জাওয়াব:
কোন মাস ও দিনকে অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা কুফরী এবং একইভাবে কোন রোগ-ব্যাধিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে মনে করাটাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
বর্ণিত রয়েছে, আইয়্যামে জাহিলিয়াতে ছফর মাসকে অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা হতো। মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের সে ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাসের মূলোৎপাটন করেন।
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْـر বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ী পঞ্চম শ্রেণীর কুরআন মাজীদ ও তাজউয়ীদ শিক্ষা বইয়ের ১১ পৃষ্ঠার ১৩তম লাইনে লেখা হয়েছে- “কুরআন মাজীদের আয়াতসমূহ অর্থ না বুঝে শুধু তিলাওয়াত করার জন্য নাযিল করা হয়নি।” এ লেখাটি কতটুকু শুদ্ধ হয়েছে?
জাওয়াব:
উক্ত লেখাটি সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ এবং অসম্পূর্ণ হয়েছে। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফযীলত আলাদাভাবেই বর্ণিত হয়েছে।
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে- “পবিত্র কুরআন শরীফ উনার প্রতি অক্ষর তিলাওয়াতে দশটি করে নেকী লেখা হয়।” যেমন এ সর্ম্পকে নূরে মুজাসসাম হ বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: মহান আল্লাহ পাক তিনি কুল-মাখলূক্বাতের খালিক্ব, মালিক, রব। সমস্ত প্রশংসা, পবিত্রতা, সম্মান-ইজ্জতের তিনিই মূল মালিক। উনাকে ব্যতিত কারো কোন সম্মান-মর্যাদা হতে পারেনা। কাজেই সবার উর্ধ্বে, সবার আগে এবং সর্বোচ্চ মর্যাদা উনাকেই দিতে হবে।
সুতরাং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করাটা উনার পবিত্রতম শান মুবারককে ইহানত করার শামিল। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত এবং এর ফলশ্রুতিতে ঈমানহারা হয়ে জাহান্নামী হওয়া ব্যতিত কোন উপায় থাকবে না।
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إِنَّ الْعِزَّةَ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
গান-বাজনা করা কি? কেউ কেউ বলে থাকে, “ইসলামী গান” যেমন- নবীতত্ত্ব, মুর্শিদী, জারী ইত্যাদি জায়িয। কারণ হিসেবে তারা বলে, হযরত সুলত্বানুল হিন্দ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নাকি গান-বাজনা করেছেন। তারা আরো বলে থাকে যে, বুখারী শরীফ- এর ২য় খন্ডে ২২৫ পৃষ্ঠায় এবং ৫ম খ-ের ৫৫৫ পৃষ্ঠায় নাকি “গান-বাজনা” জায়িয বলে লেখা আছে।
তাহলে “গান-বাজনা” সম্পর্কে সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়সালা কি?
জাওয়াব:
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে গান-বাজনা করা হারাম ও কবীরা গুণাহের অন্তর্ভুক্ত। তা যে কোন গানই হোক না কেন। যেমন নবী তত্ত্ব, বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পবিত্র আযান উনার পূর্বে পবিত্র দুরূদ শরীফ বা পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা অবশ্যই জায়িয বরং মুস্তাহাব-সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। তবে পবিত্র আযান উনার মতই উচ্চ আওয়াজে পাঠ করা সুন্নত মুবারক নয় বরং সুন্নত মুবারক উনার খেলাফ। কেননা পবিত্র আযানের পূর্বে আযানের মতই উচ্চ আওয়াজে পবিত্র দুরূদ শরীফ বা পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করার বিষয়টি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের কারো থেকেই প্ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: আহালিয়ার সাথে তালাক হওয়ার কিছুদিন পর আহাল পুনরায় আহালিয়াকে নিতে চায়। কিন্তু আহালিয়ার পরিবার বললো, হিলা দিয়ে নিতে হবে। এই কথা শুনে আহাল আর আহলিয়াকে নিতে চায়নি। কিন্তু ৩ মাস পর আবার আহাল আহালিয়াকে নিতে চায়। তখন আহলিয়ার পরিবার বললো, বিবাহ দোহরালেই শুদ্ধ হয়ে যাবে। এই কথা শুনে আহাল আহালিয়াকে পুনরায় নিতে অর্থাৎ বিবাহ করতে রাজি হয় এবং পুনরায় বিবাহ হয়ে যায়। এদিকে আহলিয়ার পরিবার গোপনে হিলা দেয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু আহাল এ বিষয়টা মোটেও জানেনি কিংবা আহালকে জানানোও হয়নি। পরবর্তীতে আহাল জানতে পারে যে, হিলা দেয়ার একমাস ১৫ দিন পর বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
