অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় বর্তমান সময়ের একটি পরিচিত রোগ। এই রোগে অনেকেই ভোগছেন। বিশেষ করে বয়স্করা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। হাড়ক্ষয় রোগ একটি নীরব ঘাতক। হাড়ের ক্ষয়রোগ মানবদেহের বিভিন্ন হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর করে। শরীরে সবসময় ব্যথার অনুভূতি বাড়িয়ে স্বাভাবিক হাঁটাচলা, কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায়।
হাড় গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৪০ বছর বয়সের আগে হাড়ের বৃদ্ধি বেশি হয় আর ক্ষয় কম হয়। এর পর থেকে হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়, বৃদ্ধি কম হয়। হাড়ক্ষয় নির্ভর করে ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হাড়ের ঘনত্বের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, কোলাজেন ফাইবারে বাকি অংশ পড়ুন...
জীবনে একবারও কোমরে ব্যথায় ভোগেননি এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের পরিবর্তনের ফলে এ ব্যথার সূত্রপাত হয়। তরুণাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীলতারও পরিবর্তন হয়।
কোমরব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ কর্মস্থলে সঠিকভাবে বসে কাজ না করা। আরেকটি কারণ বসার চেয়ারের কাঠামোগত ত্রুটি। দীর্ঘ সময় টানা বসে কাজ করলে আমাদের মেরুদণ্ডের সামনের দিকের পেশি সংকুচিত এবং পেছনের দিকের পেশি প্রসারিত হয়। এ কারণে দেহে পেশির ভারসাম্যহীনতা (মাসকুলার ইমব্যালেন্স) তৈরি বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে বহুল আলোচিত রোগের নাম ডায়াবেটিস। আমাদের দেশে অনেকেই এই রোগে ভুগছেন। ডায়াবেটিসের নানা জটিলতা আছে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি তার মধ্যে অন্যতম। শরীরের প্রায় সব অঙ্গই ডায়াবেটিসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রও ডায়াবেটিস এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকেরই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকেনা। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে ধীরে ধীরে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দেখা দেয়। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কিন্তু একদিনে বা একমাসে দেখা যাবেনা। দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে সেখান থেকে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দেখা দেয়। বাকি অংশ পড়ুন...
অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় প্রথম তিন মাস রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবে কিছুটা কমের দিকে থাকে। পাঁচ মাসের পর থেকে কারও কারও উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা দেখা যায়। গর্ভকালীন রক্তচাপ বেড়ে গেলে নানা জটিলতার আশঙ্কা থাকে। প্রি-একলাম্পসিয়া এদের মধ্যে অন্যতম।
প্রথম পাঁচ মাসের মধ্যেই যদি উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে, তবে তাকে ক্রনিক উচ্চ রক্তচাপের রোগী বলা হয়। অর্থাৎ আগে থেকেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধরতে হবে। আর গর্ভধারণের পাঁচ মাস অতিক্রম করার পর যদি প্রথম কারও উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে, তবেই তাকে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।
রক্তচাপ ১৪০ মিলিমিটার বা তার বাকি অংশ পড়ুন...
স্টেরয়েড হল হর্মোনের মতো একটি পদার্থ, যা বানানো হয় কৃত্রিম উপায়ে। স্টেরয়েড এক ধরনের ওষুধ যার শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, মারাত্মক অ্যালার্জি ও অন্যান্য রোগে সংকটাপন্ন ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে ওষুধ হিসেবে অনেক সময় স্টেরয়েড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি ও ফুসফুসের কিছু রোগ, পরিপাকতন্ত্র ও কিডনির কিছু সমস্যায় প্রভৃতি রোগে নির্দিষ্ট সময় ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। কিন্তু এই ওষুধের অপব্যবহার আমাদের দেশে অনেক। ব্যথা, চুলকানি, শ্বাসকষ্ বাকি অংশ পড়ুন...
ত্বকের অ্যালার্জি হলে মৃদু চুলকানি থেকে শুরু করে প্রাণসংহারী অ্যানাফাইলেক্সিস পর্যন্ত হতে পারে। ত্বকের সাধারণ অ্যালার্জিক রোগগুলো হচ্ছে-
কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস
ধুলাবালু, নিকেলের গয়না, উল বা কৃত্রিম তন্তুর পোশাক, প্রাণীর লোম, কোনো উদ্ভিদ, বিশেষ রাসায়নিকযুক্ত ক্রিম, লোশন, সাবান ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে কারও ত্বক লাল হয়ে যায়, চুলকাতে থাকে, জ্বালা করে, জায়গায় জায়গায় ফুলে যায়। ত্বকের সরাসরি সংস্পর্শে এলে এটি হয় বলে নাম কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস। অনেক সময় সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া না হয়ে ১২ ঘণ্টা থেকে তিন দিনের মধ্ বাকি অংশ পড়ুন...
