সুওয়াল :
কোন কোন আহাল (স্বামী) ঘরে এসে এক গ্লাস পানিও ঢেলে খায় না। সব কাজ আহলিয়ারই করতে হয় বিধায় আহলিয়ার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রে শরয়ী ফায়ছালা কি?
জাওয়াব:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের কাজ নিজে করেছেন আবার হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দিয়েছেন। তাই নিজের কাজ নিজে করাও সুন্নত আবার আহলিয়া করে দেওয়াও সুন্নত। অতএব প্রত্যেক আহাল ও আহলিয়ার উচিত অবস্থা বুঝে ও মিলে মিশে কাজ করা।
এ প্রসঙ্গ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
আমাদের মসজিদের ইমাম আগে ফজর ও আছরের ফরজ নামাযের পর মুছল্লীদের দিকে ঘুরে মুনাজাত করতেন আর যোহর, মাগরিব ও ইশা’র নামাযের পর না ঘুরে মুনাজাত করতেন। কিন্তু এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর ঘুরে বসেন। বিশেষ করে যোহর, মাগরিব ও ইশা’র ফরয নামাযের পর মুনাজাত শেষ করে অধিকাংশ মুছল্লিদেরকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে বিভিন্ন মাসনূন দোয়া পাঠ করেন। এরপর দু রাকায়াত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামায আদায় করেন। এ বিষয়ে দলীল তলব করলে বুখারী শরীফ থেকে একটি হাদীছ শরীফ পেশ করে । এখন আমার জানার বিষয় হলো- পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর কি ঘুরে বসা সুন্নত? ও যেসব ফরয না বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
এক মুনাফিক কিছু বাতিল ও মনগড়া দলীল জোগাড় করে মূর্তিকে জায়িয প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে। তার মূল বক্তব্য হচ্ছে, যে মূর্তিকে পূজা, আরাধনা, ইবাদত করা হয়, যেটা মানুষকে মুশরিক বানায়; সেটা নিষেধ। কিন্তু যে মূর্তিকে আরাধনা ইবাদত করা হয় না বরং যে মূর্তি সৌন্দর্য বাড়ায়, সুসজ্জিত করে সেটা নিষেধ নয়।
অতএব, উক্ত ব্যক্তির এ ধরণের যুক্তি কতটুকু ইসলামসম্মত? দলীলসহ জাওয়াব দিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।
জাওয়াব:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
এক মুনাফিক কিছু বাতিল ও মনগড়া দলীল জোগাড় করে মূর্তিকে জায়িয প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে। তার মূল বক্তব্য হচ্ছে, যে মূর্তিকে পূজা, আরাধনা, ইবাদত করা হয়, যেটা মানুষকে মুশরিক বানায়; সেটা নিষেধ। কিন্তু যে মূর্তিকে আরাধনা ইবাদত করা হয় না বরং যে মূর্তি সৌন্দর্য বাড়ায়, সুসজ্জিত করে সেটা নিষেধ নয়।
অতএব, উক্ত ব্যক্তির এ ধরণের যুক্তি কতটুকু ইসলামসম্মত? দলীলসহ জাওয়াব দিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।
জাওয়াব:
তৃতীয়ত কাট্টা মুনাফিক ব্যক্তিটি বলেছে, “তখন সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার দেয়ালে ৩৬০টি মূর্তি ও অনেক ছবির সঙ্গে হযরত ঈসা রূহুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
একইভাবে প্রথমদিকে নামাযের মধ্যে কথা বলা নিষেধ ছিল না, যার কারণে মুছল্লীগণ নামাযের বিষয়ে নামাযরত মুছল্লীদেরকে এবং অন্য বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও কথাবার্তা বলতেন। এখন বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত সেই হাদীছ শরীফ দলীল হিসেবে গ্রহণ করে নামাযে কথা বলা যাবে কি? বললে নামায হবে কি?
এ ধরণের আরো অনেক বিষয়ই রয়েছে যা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথমদিকে নাজায়িয ও হারাম ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে তা নাজায়িয ও হারাম ঘোষণা করা হয়।
উক্ত বিষয়সমূহের ন্যায় একটি হচ্ছে মূর্তি ও ছবি।
চরম জাহিল ও কাট্টা মুনাফিক ব্যক্তিটি ছবি ও পুতুল সংক্রান্ত উ বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব :
পুরুষেরা তাকবীরে তাহরীমা বাঁধার সময় কান পর্যন্ত হাত উঠাবে আর মেয়েরা কাঁধ বরাবর হাত উঠাবে এবং পুরুষেরা হাত বাঁধবে নাভির নীচে আর মেয়েরা হাত বাঁধবে বুকের (স্তনদ্বয়ের) উপর।
হাত বাঁধার নিয়ম : পুরুষের হাত বাঁধার সুরত তিনটি। যথা- (১) বাম হাতের কব্জি বরাবর ডান হাতের কব্জি রেখে ডান হাতের কনিষ্ঠা ও বৃদ্ধাঙ্গলী দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরবে এবং ডান হাতের অনামিকা, মধ্যমা ও শাহাদত অঙ্গুলী স্বাভাবিকভাবে বাম হাতের কব্জির উপর রাখবে। (২) বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে বাঁধবে। (৩) বাম হাতের কব্জির উপর ডান হাত রেখে ধরবে।
মেয়েদের হাত বাঁধার সুর বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল :
মৃত ব্যক্তিকে (পুরুষ-মহিলা) জানাযার নামাজের পূর্বে ও কবরে রাখার পর মুখ খুলে তার আত্মীয়-স্বজন ও জন-সাধারণকে দেখানো হয়। সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে ইহা জায়েয আছে কি-না?
