সুওয়াল:
ভালো মন্দের খোঁজ খবর রাখতে ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে বড় বোন তার আপন খালাতো, মামাতো ভাইদের সাথে মেসেজ এর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে কি-না?
জাওয়াব:
বোন যদি আপন হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। এখন পুরুষেরটা পুরুষ রাখতে পারবে আর মহিলাদেরটা মহিলারা রাখতে পারবে। যারা মাহরাম তাদেরটা রাখতে পারবে। আর যারা মাহরাম না, তাদের সাথে যোগাযোগ করা ঠিক হবে না। এতে করেই ফেৎনা সৃষ্টি হয়ে থাকে। বেগানা পুরুষ বেগানা মহিলাদের সাথে যোগাযোগ করা ঠিক হবে না। যদি আপন বোন হয় আপন বোনের মাহরাম তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে। আর যারা মাহ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
যদি একা একা ফরয নামায আদায় করি তাহলে কি ইকামত দিতে হবে? না দিলে কি নামায হবে? যদি ফরয নামায ক্বাযা আদায় করি তাহলেও কি ইকামত দিতে হবে?
জাওয়াব:
হাঁ, পুরুষের জন্য একা একা নামায পড়লে, ইকামত দিতে হবে। ইকামত না দিলে সুন্নত তরক হবে। ইকামত না দিলেও নামায হয়ে যাবে তবে পুরুষের জন্য ইকামত দেয়াটা কর্তব্য। আর ক্বাযা নামায পড়ার সময়ও ইকামত দিতে হবে। এটা পুরুষের জন্য। মহিলাদের জন্য কোন ইকামত নেই। পুরুষের জন্য ইকামত দিতে হবে একা পড়–ক, জামায়াতে পড়–ক আর ক্বাযা পড়–ক তাকে ইকামত দিতে হবে। এখন যদি কেউ না দেয় সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু ইকামত দিতে হ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল :
মৃত ব্যক্তিকে (পুরুষ-মহিলা) জানাযার নামাজের পূর্বে ও কবরে রাখার পর মুখ খুলে তার আত্মীয়-স্বজন ও জন-সাধারণকে দেখানো হয়। সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে ইহা জায়েয আছে কি-না?
জাওয়াব :
হ্যাঁ, মৃত ব্যক্তিকে জানাযা নামাজের পূর্বে, পরে ও কবরে রাখার পর সর্বাবস্থায় তার আল-আওলাদ, আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, প্রতিবেশী ইত্যাদি সকলেই দেখতে পারবে। তবে বিশেষ করে মহিলাদের লাশ দেখানোর ক্ষেত্রে পর্দার খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ পর্দা রক্ষা করতে হবে যাতে কোন অবস্থাতেই পর্দার খেলাফ না হয়।
এজন্য মাসয়ালা হলো- পুরুষের লাশকে কবরে নিয়ে যাওয়ার সময় খা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি কি?
জাওয়াব: পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে- (১) মুসলমান হওয়া, (২) স্বাধীন হওয়া, (৩) মুক্বীম হওয়া, (৪) বালেগ হওয়া, (৫) মালিকে নিসাব হওয়া, (৬) পাগল না হওয়া অর্থাৎ আক্বলমন্দ হওয়া।
পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১০ তারিখের ছুবহে ছাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ মালিকে নিসাব হয় অর্থাৎ হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (নিত্য প্রয়োজনীয় ধন-সম্পদ) বাদ দিয়ে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রূপা বা তার সমপরিমাণ মূল্যের মালিক হয়, তাহলে তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব।
উল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল :
পবিত্র হজ্জ পালনের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলার আমলের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
জাওয়াব :
হ্যাঁ, পুরুষ ও মহিলার আমলের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তন্মধ্যে জরুরী কিছু পার্থক্য বর্ণনা করা হলো। (১) হজ্জে পুরুষেরা মাথা খোলা রাখবে মহিলারা মাথা ঢেকে রাখবে। (২) পুরুষেরা তালবিয়া পাঠ করবে উচ্চস্বরে আর মহিলারা তালবিয়া পাঠ করবে নিম্নস্বরে। (৩) পুরুষেরা তাওয়াফের সময় রমল করবে মহিলারা রমল করবেনা। (৪) ইজতেবা পুরুষেরা করবে মহিলাদের করতে হয়না। (৫) সাঈ করার সময় পুরুষেরা মাইলাইনে আখজারাইনের মধ্যস্থানে দৌড়াবে মহিলারা দৌড়াবেনা। (৬) পুরুষেরা ম বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
মহিলাদের জামায়াতে তারাবীহ নামায পড়ার ক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব:
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আম ফতওয়া হলো মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, তারাবীহ ও ঈদের নামাযসহ সকল নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ, ঈদগাহ ও যে কোন স্থানে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। আর খাছ ফতওয়া হলো কুফরী।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুমুয়া ও ঈদের নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী, যদিও প্রাপ্তা বয়স্কা ও বৃদ্ধা হোক সময়ের পরিবর্তনের কারণে। তাই উলামায়ে মুতাআখ্খিরীনগণ ফতওয়া দেন যে, মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
দেনমোহর কি পরিমাণ হওয়া বাঞ্চনীয় এবং কখন আদায় করা নিয়ম? মোহর সামাজিক অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে কথাটি কতটুকু সঠিক?
জাওয়াব:
দেনমোহর আহলে বাইত শরীফ উনাদের অনুযায়ী হওয়া বাঞ্চনীয় অর্থাৎ সুন্নত। সামাজিক অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে গুমরাহীমূলক। অবশ্যই দেনমোহর সম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুযায়ী হওয়াই উচিত। কেননা প্রতিটি আমল বা কাজের ক্ষেত্রেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ অনুকরণ করার জ বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: ২য় অংশ
হযরত ইয়া’কূব আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার স্বপ্নের কথা শ্রবণ করার পর উনার অন্যান্য আওলাদ উনাদের কৌশলের কথা আগেই বলে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يَا بُنَيَّ لَا تَقْصُصْ رُؤْيَاكَ عَلٰى اِخْوَتِكَ فَيَكِيدُوا لَكَ كَيْدًا
অর্থ: হে আমার আওলাদ! আপনার ভাইদের কাছে আপনার স্বপ্ন মুবারক বর্ণনা করবেন না। তাহলে উনারা (আপনার ব্যাপারে) কৌশল করবে। (পবিত্র সূরা ইউসুফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
হযরত ইয়া’কূব আলাইহিস সালাম উনার বক্তব্য-
قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَكُمْ اِنِّي اَعْلَمُ مِنَ اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো অবশ্যই ইলমে গইব মুবারকের অধিকারী। এমনকি উনার যারা উম্মতের অন্তর্ভুক্ত অন্য সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং মনোনীত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও ইলমে গইব মুবারকের অধিকারী।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহের দ্বারাই প্রমাণিত যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ইলমে গইব মুবারকের অধিকারী।
এ প্রসঙ্গে যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বাকি অংশ পড়ুন...












