এরপরও বান্দার আমলনামায় মহান আল্লাহ পাক তিনি গুনাহ্ লিখে দেন না। ফেরেশ্তাদের বলেন, তাকে সময় দেয়া হোক, ইস্তিগ্ফারের সুযোগ দেয়া হোক। তওবা-ইস্তিগফার করে কি না? নেক কাজ করলে সেটা বিয়োগ করে দেয়া হয়।
এরপর যদি সে ইস্তেগফার-তওবা না করে, নেক কাজও না করে, গুনাহ্ করে যেতেই থাকে, তারপরেও মহান আল্লাহ পাক তিনি সুযোগ দিতেই থাকেন। যদি কখনও ইস্তেগ্ফার কওে, খালিছ নিয়তে তওবা করে, তাহলে করার সাথে সাথেই চোখের পলকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
সেটাই কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যখন কোন বান্দা ইস্তিগফার করে, তওবা করে, ইবলিস সেটা দেখত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র যিকিরকারী উনাদের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ مُوْسٰى رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الَّذِيْ يَذْكُرُ رَبَّهٗ وَالَّذِيْ لَا يَذْكُرُ مَثَلُ الْحَىِّ وَالْمَيِّتِ.
অর্থ: হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি তার রব উনার পবিত্র যিকির করে আর যে পবিত্র যিকির করেনা, তাদের মেছাল বা উদাহরণ হলো, জীবিত ও মৃত ব্যক্তির ন্যায়।
(ব বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَكُونُوا۟ مَعَ ٱلصَّـٰدِقِينَ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। আর ছদিক্বীন তথা ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
বাকি অংশ পড়ুন...
কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, একটা বান্দা যখন খালিছ ইস্তিগফার করে, খালিছ তওবা করে, তার পিছনের যত গুনাহখাতা থাকুক না কেন, সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ, মরুভূমির বালু কণা পরিমাণ তার গুনাহখাতা থাকে, এরপর যদি সে ইস্তিগফার-তওবা করে, তাহলে কি হবে? হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, তার ইস্তিগফার-তওবা করা মাত্র চোখের পলকে তার পিছনের সমস্ত গুনাহখাতা মহান আল্লাহ পাক তিনি মাফ করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যে আমলনামায় তার গুনাহ লিখা ছিল সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি মুছে দিবেন কুদরতিভাবে। সুব বাকি অংশ পড়ুন...
১. মহান আল্লাহ পাক উনাকে যারা ডাকে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন।
২. মহান আল্লাহ পাক উনার ডাকে সাড়া দেয়া বান্দার উপর ফরয-ওয়াজিব।
৩. মহান আল্লাহ পাক উনার ডাকে সাড়া দানকারী বান্দারাই হিদায়েতপ্রাপ্ত।
বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতকে সতর্ক করে ইরশাদ মুবারক করেন-
سَيَأْتِىْ قَوْمٌ يَسُبُّوْنَهُمْ وَ يَسْتَنْقِصُوْنَهُمْ فَلا تُجَالِسُوْهُمْ وَلا تُآكِلُوْهُمْ وَلا تُشَارِبُوْهُمْ وَلا تُنَاكِحُوْهُمْ و فى رواية أُخرى وَلا تُصَلُّوْا مَعَهُمْ وَلا تَدْعُوْ لَهُمْ.
অর্থ: অতি শীঘ্রই একটি দল বের হবে, যারা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিবে, উনাদেরকে নাকিছ বা অপূর্ণ বলবে। সাবধান! তোমরা তাদের মজলিসে বসবে না, তাদের সাথে পানাহার করবে না, তাদের সাথে বিবাহ-শাদীর ব্যবস্থা কর বাকি অংশ পড়ুন...
তৃতীয় সনদ:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার উছূল হলো, যে রাবী জীবনে একবার মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়, তার বর্ণিত কোনো হাদীছ বা কোনো বর্ণনা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তা মাতরুক অর্থাৎ পরিত্যাজ্য ও বর্জনীয়।
শায়েখুল ইসলাম আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘আদ্-দ্বুফা ওয়াল মাতরুকুন’ কিতাবের ৩য় খ-ের ৬০ নং পৃষ্ঠায় রাবী ত্বহহান এবং তার বর্ণিত গরু সম্পর্কীত আলোচ্য জাল ও মাকযুব-মিথ্যা হাদীছ সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য লম্বা একটি হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ.
আমি আমার পরে পুরুষের জন্য কোন ফিৎনা রাখিনি, সবচাইতে বড় ফিৎনা এবং ক্ষতির কারণ যেটা রেখে এসেছি, সেটা হচ্ছে মহিলা। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমার পরে পুরুষের জন্য কোন ফিৎনা রেখে আসিনি। তবে কঠি বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, পূর্ববর্তী যামানায় একজন প্রতাপশালী বাদশাহ ছিলো। সেই বাদশাহর অধীনে অনেক উঁচু লম্বা অনেক শক্তির অধিকারী এক কুস্তিগীর ছিলো। সেই কুস্তিগীর কুস্তি করতে করতে পর্যায়ক্রমে সে সময়কার যত কুস্তিগীর ছিলো তাদের সবাইকে পরাস্ত করে ফেললো। এমতাবস্তায় বাদশাহ ঘোষণা দিলো যে, বাদশাহর এই কুস্তিগীরের সাথে কেউ যদি কুস্তি করে বিজয়ী হতে পারে তাহলে তাকে এক লক্ষ দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) পুরস্কার দেয়া হবে। এ ঘোষণা অনেক দিন চললো দেখা গেলো কোন কুস্তিগীর কুস্তি করতে আসলো না। যদিও কেউ কেউ কখনো কখনো এসেছিলো তারা সকলেই বাদশাহর কুস্তিগী বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে-
জীবন অপেক্ষা বেশি মুহব্বত করতেন।
ধন-সম্পদ অপেক্ষা বেশি মুহব্বত করতেন।
পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান ও সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মুহব্বত করতেন। বাকি অংশ পড়ুন...