সুস্থ থাকতে দৈনন্দিন জীবনে খুব বেশি পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস করলে অনেক রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। এতে যেমন সর্বদা ফিট থাকবেন এবং সেই সঙ্গে ওজনও কমবে। নিয়মিত হাঁটলে অনেক সুফল পাওয়া যায়। দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম না করা বা কম হওয়ার কারণে এখন শরীরে বাসা বাঁধছে নানান অসুখ। এর মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিস (বাত), ওবেসিটি বা স্থূলতা, পেশির শক্তি কমে যাওয়া, অস্টিওপোরোসিস অন্যতম। অথচ শুধু হাঁটার মাধ্যমে এর অনেকগুলো থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।
১। প্রতিদিন খ বাকি অংশ পড়ুন...
এলার্জি সর্দি নাকের একটি সমস্যা যা নাসিকা ঝিল্লীর প্রদাহের ফলে হয়ে থাকে। যেহেতু এর ব্যাপ্তি চারদিকে তাই বলা যায় এটি বিশ্বময় স্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০-২৫ ভাগ জনসমষ্টি নাকের এ রোগের শিকার। যদিও নাকের এলার্জি সর্দি কোন মারাত্মক রোগ নয়, তবে এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়।
কারণ
যদিও অতিসংবেদনশীলতা এলার্জীর মূল কারণ তবে ব্যক্তি বিশেষে তা আলাদা হতে পারে। মাইট (এক ধরনের কীট) যা পুরাতন বইপত্র বা পত্রিকায় থাকে, বাসার পুরাতন ধুলা (ঘুনে ধরা); কসমেটিকস, ফুলের রেনু ও পশু পাখির লোমে এলার্জেন (যা এল বাকি অংশ পড়ুন...
৮. বন্ধ্যত্ব : ধূমপায়ীণী নারীর বন্ধ্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ধূমপান ডিম্বাশয়ের জন্য ক্ষতিকর। সিগারেটের নিকোটিনসহ অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরিতে বিঘ্নঘটায়। এই হরমোনটি ডিম্বাশয়ে ফলিকল উৎপাদন ও ডিম্বপাত নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ধূমপান জরায়ু ও ভ্রূণের আরো অনেক ক্ষতি করে।
১২. মানসিক চাপ : ধূমপায়ীরা অপেক্ষাকৃত বেশি মানসিক চাপে ভুগেন। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপায়ীর মানসিক চাপ আস্তে আস্তে বাড়ে এবং ধূমপান পরিত্যাগ করার পর তা ক্রমশ হ্রাস পায়।
১৩. মস্তিষ্কের উপর প্রভাব: তামাক মানুষের মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব বাকি অংশ পড়ুন...
ডায়াবেটিস কি এবং ইহার ধরণ ?
আমরা শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় কিছু খেলে সেটা আমাদের শরীরে গিয়ে ভেঙে গ্লুকোজ হয়। রক্তে এই গ্লুকোজ বেড়ে গেলেই আমরা বলি ব্লাড সুগার বেড়ে গেছে। আমরা যে রক্ত দিয়ে ডায়াবেটিস মাপি, সেটা এই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণই মাপি।
আমরা শর্করা খেলে আমাদের বডি ইনসুলিন রিলিজ করে। ইনসুলিনের কাজ হল রক্তের গ্লুকোজ শরীরের কোষে ঢুকিয়ে দেয়া। কিন্তু এই ইনসুলিন অনেক সময় শরীরে থাকার পরও কাজ করতে পারে না। কিংবা ইনসুলিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ইনসুলিনের এই অকার্যকারিতার ফলাফলই হলো ডায়াবেটিকস।
আমরা সাধারণত চার ধরন বাকি অংশ পড়ুন...
নরমাল ডেলিভারি: নরমাল ডেলিভারি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মধ্যে কোনও অস্ত্রোপচারের কোনো প্রক্রিয়া নেই। নরমাল ডেলিভারি মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ভালো। একজন গর্ভবর্তী মহিলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নিজেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত করা যেন নরমল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ট করতে পারে। মানসিক এবং শারীরিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার কিছু টিপস নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলা : এই সময়ে নিজেকে যতটা মানসিক চাপ থেকে বিরত রাখতে পারবেন তাহলে গর্ভকালীন এবং প্রসবের সময় ভালো ফলাফল পাবেন। এমন নেতিবাচ বাকি অংশ পড়ুন...
মা শব্দটি যতটা বলতে সহজ এবং ছোট দেখায় কিন্তু বাস্তবে মা হওয়ার সোভাগ্য যাদের হয়েছে তারাই জানেন মা হওয়ার মতো জান্নাতি সুখ পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর নেই। একজন নারী নিজ সন্তানের অস্তিত্বধারণ করা থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যায় যা ভাষা কিংবা শব্দমালা দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।
বর্তমানে কথিত আধুনিকতার ছোয়ায় সিজারের মাধ্যমে সন্তান ডেলিভারি করিয়ে তারা পরিপূর্ণ মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পারছে না, যা নিঃস্বন্দেহে বলা যায়। সিজারের মাধ্যমে সন্তান ভুমিষ্ট করে অজান্তেই নিজের এবং সন্তানের বড় ধরণের বাকি অংশ পড়ুন...