সুদে লোন নেয়া তো জায়েয নাই। নিজের টাকায় বাড়ী করলে, নিজের টাকা কোথায় পেলো, এটা বলে দিতে হবে। আর জমি কিনলো, কোথা থেকে টাকা পেলো, তা বলে দিলেই হয়। ব্যাংক থেকে লোন নিবে কেন? ব্যাংক থেকে সুদে লোন নেয়া জায়েয নাই। ব্যাংক থেকে সুদে লোন নেয়া, সুদ দেয়া কোনটাই জায়েয নাই। সুদ নেয়া, দেয়া দু’টাই হারাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَأَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا
মহান আল্লাহ পাক তিনি বেচা-কিনা হালাল করেছেন আর সুদকে হারাম করেছেন। কাজেই সুদে নিতে পারবে না। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: সম বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: আহলিয়ার বাপ নেই, সন্তান-সন্ততি কেউ নেই, ভাই-ভাতিজা কেউ নেই। তাহলে তার মোহরের টাকা তার মাকে দিতে হবে এবং বোনকে দিতে হবে। তার মা-ও পাবে বোন-ও পাবে, দুইজনেই পাবে। এখন ওয়ারিছস্বত্তে তার সম্পত্তি ফারায়িজ হিসেবে বণ্টন করা হবে। এখন কেউ যদি না থাকে তাহলে মা পাবে সম্পত্তির তিন ভাগের একভাগ। আর বোন সেও পাবে সেই তিনভাগের একভাগ। আর একভাগ থাকে। এটা আবার রদ হবে। রদের মাসয়ালা হচ্ছে, দুইজনের মাঝে অর্ধেক অর্ধেক করে দিয়ে দিলে চলবে। এটা রদ করতে হবে। এ মাসয়ালা আহাল বা স্বামী না থাকলে।
বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: সুন্নত পড়লে তো ভালো। সমস্যা কি? আর জামায়াতে পড়লে তো তখন আর কছর নাই। জামায়াতে পড়লে পুরাটাই পড়তে হবে। একা একা পড়লে কছর পড়তে হবে যদি মুসাফির হয়। আর যদি মুকীম হয় তাহলে তো পুরাই পড়বে। আর মুসাফিরের জন্য সুন্নত পড়া এটা ইখতিয়ার। পড়তে পারলে ভালো। এখনতো সব মূর্খ লোক। মাসয়ালাতো জানে না। তাছাওউফের পরিভাষায়, কোন লোক যদি তার সম্মানিত শায়েখ উনার দরবার শরীফে যায়, সেখানে সে মুকীম। কারণ সম্মানিত শায়েখ উনার অনুমতি ব্যতিত সে বাড়ীতে যেতে পারবে না। ফলে সে মুকীম হয়ে যায়। তার ইখতিয়ার থাকে না বাড়ী যাওয়ার। ইখতিয়ার না থাকলে তাহলে তার কছর হয় কি বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সূত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ হিসেবে উদ্ধৃত করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা ক্বাযা করে যে ব্যক্তি ইন্তিকাল করবে তার পক্ষ থেকে প্রতিদিনের পরিবর্তে অর্ধ সা (দুই মুদ) গম খাদ্য হিসেবে প্রদান করবে।
উপরে উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনার উপর ভিত্তি করে হানাফী মাযহাবে যে মাসয়ালা গ্রহণ করা হয়েছে তা বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
ক্বিল্লতে ইলম ক্বিল্লতে ফাহম অর্থাৎ কম জ্ঞান কম বুঝই হচ্ছে ফিতনা সৃষ্টির কারণ। আর ফিতনা সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلْفِتْنَةُ اَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ.
অর্থ: ফিতনা হচ্ছে কতল অপেক্ষা বড় গুনাহ। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯১)
আর না জেনে কোন মাসয়ালা বললে বা মাসয়ালার জাওয়াব প্রদান করলে তার অপরাধ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ اُفْتِىَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ اِثْمُهٗ عَلٰى مَنْ اَفْتَاهُ.
অর্থ: যাকে ইলম ছাড়াই (ভুল) ফতওয়া দেয়া হয়েছে (ভুল ফতওয়া আমল করার কারণে) তার যত গুনা বাকি অংশ পড়ুন...












