দীর্ঘসময় কর্মক্ষম থাকতে প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে অন্তত দুবার পেশির ও অ্যারোবিক ব্যায়াম করা উচিত। ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি ১০ বছরে একজন পুরুষের পেশি ৩ থেকে ৫ শতাংশ কমে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একে বলা হয় সারকোপেনিয়া। বর্তমানে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসের সঙ্গে এই সারকোপেনিয়াকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের পেশিক্ষয় হয়, তাদের বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে পড়ে যাওয়া ও হাড় ভাঙা বা ফ্রাকচারের ঝুঁকি প্রায় আড়াই গুণ বেশি। কেননা, পেশিক্ষয়ের কারণে তাদের হাত-পা দুর্বল হয়ে যায় ও ভারসাম্য ন বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে হাড়ের সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটা আরও বেড়ে যায়। হাড়ের প্রধান উপাদান হল আমিষ, কোলাজেন এবং ক্যালসিয়াম। স্বাভাবিকভাবেই, ৩০ বছর পরে হাড়ের ঘনত্ব এবং পরিমাণ হ্রাস পায়। ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে যায়।
একজন নারীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হাড়ের স্বাস্থ্য এবং অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ নারী। একজন নারীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হাড়ের স্বাস্থ্য বাকি অংশ পড়ুন...
কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হতে পারে সব বয়সের মানুষ। সাধারণত গরমে বা বর্ষার সময় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ। এটি হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এটি চোখ ওঠা নামেই বেশী পরিচিত। সাধারণত এ রোগে বড় বা দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমস্যা না হলেও লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখলে রোগীর কষ্ট লাঘব হতে পারে।
লক্ষণ
১। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া।
২। চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি লাগা।
৩। প্রথমে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্ বাকি অংশ পড়ুন...
বায়ুদূষণ থেকে হতে পারে হাঁপানি, সিওপিডি বা ফুসফুসের অন্যান্য নানা সমস্যা। বায়ুদূষণ বর্তমান নগরজীবনের যেন একটি স্থায়ী সমস্যার নাম। তার প্রভাব সদ্যোজাত থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেকের ওপরই পড়ছে। বিশ্বে বায়ুদূষণে রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ঢাকা। বায়ুতে সাধারণত ২১ শতাংশ অক্সিজেন, ৭৮ শতাংশ নাইট্রোজেন, দশমিক ৩১ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং নির্দিষ্ট অনুপাতে ওজোন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি থাকে। যদি কোনো কারণে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে অন্যান্য গ্যাসের ঘনত্ব বেড়ে যায় কিংবা বালুকণার হার বেড়ে যায়, তবে সেটি দূষিত হয়ে যায়। মারাত্ বাকি অংশ পড়ুন...
শিশুদের কিংবা বড়দেরও অনেক সময় ঠোঁটের কোনায় ঘা হতে দেখা যায়। মুখে এধরণের ঘা নানা কারণে হতে পারে। ভিটামিনশূন্যতার কারণে যেমন দেখা দিতে পারে, তেমনি মুখ ও ঠোঁটে বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণেও হতে পারে। যদিও এমন ঘা সাধারণত গুরুতর কিছু নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ রোগের নাম বলা হয় এঙ্গুলার চিলাইটিস। আবার জ্বর, সর্দিকাশির পর মুখে একধরনের ঘা হতে পারে। অনেকে এ ধরনের ঘায়ের সঙ্গে এঙ্গুলার চিলাইটিস মিলিয়ে ফেলেন। কিন্তু দুটি রোগের কারণ, লক্ষণ, অবস্থা ভিন্ন।
কারণ
যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষ এঙ্গুলার চিলাইটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। পান, স বাকি অংশ পড়ুন...
বয়স বাড়লে হাঁটুতে ব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে ইদানিং কম বয়সী মানুষও এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আঘাত, আর্থ্রাইটিস বা অন্য যে কোনো কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। হাঁটু ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হাঁটুব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করা গেলে ৭০-৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যথা ভালো হয়ে যায়।
হাঁটুব্যথার কারণ
• কাজকর্ম করতে গিয়ে কিংবা অন্য যেকোনোভাবে আঘাত লেগে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের হাঁটুব্যথার কোনো বয়সভেদ নেই। বাতের ব্যথার ক্ষেত্রেও একই বাকি অংশ পড়ুন...
শীতে শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে ইনহেলার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ইনহেলার ব্যবহার নিয়ে অনেকের ভেতর ভীতি কাজ করে। ইনহেলার মূলত হলো সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। কারণ, আপনি যদি ওষুধ খান, তাহলে সেটি রক্তে যাবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে। ইনহেলার একমাত্র ওষুধ, যেটি রক্তে যাবে না। তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তাই ইনহেলার সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। নানা রকমের ইনহেলারের মধ্যে একেকটির ব্যবহারবিধি একেক রকম। সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে ইনহেলারের ওষুধ ঠিকমতো ফুসফুসে পৌঁছায় না এবং কাজও হয় না। জেনে নিন ইনহেলা বাকি অংশ পড়ুন...
হঠাৎ মাথা ঘোরার কারণে কেউ পড়ে যেতে পারে, দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে, তাই এটিকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেক কারণেই মাথা ঘুরতে পারে। তবে কানের ভেতর ভেস্টিবুলোককলিয়ার নামক স্নায়ুতে সমস্যার কারণে বেশি মাথা ঘোরে।
কারণ
অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অন্তঃকর্ণের রক্তনালির অস্বাভাবিকতা, অন্তঃকর্ণের প্রদাহ, মেনিয়ারস রোগ, অস্বাভাবিক দৃষ্টিগত সমস্যা, অনেক উঁচুতে উঠে নিচের দিকে তাকালে এবং চলন্ত ট্রেন বা গাড়ি থেকে প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালে মাথা ঘোরে। এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, মাথার পেছন দিকে ও ঘাড় বাকি অংশ পড়ুন...












