রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ১০ম উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম। উনার পবিত্র নাম মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হাদীছ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত আছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে খেজুর ও আঙুর মিশ্রিত শরবত পেশ করতেন এবং তা থেকে তিনি খেতেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “আঙুর ফল রক্তকে বিশুদ্ধ করে, বলিষ্ঠতা দান করে এবং কিডনিতে শক্তি সঞ্চার করে তাকে পরিষ্কার করে। ” সুবহানাল্লাহ!
বরকতময় এ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় সুন্নতী বিষয়াদিসহ সকল প্রকার সুন্ন বাকি অংশ পড়ুন...
কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার জবান মুবারক নিঃসৃত কথা মুবারক, আমল মুবারক, আচার-ব্যবহার মুবারক ও আদেশ-নিষেধ মুবারক ইত্যাদির মধ্যে কোন না কোন হিকমত লুকায়িত থাকে যা সার্বিকভাবে মুরীদের জন্য ফায়দা লাভ করার কারণ। যদিও তাৎক্ষনিকভাবে মুরীদ-মুতাক্বিদরা সে সমস্ত বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারে না, তাই কামিল শায়েখ যদি এমন কোন কথা বলেন বা আমল করেন যা মুরীদ অনুধাবন করতে পারছে না তখন শায়েখ উনার প্রতি হুসনে যন বিশুদ্ধ রাখবে এবং জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবে। তাতেও যদি বুঝে না আসে তাহলে নিজের আক্বল-সমঝের অভাব মনে করে চুপ থাকবে। এতেই মুরীদের কামি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতকে সতর্ক করে ইরশাদ মুবারক করেন-
سَيَأْتِىْ قَوْمٌ يَسُبُّوْنَهُمْ وَ يَسْتَنْقِصُوْنَهُمْ فَلا تُجَالِسُوْهُمْ وَلا تُآكِلُوْهُمْ وَلا تُشَارِبُوْهُمْ وَلا تُنَاكِحُوْهُمْ و فى رواية أُخرى وَلا تُصَلُّوْا مَعَهُمْ وَلا تَدْعُوْ لَهُمْ.
অর্থ: অতি শীঘ্রই একটি দল বের হবে, যারা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিবে, উনাদেরকে নাকিছ বা অপূর্ণ বলবে। সাবধান! তোমরা তাদের মজলিসে বসবে না, তাদের সাথে পানাহার করবে না, তাদের সাথে বিবাহ-শাদীর ব্যবস্থা কর বাকি অংশ পড়ুন...
গত পর্বের পর---
قَالَ حضرت الزُّهْرِيِّ قَالَ حضرت عُمَرُ عليه السلام فَعَمِلْتُ لِذَلِكَ أَعْمَالاً. قَالَ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأَصْحَابِهِ " قُومُوا فَانْحَرُوا، ثُمَّ احْلِقُوا ". قَالَ فَوَاللَّهِ مَا قَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ حَتَّى قَالَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ دَخَلَ عَلَى حضرت أم المؤمنين السادسة أُمِّ سَلَمَةَ عليها السلام، فَذَكَرَ لَهَا مَا لَقِيَ مِنَ النَّاسِ. فَقَالَتْ حضرت أم المؤمنين السادسة عليها السلام يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَتُحِبُّ ذَلِكَ اخْرُجْ ثُمَّ لاَ تُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى تَنْحَرَ بُدْنَكَ، وَتَدْعُوَ حَالِقَكَ فَيَحْلِقَكَ. فَخَرَجَ فَلَمْ يُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُ বাকি অংশ পড়ুন...
২. হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পরস্পরের সম্মানিত আমল মুবারক:
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ صُهَيْبٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قال رأيت حضرت عليا عليه السلام يقبل يد حضرت العباس عليه السلام ورجله
অর্থ: হযরত ছুহাইব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে দেখেছি সাইয়্যিদুনা হযরত খ্বাতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম) উনার সম্মানিত হাত মুবারক-এ এবং সম্মানিত ক্বদম মুবারক-এ বুছা মু বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে আরো একটা ওয়াকিয়া বলা হয় সেটা হলো, হযরত ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওয়াকিয়া।
উনি প্রথম যামানায় ছিলেন খুব বড় ব্যবসায়ী, ওষুধের ব্যবসা করতেন। হাজারো রকম ওষুধ ছিলো, একদিন এক ভিখারী আসল উনার দোকানে। ভিখারী অর্থাৎ ফকীর, এসে বললো যে, আমাকে কিছু খয়রাত দান করেন। কিন্তু উনি এত ব্যস্ত ছিলেন বেচা-কেনার মধ্যে যে, উনি উনাকে একটা পয়সাও দিলেন না, উনার দিকে দৃষ্টিও করলেন না।
যখন লোক খালি হয়ে গেল, তখন সে ভিখারী বললেন, হে ফরিদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কি করে আপনার জ বাকি অংশ পড়ুন...
এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
فَيَجِبُ عَلٰى اُمَّتِهِ الَّتِىْ رَفَعَهَا اللهُ بِهٖ عَلَى الاُمَمِ وَطَأْطَأَ لَهَا بِسُيُوْفِ عَزْمِهٖ شَوَامِخَ الْقِمَمِ اَنْ يَّتَّخِذُوْا لَيْلَةَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِيْدًا مِّنْ اَكْبَرِ الْاَعْيَادِ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উনার উম্মতদেরকে অন্য সকল উম্মতের উপর মর্যাদাবান করেছেন এবং উনার দৃঢ়চিত্ততার তরবারী মুবারকসমূহ উনাদের সম্মানার্থে উনার সম্মানিত উম্মত উনাদের কাছে অহংকারী জাতিদেরকে অর্থাৎ তথাকথিত পরাশক্তি রোম-পারস্যকে অবনত ক বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-
وَحُكِىَ عَنْ بَعْضِ الْـخُلَفَاءِ اَنَّهٗ كَانَ يَـجُوْرُ فِـىْ حُكْمِهٖ وَكَانَ ظَالِمًا لٰكِنْ لَّه عَادَةٌ يُـحِبُّ قِرَاءَةَ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَعْمَلُ الْوَلِيْمَةَ لِقِرَاءَتِهٖ وَكَانَ لَه اِبْنُ عَمٍّ يَرُوْمُ الْـخِلَافَةَ وَيَـتَوَقَّعُ لَهُ الدَّوَاهِىْ حَتّٰـى اَرَادَ اَنْ يَّقْتُلَه وَيَنْزَعَ الْـمُلْكَ مِنْهُ فَلَمَّا كَانَ فِـىْ بَعْضِ الْاَيَّامِ وَهُوَ فِـىْ خَلْوَةٍ مُنْفَرِدٌ عَنِ النَّاسِ مِنْ غَـيْـرِ سِلَاحٍ وَلَا خَادِمٍ عِنْدَه اِذْ دَخَلَ عَلَيْهِ اِبْنُ عَمِّهٖ وَهَجَمَ عَلَيْهِ وَالْـخَنْجَرُ بِيَدِهٖ وَقَالَ لَه مَنْ يُّـخَلِّصُكَ مِنِّـىْ يَا خَبِيْثُ بَيْنَ النَّاسِ فَجَرٰى عَلٰى لِسَانِ الْـخَلِيْفَةِ يُـخَلِّصُنِـىْ مِنْكَ مَ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا
এই পবিত্রতম আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে অনেক মুফাসসিরগণ বলেছেন: পবিত্র এই আয়াত শরীফের বাহ্যিক অর্থ হচ্ছে যে, আহলিয়াদের পুরুষের প্রকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তাদের উভয়েরই সৃষ্টির উৎস হচ্ছে এক।
এই আয়াত শরীফে ‘মিন’ শব্দটি উৎস বর্ণনা অর্থে এসেছে অর্থাৎ এখানে‘ মিন’ কোন কিছু সৃষ্টির উৎসকে বর্ণনা করেছে। এই পবিত্র আয়াত শরীফটি অন্যান্য আয়াতের মতই পুরুষ ও নারীর সৃষ্টির উৎস বর্ণনা করেছেন, যা পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।
অতএব, এটা আমাদের কাছে পরিস্কার এবং বিভিন্ন তফসির গ্রন্থের ভাষ্ বাকি অংশ পড়ুন...