জাওয়াব :
হ্যাঁ, মৃত ব্যক্তিকে জানাযা নামাজের পূর্বে, পরে ও কবরে রাখার পর সর্বাবস্থায় তার আল-আওলাদ, আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, প্রতিবেশী ইত্যাদি সকলেই দেখতে পারবে।
তবে বিশেষ করে মহিলাদের লাশ দেখানোর ক্ষেত্রে পর্দার খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ পর্দা রক্ষা করতে হবে যাতে কোন অবস্থাতেই পর্দার খেলাফ না হয়।
এজন্য মাসয়ালা হলো- পুরুষের লাশকে কবরে নিয়ে যাওয়ার সময় খা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় নিয়মে তালাক দেয় (মুখে তালাক উচ্চারণ না করে লিখিতভাবে স্বাক্ষর বা সিগনেচারের মাধ্যমে) তাহলে এর ফায়সালা কি হবে?
জাওয়াব:
কেউ যদি তার আহলিয়াকে নিজের থেকে তালাক দেয় তাহলে সেটা তালাক হয়ে যাবে। আর যদি জোর করে ভয় দেখায়ে খালি সিগনেচার নেয় তাহলে সেটা তালাক হবে না। অর্থাৎ সে নিজের থেকে স্বেচ্ছায় যদি লিখিত তালাকনামার মধ্যে সিগনেচার করে দেয় তাহলে এটা তালাক হয়ে যাবে। অন্যথায় জোর করে সিগনেচার নিলে তালাক হবে না।
(তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে আহকামুল কুরআন, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে মাযহারী, ফ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল :
এক ব্যক্তির ধারণা ছিল, এক তালাক দেয়াটা হল আহলিয়া বা স্ত্রীকে ভীতি প্রদর্শন করা। দুই তালাক দিলে শাদী দোহরাতে হয়। আর তিন তালাকে হিলা দিতে হয়। তাই উক্ত ব্যক্তি ঝগড়ার সময় আহলিয়া বা স্ত্রীকে এক তালাক বলেছে। বর্তমানে তার স্ত্রী বাপের বাড়িতে অবস্থান করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- তালাক হয়েছে কি-না এবং শাদী দোহরানোর ক্ষেত্রে মোহরানা থাকবে কি-না?
জাওয়াব :
তালাক সম্পর্কিত উক্ত ব্যক্তির ধারণা ঠিক নয়। উক্ত ব্যক্তি ঝগড়ার সময় আহলিয়া বা স্ত্রীকে যে তালাক দিয়েছে তা তালাকে রেজয়ী, না তালাকে বায়েন? যদি তালাকে রেজয়ী দিয়ে থাকে তাহলে বিয়ে দোহরা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলার ইন্তেকালের পর তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি কিভাবে বণ্টিত হবে? জানতে বাসনা রাখি।
জওয়াব:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বন্টন সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰهُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمْ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡهِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَهٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّهٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَهٗۤ اَبَوٰهُ فَلِاُمِّهِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَهٗۤ اِخْوَةٌ فَلِاُمِّهِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِيَّةً یُّوۡصِیۡ بِهَاۤ اَوۡ دَی বাকি অংশ পড়ুন...
১) সুওয়াল:
মেয়েরা পুরুষের নিকট পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা করতে পারবে কি না?
জাওয়াব:
পাঁচ বৎসর বয়স পর্যন্ত শিক্ষা করতে পারবে। আর এর থেকে বয়সে বড় হলে পরপুরুষের কাছে সামনাসামনি কোনকিছুই শিক্ষা করতে পারবে না। তা নাজায়িয ও হারাম হবে। তবে খাছ পর্দার সাথে শিক্ষা করতে পারবে বা তা’লীম নিতে পারবে, তাতে কোন অসুবিধা নেই। (ফতওয়ায়ে আলমগীরী, ক্বাযীখান ও সমূহ ফিক্বাহর কিতাব)
২) সুওয়াল:
কোন বিবাহিতা মহিলার জন্য তার পিতার বাড়ী মুসাফিরী দূরত্বে হলে সেখানে ক্বছর করবে কিনা?
জাওয়াব:
পিতার বাড়ী মুসাফিরী দূরত্বে হলে সেখানে নামায ক্বছর করতে হবে। কেনন বাকি অংশ পড়ুন...












