শরীরের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বড় অঙ্গটির নাম লিভার বা যকৃত। এটা শরীরের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। আমরা যেসব খাবার খাই, সেগুলোর হজমের জন্য বিপাকক্রিয়া ঘটে যকৃতে। যকৃৎ হজমে সহায়ক পিত্তরস তৈরি করে। শরীরের বিভিন্ন বর্জ্য নিষ্কাশনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। শরীরের অতিরিক্ত চিনিকে যকৃৎ গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা রাখে। বিভিন্ন কারনে এই লিভার বড় হতে পারে। পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা সেটা অপুষ্টি বা অতিপুষ্টি যাই হোক না কেন তা লিভার বড় হবার অন্যতম কারন। অনেক সময় পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করলে দেখা যায়, যকৃতের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে।
কারণ
১. একিউট হেপাটা বাকি অংশ পড়ুন...
মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো কিডনি। কিডনি মূলত একটি ছাঁকনযন্ত্র। কিডনি রক্তে উপস্থিত দূষিত পদার্থগুলো পরিশোধন করে এবং মূত্র তৈরি করে সেগুলো দেহ থেকে বের করে দেয়। একটি অসুস্থ বা অকার্যকর কিডনির কারণে একজন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হন। এজন্য কিডনি সুস্থ রাখার জন্য সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।
কিডনির প্রধান কাজগুলো হলো-
রক্তের পরিশোধন
কিডনি দেহের বিপাকের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থগুলো মূত্র সৃষ্টির মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দেয়, ফলে রক্ত বর্জ্যমুক্ত হয়ে পরিশোধিত হয়।
দেহে পানির সমতা বজা বাকি অংশ পড়ুন...
আলঝেইমার হলো ডিমেনশিয়ার একটি রূপ। এটি একধরনের মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ। মনে রাখা দরকার, এতে আক্রান্ত রোগী অসংলগ্ন আচরণ করলেও এটি মানসিক রোগ নয়। এ রোগে মস্তিষ্কের কোষগুলো ধীরে ধীরে ক্ষয় হয় বা মারা যায়। সাধারণত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের আলঝেইমার হতে দেখা যায়। আবার কখনো কখনো অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা যায়। আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রথমে বিভ্রান্ত হন এবং অনেক কিছু ভুলে যেতে শুরু করেন। দিন দিন এটি বাড়তে থাকে।
কারণ
আলঝেইমার রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো অজানা। তবে ধারণা করা হয়, আক্রান্ত বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে পরিচিত একটি নাম হলো বাদাম। এর মধ্যে রয়েছে আখরোট, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম ইত্যাদি। বাদামে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। বেশিরভাগ বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিন বেশি থাকে। প্রতিদিন পরিমিত বাদাম খেলে তা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। বাদাম ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের জন্য একাধিক উপকার করে। বাদাম দুইভাবে খাওয়া হয়- কাঁচা ও ভাজা। কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? জানুন-
ভাজা বা বাকি অংশ পড়ুন...
পানির অপর নাম জীবন, কারণ পানি ছাড়া কোনো প্রাণিই বাঁচতে পারে না। পানির কোন রং বা স্বাদ নেই, কিন্তু অন্য যে খাবারই খাওয়া হোক না কেন, পানি পান না করলে তৃপ্তি পাওয়া যায় না। আর পানি পানের উপকারিতাও অন্য অনেক খাবারের থেকে বেশি। তবে পানি পানেরও নিয়ম রয়েছে। তাই পানি কখন, কীভাবে ও কতটুকু পান করা হলো, সে হিসার রাখলেই পাওয়া যাবে পানির পরিপূর্ণ উপকার। শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য দরকার হয় পানির। এ ছাড়া সতেজ থাকতেও প্রয়োজন পানি। ত্বক ও চুলের ভাল রাখার জন্য পানি পানে দিতে হবে সব থেকে বেশী গুরুত্ব। দিনের যে সময়েই পানি পান করা হোক না কেন, ক বাকি অংশ পড়ুন...
মুখগহ্বরের নানা রোগের মধ্যে আলসার বা ক্ষত অন্যতম। প্রায়ই জিহ্বা, ঠোঁট, মাড়ি, চোয়ালের ভেতরের অংশ বা তালুতে নানা ধরনের ঘাঁ বা ক্ষত হয় অনেকের। মুখের নানাবিধ আলসারের সঠিক কারণ জানা না গেলেও কয়েকটি বিষয় এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে ধূমপান, জর্দা, গুল ও মদ্যপান অন্যতম। এ ছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে:
১। জিহ্বা বা মুখ গহ্বরের ভেতরে কামড় বা ব্রাশের আঘাত।
২। ভাঙা দাঁত বা কৃত্রিম দাঁতের অমসৃণ অংশের ঘর্ষণে কেটে যাওয়া।
৩। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা।
৪। গর্ভাবস্থায়, বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তন।
৫। কিছু ওষুধ যেম বাকি অংশ পড়ুন...
ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অন্যান্য জটিলতার সম্ভাবনা কমানো। ইনসুলিন অনির্ভর ডায়াবেটিস রোগে খাদ্যনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চিকিৎসাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস রোগেও পথ্য একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই কারণে ডায়বেটিস রোগীদের খাবার হতে হবে পুষ্টিকর ও সুষম।
মাঝারি বা ভারী শ্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিরা প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩০ ক্যালরি খাদ্যশক্তির খাবার গ্রহণ করবেন। মোট ক্যালরির ৪০-৫০ শতাংশ শর্করা জাতীয় খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে। জটিল শর্করা য বাকি অংশ পড়ুন...
ডায়াবেটিক রোগীরা একটু সমন্বয় করে ওষুধ সেবন করলে সুস্থভাবেই রোজা রাখতে পারেন। রোজা না রাখলে রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে রাতের খাবার এবং থেকে সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে নাস্তা করলে প্রায় ১২ ঘণ্টা না খেয়েই থাকা হয়। বলা যায় এটাও প্রায় রোজা রাখার সমান সময়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু নিয়ম মেনে ও সময় মতো খাবার খেতে হয়। তাই খাবারের সাথে একটু সমন্বয় করে ওষুধ সেবন করলে সুস্থভাবেই রোজা রাখতে পারবেন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা।
রোজার আগেই ডায়াবেটিক পরীক্ষা
রোজা শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ঠিক করে নিতে হবে ডায়াব বাকি অংশ পড়ুন...
কাঁধের জোড়ার নিজস্ব সমস্যার বাইরেও শরীরের বিভিন্ন স্থানের সমস্যার কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে। ঘাড়ের সমস্যায়, পিত্তথলির প্রদাহ বা প্রদাহের ক্ষেত্রে কিংবা ফুসফুসের সমস্যাতেও কাঁধে ব্যথা হয়। কাঁধে ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হলো আঘাত। সাধারণত যে কারণে ভুক্তভোগী মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন তার মধ্যে ফ্রোজেন শোল্ডার’ অন্যতম। প্রাথমিকভাবে এটা হলো কাঁধের নরম কলাগুলোর প্রদাহজনিত অবস্থা। পেরি আর্থ্রাইটিস, অসটিও আর্থ্রাইটিস, হাড় ভেঙে গেলে কিংবা স্থানচ্যুত হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হয়। পেশি, টেনডন, লিগামেন্ট- সবকিছুই আক্রান বাকি অংশ পড়ুন...
রোজায় সুস্বাস্থ্য ও খাবার-দাবার
সাহ্রি
সারা দিন রোজা রেখে সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য সাহ্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সাহ্রি খেতে চান না অথবা খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যান। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। সাহ্রি সারা দিনের কাজ করার শক্তি জোগায়। তাই সাহ্রিতে একটু সময় নিয়ে পরিমিত পরিমাণে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ অথবা গোশত খাওয়া যেতে পারে। ভাত, সবজি ও মাছ খাওয়ার পর এক কাপ দুধ ও খেজুর খেলে সারা দিন সুন্দরভাবে রোজা রাখা যায়। অনেকেরই কফি পান করার অভ্যাস থাকে। তাই অ বাকি অংশ পড়ুন...
হঠাৎ মাথা ঘোরার কারণে কেউ পড়ে যেতে পারে, দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে, তাই এটিকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেক কারণেই মাথা ঘুরতে পারে। তবে কানের ভেতর ভেস্টিবুলোককলিয়ার নামক স্নায়ুতে সমস্যার কারণে বেশি মাথা ঘোরে।
কারণ
অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অন্তঃকর্ণের রক্তনালির অস্বাভাবিকতা, অন্তঃকর্ণের প্রদাহ, মেনিয়ারস রোগ, অস্বাভাবিক দৃষ্টিগত সমস্যা, অনেক উঁচুতে উঠে নিচের দিকে তাকালে এবং চলন্ত ট্রেন বা গাড়ি থেকে প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালে মাথা ঘোরে। এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, মাথার পেছন দিকে ও ঘাড় বাকি অংশ পড়ুন...
হাইড্রোকেফালাস বা মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বড় এমন রোগী প্রায়ই দেখা যায়, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। এই রোগ হয় মাথার ভেতর রক্তপ্রবাহ ছাড়াও গহ্বর বা ভেন্ট্রিকলগুলো থেকে নিঃসৃত সিএসএফ যদি বেশি বের হয় এবং তা যদি সঠিকভাবে আত্তীকরণ না হয় সিএসএফ জমে জমে মাথার ভেতরের গহ্বরের আকার বড় করে দেয়, যা বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় মাথা বড় হয়ে যাচ্ছে। হাইড্রোকেফালাস দুই প্রকারের। অবস্ট্রাকটিভ হাইড্রোকেফালাস ও কমিনিডেটিং হাইড্রোকেফালাস। সচেতন হলে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
কারণ
মানবদেহের মস্তিষ্কে ভেন্ট্রিকল নামের খালি জায় বাকি অংশ পড়ুন...












