ডায়াবেটিস নিয়ে আমরা সবাই কম-বেশী জানি। তবে, প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের জানাশোনা অনেকটাই কম। একটু সতর্ক থাকলে কিন্তু এই প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস পূর্ব অবস্থা যেন ডায়াবেটিসের দিকে না চলে যায় তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। প্রি-ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের পরবর্তী ৮ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কিন্তু ডায়াবেটিসের নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম থাকলে তাকে প্রি-ডায়াবেটিস বা বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস বলে। ৮৪ শতাংশের বেশি মানুষ জানেন না যে তাঁরা প্রি-ডায়াবেট বাকি অংশ পড়ুন...
ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অন্যান্য জটিলতার সম্ভাবনা কমানো। ইনসুলিন অনির্ভর ডায়াবেটিস রোগে খাদ্যনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চিকিৎসাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস রোগেও পথ্য একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই কারণে ডায়বেটিস রোগীদের খাবার হতে হবে পুষ্টিকর ও সুষম।
মাঝারি বা ভারী শ্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিরা প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩০ ক্যালরি খাদ্যশক্তির খাবার গ্রহণ করবেন। মোট ক্যালরির ৪০-৫০ শতাংশ শর্করা জাতীয় খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে। জটিল শর্করা বাকি অংশ পড়ুন...
গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ৭০ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই অকালে মৃত্যুবরণ করে থাকেন। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ—এ দুটো পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যে বিষয়গুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, যেমন: ঘন ঘন পিপাসা লাগা, ঘন ঘন প্রস্রাব লাগা, অতি ওজন, ধূমপান, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা বংশগতি। এগুলো হৃদরোগেরও ঝুঁকি। তাই এ দুটো সমস্যা পরস্পরের হাত ধরেই চলে। একটির ঝুঁকি কমালে অপরটির ঝুঁকিও কমে আসে।
অক্সিজেন না পেলে হৃৎপিণ্ডে টিস্যু নষ্ট হতে থাকে। এভাবে হার্টের রক্তনালীতে রক্ত জমাট কিং বাকি অংশ পড়ুন...
ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা খুবই সাধারণ ঘটনা। ঘাড়ব্যথার রোগী দিন দিন অনেক বাড়ছে। সাধারণত
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছর বয়সের পর থেকে স্পন্ডাইলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর আগেও হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। সামনে ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগ বেশি দেখা যায়। দীর্ঘসময় একভাবে বসে কাজ করেন, কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ, ঘাড়ে ঝাঁকুনি লাগে, এমন পেশা, যেমন মোটরসাইকেল বা সাইকেলচালকদেরও এ রোগ হতে পারে। এক সপ্তাহের বেশি ঘাড়ে ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ফিজিওথেরাপি: ঘাড় ব্যথা বিশ বাকি অংশ পড়ুন...
ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত চিকিৎসা নেয়া, রক্তের গ্লুকোজ বা শর্করা মনিটরিং আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রয়োজন। এটি এমন এক রোগ, যা অবহেলা করলে জটিলতা বাড়তে থাকে। তাই সতর্ক থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখা সম্ভব হয়। ডায়াবেটিস হলে জীবনে শৃঙ্খলা আনতে হয়। ডায়াবেটিসকে বলা হয় নীরব ঘাতক। এটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘমেয়াদি ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, অন্ধত্ব, স্নায়বিক জটিলতা, কিডনি অকার্যকারিতাসহ নানা জটিল রো বাকি অংশ পড়ুন...
