা লুঙ্গি সমান সমান হতে পারে আবা বাকি অংশ পড়ুন...












