সুওয়াল: বর্তমানে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষ কঠিন ভয়াবহ ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে। এ ব্যাপারে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সঠিক ফায়ছালা কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
জওয়াব: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ট্রান্সজেন্ডার সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয ও কাট্টা কুফরী। কারণ এটি হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকে পরিবর্তন করা ও উনার সাথে বিদ্রোহ করার শামিল এবং একটি সমকামী মতবাদ, ইবলীসী এজেন্ডা ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে দুনিয়ার যমীন থেকে মিটিয়ে দেয়ার একটা গভীর নীল নকশা। কেননা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক ত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি। উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা বর্ণনা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবরক সম্পর্কে অনেক সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছেন। তিনিই একমাত্র সেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, যাঁর সম্মানিত শান মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
তৃতীয় প্রমাণ
عَنْ حَضْرَتْ ثَوْبَانَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَليْهِ وسَلَّمَ يُقْتَلُ عِنْدَ كَنْزِكُمْ هٰذَا ثَلَاثَةٌ كُلُّهُمُ ابْنُ خَلِيْفَةٍ وَفِىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى وُلْدُ خَلِيْفَةٍ ثُـمَّ لَا يَصِيْرُ اِلـٰى وَاحِدٍ مِّـنْـهُـمْ وَفِىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى لَا يَصِيْرُ الْاَمْرُ اِلـٰى وَاحِدٍ مِّـنْـهُـمْ ثُـمَّ تَطْـلُعُ الرَّايَاتُ السُّوْدُ مِنْ قِـبَلِ الْمَشْرِقِ فَيَقْتُلُوْنَكُمْ قَتْلًا لَّـمْ يُقْتَلْهُ قَوْمٌ ثُـمَّ ذَكَرَ شَيْـئًا لَّا اَحْفَظُه فَقَالَ فَاِذَا رَاَيْتُمُوْهُ فَبَايِعُوْهُ وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ فَاِنَّه خَلِيْفَةُ اللهِ الْمَهْدِىُّ
অর্থ: “হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُه‘ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا اُولٰئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ اَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ.
অর্থ: ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মসজিদসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় বা বিরাণ করতে চেষ্টা করে। তাদের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অর্থাৎ খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করা ব্যতীত মসজিদসমূহে প্রবেশ করা জায়ি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ ۢبَنـٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًا بَنَـى اللهُ لَهٗ قَصْرًا فِـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মহাসম্মানিত মসজিদ নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে নাজ্জার, জ বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
اَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ
অর্থাৎ কাফেরদের প্রতি কঠোর। আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْحَقُّ يَنْطِقُ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ.
অর্থ: স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম উনার জবানে কথা বলেন।
সেই হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খেলাফতকালে জেরুজালেম তথা বায়তুল মোকাদ্দাস ইহুদীদের হাত থেকে মুক্ত করেন মুসলিম সেনাপতি বিশিষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
‘মহাসম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক’ এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। এটা পূর্ববর্তী যামানায়ও ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার পর প্রথম খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ বকর আলাইহিস সালাম) উনার খিলাফত মুবারক গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে এই উম্মতের ‘খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক’ উনার সূচনা হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর সেই মুবারক সময়টি ছিলেনÑ ১১ হিজরী শরীফ উনার ১৩ই সাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُواْ بِاللّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
অর্থ: আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব তায়ালা তিনি সমস্ত প্রকার অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন সেটা প্রকাশ্য হোক এবং অপ্রকাশ্য হোক। আর হারাম করেছেন সমস্ত গুনাহের কাজ, অন্যায়-অত্যাচার। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে এমন বস্তুকে শরীক করা, তিনি যার কোন সনদ বা দলীল নাযিল করেননি। আর মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মী অর্থ নিরক্ষর করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতেছেন। এ বিষয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা-
পবিত্র কুরআন শরীফে অন্যান্য আরো কিছু আয়াত শরীফ আছে তার শাব্দিক অর্থগুলো হচ্ছে-
হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম বলেছেন-
ربنا ظلمنا انفسنل
অর্থ: হে আমার রব! আমি নিজের প্রতি জুলুম করেছি। (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
হযরত ইউনূছ আলাইহিস সালাম বলেন-
اني كنت من الظالمين
অর্থ: নিশ্চয়ই আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৭)
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি এটা বলতে পারবে যে, আদম আলাইহিস সালাম জালিম বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ বা সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ সম্মানিত মানুষ হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে¡ আকবর আলাইহিস সালাম।
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে¡ আকবর আলাইহিস সালাম উনার এতো মর্যাদা ও ফযীলত মুবারক লাভ করার অন্যতম কারণ হচ্ছে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল বাকি অংশ পড়ুন...