শরীরের সবচেয়ে বড় সলিড অঙ্গের নাম লিভার বা যকৃৎ, যেটি বুকের পাঁজরের ডান দিকে পেটের উপরিভাগে অবস্থান করে। লিভার আমাদের শরীরের একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ, যেটি প্রতিদিন প্রায় ৫০০ রকমের কাজ সম্পন্ন করে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হলো প্রতিদিন প্রায় এক লিটারের মতো পিত্তরস তৈরি করা, যেটি আমাদের গৃহীত খাবারের পরিপাকে সহযোগিতা করে। লিভারের একেবারেই নিচে যুক্ত থাকে পিত্তথলি।
পিত্তথলিতে পাথর জমা হওয়াকে পিত্ত পাথর বলে। ৩০-এর ওপরে বয়স—এমন প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৫ জনের পিত্তথলিতে পাথর থাকে। এই ১৫ জনের মধ্য থেকে দু-তিনজনের পিত্তথলিতে বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিন। কিন্তু এসব পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি শরীরের দরকার সঠিক পরিমাণে কিছু মিনারেল বা খনিজ পদার্থ। শরীর গঠন, বৃদ্ধি ও সার্বিক সুস্থতার জন্য এসব খাদ্য উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ উপাদান দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে, মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংকেত সঞ্চালনা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যে খনিজ উপাদান দেহের কম পরিমাণে প্রয়োজন, সেগুলোকেই মাইক্রোমিনারেল বলে। যেমন-আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, সেলেনিয়াম, কপার, কোবাল্ট, ম্যাংগানিজ, ক্রোমিয়াম, ফ্লোরিন বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ববর্তী পর্বে নারীর জীবনে ৪টি রোগের প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এই পর্বে পরবর্তী ৪টি সিরিয়াস রোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
ইউরোলজিক্যাল সমস্যা :
এক্ষেত্রে নারীদের অ্যানাটমি (দৈহিক গঠনতন্ত্র) অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। নারী ও পুরুষের মূল দৈহিক গঠনতন্ত্রের পার্থক্যের জন্যেই নারীদের মাঝে ইউরিনারি ট্র্যাকশন ইনফেকশন, ইনকন্টিনেন্স, ব্লাডার লিকিংয়ের মতো সমস্যাগুলো বেশি হয়। এছাড়া সন্তান জন্মদানের প্রক্রিয়ার ফলেও ইউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।
বিষন্নতা :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্য বাকি অংশ পড়ুন...
বেশ কিছু গুরুতর ও বড় ধরনের রোগ দেখা দেওয়ার উপর ব্যক্তি পুরুষ নাকি নারী সেটি অনেকাংশে প্রভাব বিস্তারকারী একটি বিষয়। বেশ কিছু সিরিয়াস রোগ পুরুষদের তুলনায় নারীদের মাঝে দেখা দেয় কয়েক গুণ বেশি। এমন ৮টি বড় ধরনের রোগ সম্পর্কে জানতে পারবেন এই নিবন্ধে।
হৃদরোগ :
বাংলাদেশে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর ৩৯% হৃদরোগের কারণে হয়ে থাকে। যি দও জনসাধারণ হৃদরোগকে পুরুষদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা বলে মনে করে, তবে এই অবস্থাটি পুরুষ এবং মহিলাদের প্রায় সমানভাবে প্রভাবিত করে। তবুও, মাত্র ২৪ শতাংশ মহিলা বুঝতে পারেন যে হৃদরোগে তারা আক্রান্ত। বেশ কিছু চিকিৎ বাকি অংশ পড়ুন...
পুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তা বিবেচনা করে যদি কোন খাবারের তালিকা করা হয়, সে তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে মধুর নাম। এটি শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এটি বিজ্ঞান সম্মত ভাবেই প্রমাণিত।
উপাদান
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ ম্যাল্টোজ। আরও থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো অ্যাসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশ এনজাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই বললেই চলে। ১০০ গ্রা বাকি অংশ পড়ুন...
ছোটদের দুধ দাঁত নির্দিষ্ট সময় পর নড়ে গিয়ে পড়ে যায়, সেখানে স্থায়ী দাঁত ওঠার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক হলেও যে কোন স্থায়ী দাঁত নড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। কোনো না কোনো অস্বাভাবিক কারণে স্থায়ী দাঁত নড়ে বা পড়ে যায়। কারও ৮০ বছর বয়সেও দাঁত মজবুত, কারও কম বয়সেই দাঁত নড়ে যায়। তাই দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য মুখের সঠিক পরিচর্যার নিয়মিত অনুশীলন অবশ্যক। সুস্থ দাঁত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম একটি শর্ত। অনেক কারণেই দাঁত নড়তে পারে।
কারণ
● সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার না করলে অথবা দাঁতের ফাঁকে খাবার আট বাকি অংশ পড়ুন...
"জন্মগত হৃদ্রোগ" বলতে বুঝায় জন্মের সময়/পূর্বে কারো হার্টে কোনো একটি সমস্যা ছিল। সমস্যা বলতে হৃৎপিণ্ডে ছোট ছিদ্র থাকতে পারে বা আরও গুরুতর কিছু থাকতে পারে। যদিও এইগুলি গুরুতর সমস্যা তবে বেশিরভাগ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। অনেকেরই জানা নেই জন্মগত হৃদরোগ হলেও অনেক শিশু জন্মের সময় স্বাভাবিক থাকে। জন্মের ৩ মাস পর শিশুর গুরুতর হৃদরোগ ধরা পড়তে পারে। প্রথম সন্তানের জন্মগত হৃদরোগ হলে দ্বিতীয় সন্তানের জন্য কখন পরিকল্পনা করা উচিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তাররা শিশুর জন্মের আগে এই সমস্যাগুলি নির্ণয় করতে পারেন। কখনও ক বাকি অংশ পড়ুন...












