বদরের জিহাদে:
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে। যখন হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি বদরের জিহাদে বন্দী হলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম! আপনি আপনার নিজের, আপনার ভ্রাতুষ্পুত্র আকিল ও নওফল এবং আপনার বন্ধু-গোত্রের উতবার মুক্তিপণ আদায় করুন, কারণ আপনি বিত্তশীল লোক। ” হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম বললেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অন্তরে মুসলমান ছিলাম, কিন্তু লোকেরা আমাকে যুদ্ধে নামতে বাকি অংশ পড়ুন...
আর এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’-এ উল্লেখ রয়েছে,
مَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّ كُفْر الْيَهُودِ عِنَادٌ وَجُحُودٌ وَمُبَاهَتَةٌ لِلْحَقِّ وغَمْط لِلنَّاسِ وتَنَقص بِحَمَلَةِ الْعِلْمِ وَلِهَذَا قَتَلُوا كَثِيرًا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى هَمُّوا بِقَتْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ مَرَّةٍ وَسَحَرُوهُ وألَّبوا عَلَيْهِ أَشْبَاهَهُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
অর্থ: ইহুদীরা ঈমানদার উনাদের সাথে যে চরম শত্রুতা পোষণ করে তার কারণ এই যে, ইহুদীদের কুফরীসমূহ- চরম অবাধ্যতা, একগুঁয়েমী, জেদ, অবিশ্বাস, আস্বীকার, হক্বের ব বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো স্পষ্ট করে বললেন-
إِنَّمَا يُرِيدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
“নিশ্চয়ই যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চান, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। সমস্ত প্রকার নাপাকী দূর করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করা হয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে সব জবাব দিয়ে দিলেন। সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া মিসরের শুষ্ক নীলনদের প্রতি ফরমান মুবারক লিখে পাঠিয়ে ছিলেন।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
مِنْ عَبْدِ اللهِ عُمَرَ اَمِيْرِ الْمُؤْمِنِينَ اِلـٰى نِيْلِ اَهْلِ مِصْرَ اَمَّا بَعْدُ فَاِنْ كُنْتَ اِنَّـمَا تَـجْرِيْ مِنْ قِبَلِكَ وَمِنْ اَمْرِكَ فَلَا تَـجْرِ فَلَا حَاجَةَ لَنَا فِيْكَ وَاِنْ كُنْتَ اِنَّـمَا تَـجْرِىْ بِاَمْرِ اللهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ وَهُوَ الَّذِىْ يُـجْرِيْكَ فَنَسْأَلُ اللهَ تَعَالٰى اَنْ يُّـجْرِيَكَ
অনুবাদ:
বিস্মিল্লাহির রহ্মানির রহীম
“এই সম্মানিত চিঠি মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা, বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি। উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা বর্ণনা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবরক সম্পর্কে অনেক সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছেন। তিনিই একমাত্র সেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, যাঁর সম্মানিত শান মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
আমর ইবনে আব্দে উদ্দ দ্বিতীয় বারের মতো আবার দাম্ভিকতা এবং অহংকারের সাথে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলো,
أين جنتكم التي تزعمون أنه من قتل منكم دخلها أفلا تبرزنّ لي رجلا
‘আপনাদের সেই সম্মানিত জান্নাত মুবারক কোথায়? যা আপনারা ধারণা করেন যে, আপনাদের কেউ শহীদ হলে তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ যাবেন। আমার মোকাবিলা করার মতো কী কোনো লোক নেই?
সে আরো বললো, ‘আপনাদের মধ্য থেকে কি একজনও আমাকে দোযখে পাঠানোর জন্য বা আমার পক্ষ থেকে উনাকে বেহেশতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত নন?’ না‘ঊযুবিল্লাহ!
তখন সে আবৃত্তি করে বলে,
ولقد بححت من الندا ... ء يجمعكم هل من مبا বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَلَا تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ الرَّسُولِ وَهُمْ بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ أَتَخْشَوْنَهُمْ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَوْهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
অর্থ: আপনারা কি সেই জাতির বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন না, যারা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থান মুবারক করার বিষয়ে বিরোধিতা করেছে এবং তিনি যেন সেখান থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন এ বিষয়ে তারা ষড়যন্ত্র করেছে? আর এরাই প্রথম বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত শায়েখ শাহ আলী ছতরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি চতুর্দশ শতকে এদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন বলে অনুমিত হয়। ইসলাম প্রচারের জন্য তিনি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন। হযরত শায়েখ শাহ আলী ছতরী রহমতুল্লাহি আলাইহি কামালিয়াত ও ত্যাগী জীবনযাত্রায় আকৃষ্ট হয়ে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তার কাছে মুরিদ হয়েছিলেন বলে অনেক ঐতিহাসিক দলিল পেশ করেছেন।
হযরত শাহ কলিমুল্লাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি: মসজিদের দক্ষিণ পাশে প্রাচীনকালের ছোট ছোট ইটে বাঁধানো দুটো কবর রয়েছে। একটি হযরত শাহ কলিমুল্লাহর রহমতুল্লাহি আলাইহির কবর, অ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ إبْرَاهِيمَ النَّخَعِيّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانُوا يُصَلُّونَ قَبْلَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত ইমাম ইবরাহীম নাখয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা কাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ১/৪৬৩, শরহে আবূ দাঊদ লিল আইনি ৪/৪৭১, ত্বরহুত তাছরীব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْطَانُ جَاثِمٌ عَلٰى قَـلْبِ ابْنِ اٰدَمَ فَإِذَا ذَكَرَ اللهَ خَنَسَ وَإِذا غَفَلَ وَسْوَسَ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, শয়তান মানুষের ক্বলবের মধ্যে বসে, যিকির করলে সে পালিয়ে যায় আর যিকির থেকে গাফিল হলে সে ওয়াসওয়াসা দেয়। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...












