কথিত খলীফা হারুনুর রশীদ মোটামুটি তার ইলম কালাম ছিলো, কিছু আমলও তার ছিলো। আর তার স্ত্রী জোবায়দা বেগম, সেও নেককার মহিলা ছিলো। একদিন খলীফা হারুনুর রশীদের সাথে তার স্ত্রীর কিছু কথা কাটাকাটি হয়। স্ত্রী সবসময় চাইতো হারুনুর রশীদ যেন সৎমত সৎপথে চলে, কিন্তু হারুনুর রশীদের একজন সভাসদ ছিলো। সে তাকে ওয়াসওয়াসা দিতো।
একবার কথিত খলীফা হারুনুর রশীদ কোন একটা কাজের কথা বললো। বলার পরে তার স্ত্রী জোবায়দা বেগম বললো যে- আপনি যদি এই কাজ করেন, তাহলে আপনি জাহান্নামী হবেন। এই আমল যদি আপনি করেন, এটা জাহান্নামীর লক্ষণ আপনি জাহান্নামী হবেন। যখন স্ত্রী বাকি অংশ পড়ুন...
প্রখ্যাত মুফাস্সির আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “তাফসীরে ইবনে কাছীরের” ৮ম খ-, ৩-৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
قَالَ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ فِى قَوْلِهٖ تَعَالٰى وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ....... قَالَ هُوَ وَاللهِ اَلْغِنَاءُ ....... وَكَذَا قَالَ اِبْنُ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ وَعِكْرَمَةَ وَسَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَمُجَاهِدٍ وَمَكْحُوْلٍ وَعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ وَعَلِىِّ بْنِ بُذَيْمَةَ وَقَالَ حَسَنُ الْبَصْرِىِّ نَزَلَتْ هٰذِهِ الْاٰيَةُ فِى الْغِنَاءِ وَالْمَزَامِيْرِ.
অর্থ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি لَهْوَ الْحَدِيثِ -এর ব্যখ্যায় বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! لَهْ বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুল মুত্তাক্বীন, আসদুল্লাহিল গালিব, খলীফাতুর রবি’, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি প্রায়ই বলতেন, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার একটি আদেশ মুবারক শুধু আমিই পালন করেছি। আমার পূর্বে এবং পরে অন্য কারো পালন করার সৌভাগ্য হয়নি। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন হুকুম দিলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ لَكُمْ وَأَطْهَرُ ۚ فَ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে, উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্পর্কে, উনার সম্মানিতা আওয়াজে মুত্বহহারাত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এবং উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত আবনা আলাইহিমুস সালাম ও হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সুমহান শান বা মর্যাদার খিলাফ আচরণ যারা প্রকাশ করবে, উনাদের সম্পর্কে কটুক্তি করবে, সমালোচনা করবে, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করবে, অবমাননাকর বা অসম্মানসূ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَّلاَ صُوْرَةُ تَمَاثِيْلَ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন বাকি অংশ পড়ুন...
উনার সম্পর্কে যে ঘটনা উল্লেখ করা হয় সেটা হলো- তিনি একবার সফর করতে এক কাফেলার সাথে গেলেন। সফর করতে করতে রাত্রি হওয়ার কারণে এক গোত্র প্রধানের বাড়ীতে উঠলেন। রাত্রে উনাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হলো। উনারা থাকতে লাগলেন। সেই গোত্র প্রধানের এক মেয়ে ছিল। সে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট তার অশুভ বাসনা পেশ করল। যখন সেই গোত্র প্রধানের মেয়ে এই অশুভ বাসনা পেশ করল তখন হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি সেই রাত্রেই সেখান থেকে উঠে পালিয়ে চলে আসলেন।
সেই আরব ভূমির মধ্যে উনার পথ চেনা ছিলো না। তিনি এক মর বাকি অংশ পড়ুন...
অন্তর থাকা সত্বেও বুঝবে না।
চোখ থাকা সত্বেও দেখবে না।
কান থাকা সত্বেও শুনবে না।
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَعَلَيْكُمْ عِبَادَ اللَّهِ بِالدُّعَاءِ
অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আদেশ মুবারক করছেন) হে মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা-বান্দীগণ! তোমাদের জন্য উচিত বেশী বেশী করে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দু‘আ বা মুনাজাত করা। ” (তিরমিযী শরীফ)
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اُدْعُواْ رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلْمُعْتَدِينَ
অর্থ: “তোমরা তোমাদের যিনি মহান রব তায়ালা উনাকে অত্যন্ত বিনীতভাবে ও গোপনে ডাকো (উনার নিকট আরজি করো) নিশ্চয়ই তিনি সীমালঙ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন এই পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন-
إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ
“মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে সন্মানিত ঐ ব্যক্তি, যে সবচেয়ে বেশী পরহেযগার। ”
মহান আল্লাহ পাক তিনি এটা বলে দিলেন। এখন আমি যেটা বলছিলাম সেটা হলো, তাকওয়ার স্তর ৩ টা। আদ্না, আওসাত ও আ’লা।
আদ্না দরজাটা কেমন? বলা হয়ে থাকে, আদ্না দরজাটা সাধারণ দরজা। জাহান্নামের দায়েমী বা স্থায়ী আযাব হতে বাঁচার জন্য যে আমল সেটাকে আদ্না দরজার তাকওয়া বলা হয়ে থাকে। সেটার মেছাল হলো যেমন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
يَاأَيُّهَا ا বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি, বেদী, ভাগ্য নির্ধারণকারী তীর এসবগুলোই শয়তানের কাজ। অতএব, এগুলো থেকে তোমরা বিরত থাকো। অবশ্যই তোমরা সফলতা লাভ করবে। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
অর্থ: তোমরা মূর্তিসমূহের খারাবী, অপবিত্রতা, নাপাকী, নিষিদ্ধতা বা শাস্তি থেকে বেঁচে থাকো। বাকি অংশ পড়ুন...












