হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বাধিক বেশী মুহব্বত করতেন।
খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একটা ওয়াকেয়া মুবারকে বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যাঁরা ঈমানদার, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে খুব বেশি মুহব্বত করেন। ”
পবিত্র সুরা বাকারা শরীফ উনার ১৬৫ নং এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা ঘটনা উ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ উনার
বরকতময় শানে নুযূল বা অবতীর্ণের কারণ
‘পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ’ উনার বরকতময় শানে নুযূল সম্পর্কে বলা হয়, আরব দেশের এক সম্পদশালী ব্যক্তি যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত ছিল তখন আবূ জাহিল সেখানে উপস্থিত হয়ে মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে বললো, তোমার অর্থ-সম্পদ ও সন্তানকে আমার নিকট সোপর্দ করো, তাহলে আমি তোমার অর্থ-সম্পদ ও সন্তানকে যথাযথভাবে দেখাশুনা করবো। যাতে অন্য কেউ উক্ত অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করতে না পারে এবং তোমার সন্তানের উপর যুলূম ও অত্যাচার না করে। তখন মৃতপ্রায় ব্যক্তি আবূ জেহেলকে সব বুঝিয়ে দিল। অতপর উক্ত ব্যক্তি মারা য বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযা শরীফ সম্পর্কে বিভিন্ন কিতাবে উল্লে¬খ আছে। উনার কতিপয় সম্মানিত মু’জিযা শরীফ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(১) বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার জন্য একদিন তৎকালীন যালিম শাসক উনাকে স্বীয় দরবারে তাশরীফ নেয়ার জন্য আরজী পেশ করে। তিনি উনার সময় মতো যালিম শাসকের দরবারে তাশরীফ মুবারক রাখেন। উনার উপস্থিতি দেখে যালিম শাসক স্বীয় আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে উনাকে সম্মান বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত সৌন্দর্য মুবারক ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক সম্পর্কে ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
فَقَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذَبِيْـحُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ) لِاُمّـِهٖ عَلَيْهَا السَّلَامُ اُرِيْدُ مِنْكِ اَنْ تَـخْطُبِـىْ لِـىَ امْرَاَةً ذَاتَ حُسْنٍ وَّجَمَالٍ وَّقَدٍّ وَّاعْتِدَالٍ وَّبَـهَاءٍ وَّكَمَالٍ وَّحَسَبٍ وَّنَسَبٍ عَالٍ قَالَتْ حُبًّا وَّكَرَامَةً يَّا وَلَدِىْ ثُـمَّ اِنَّـهَا دَارَتْ اَحْيَاءَ قُرَيْشٍ وَّبَنَاتِ الْعَرَبِ فَلَمْ يُعْجِبْهَا اِلَّا سَيِّـدَتُنَـا حَضْرَتْ اُمُّ رَسُوْلِ বাকি অংশ পড়ুন...
আরবের হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ সম্ভ্রান্তশীলা মহিলারা সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নূরুল মালাহাহ মুবারক (মহাসম্মানিত কপাল মুবারক) উনার মধ্যে ‘নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অবলোকন করে আশিকাহ হয়ে উনার সাথে নিসবতে ‘আযীম শরীফে আবদ্ধ হওয়ার জন্য বেকারার-পেরেশান হয়ে গিয়েছিলো এবং উনার নিকট সরাসরি এই ব্যাপারে প্রস্তাবও দিয়েছিলো। এই জন্য উনারা উনাদের ধন-সম্পদসহ সমস্ত কিছু; এমনকি নিজেদের জীবন কুরবান করে দেয়ার জন্য সদা প্রস্তুত ছিলেন। উনারা বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। যখনই উনারা উনাকে দেখতে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত কারামত আলী জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘আল বারাহীনুল ক্বত্ব‘ইয়্যাহ ফী মাওলিদি খইরিল বারিয়্যাহ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন-
اَهْلُ الْكِتَابِ كَانُوْا يَعْرِفُوْنَ عَنْۢ بَعْضِ الْعَلَامَاتِ اَنَّ نَبِىَّ اٰخِرِ الزَّمَانِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُوْنُ مِنْ صُلْبِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ ذَبِيْـحِ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ) فَيُعَادُوْنَهٗ عُدْوَانًا وَّيُقِيْمُوْنَ فِىْ مَقَامِ اِهْلَاكِهٖ وَيَـجِيْـئُوْنَ مِنْ اَطْرَافِ مَكَّةَ قَاصِدِيْنَ لِاِهْلَاكِهٖ دَائِمًا وَّيُشَاهِدُوْنَ اٰثَارًا غَرِيْبَةً وَّاُمُوْرًا عَجِيْـبَةً فَيَنْقَلِبُوْنَ خَائِـبِـيْـنَ خَاسِرِيْنَ نَدَامٰى. وَكَانَ سَيِّدُنَا حَض বাকি অংশ পড়ুন...
মুহইস সুন্নাহ ওয়াশ শরীয়াহ, মাহিউল বিদয়াত ওয়াদ দালালাহ, কাশিফে আসরারে খফী ওয়া জলী হযরত মাওলানা শাহ কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে যে, ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ এবং ঊষাকালে সকল মূর্তি উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াতে মুবারক তাশরীফ আনয়নের দিন যেভাবে শয়তানগুলোকে আকাশে উঠার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ উনার মধ্যেও ঠিক সেই ধরনের অসংখ্য-অগ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৫৭৫৭, ৫৩১৬, এবং ৫৪২৫, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৩৮ বাকি অংশ পড়ুন...












