মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা রওয়ানা মুবারক করার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুতি মুবারক গ্রহণ করেন। ৮ম হিজরী শরীফ উনার পবিত্র ১০ই রমাদ্বান শরীফ সম্মানিত ছলাতুল আছর উনার পর ১০ হাজার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের এক বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা বাকি অংশ পড়ুন...
কারণ ও প্রেক্ষাপট:
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
৬. ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের প্রতিবাদ এবং তার বায়াত ভঙ্গ: পবিত্র মদীনা শরীফবাসী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির এই সকল কুফরী ও হারাম-নাজায়িয কাজের প্রতিবাদ করেন এবং তার বায়াত ভঙ্গ করেন। আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “৬২ হিজরীতে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি তার চাচাতো ভাই উছমানকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার শাসক পদে নিয়োগ করে। উছমান ইয়াযীদ লা’নাতুল বাকি অংশ পড়ুন...
কারণ ও প্রেক্ষাপট:
৩. স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনাকে অস্বীকার এবং উনার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি লিখে-
اُدْعُوْ اِلٰهَكَ فِى السَّمَاءِ فَاَنَّنِىْ ... اَدْعُوْ عَلَيْكَ رِجَالَ عَكَّ وَاَشْعَرْ
كَيْفَ النَّجَاةُ اَبَا خُبَيْبٍ مِنْهُمْ ... فَاحْتَلْ لِنَفْسِكَ قَبْلَ اَتَى الْعَسْكَرْ
অর্থ: “আপনি আপনার ইলাহ্ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ডাকুন যিনি আসমানে আছেন। আর আমি আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আক ও আশআর গোত্রের যোদ্ধাদের ডাকি। আবূ খুবাইব (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার প্রস্তুতি এবং বিশেষ সতর্কতা মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার প্রস্তুতি গ্রহণ করার এবং সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্রতম উদ্দেশ্য মুবারক কারো নিকটই প্রকাশ করেননি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইচ্ছা মুবারক ছিলো যে, উনার পবিত্র উদ্দেশ্য মুব বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনিও হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রশংসায় বলেন-
يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ جَزَاكُمُ اللَّهُ خَيْرًا، فَوَاللَّهِ مَا مَثَلُنَا وَمَثَلُكُمْ إِلَّا كَمَا قَالَ طُفَيْلٌ الْغَنَوِيُّ لِبَنِي حَضْرَتْ جَعْفَرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ
অর্থ: “হে হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বোত্তম প্রতিদান দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমাদের এবং আপনাদের অবস্থা ঠিক সেইরূপ যেরূপ তুফাইল গানাভী কবি উনার কবিতায় বর্ণনা করেছেন বানী জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...
কারণ ও প্রেক্ষাপট:
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
২. ইবনে যিয়াদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির পদ মর্যাদা বৃদ্ধি: আল্লামা সিবতু ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
بعد قتل سيدنا حضرت الامام الثالث من اهل بيت رسول الله صلى الله عليه وسلم (سيدنا حضرت الاامام حسين عليه السلام) كتب يزيد إلى ابن زياد أمَّا بعد فإنك قد ارتفعت إلى غايةٍ أنتَ فيها كما قال الأول
رفعتَ فجاوزتَ السحابَ وفوقَهُ ... فما لكَ إلا مرقب الشمس مقعدُ
فإذا وقفتَ على كتابي هذا فاقْدَمْ عليَّ لأُجازيَك على ما فعلت فقدم عليه ابن زياد في أرباب دولته وجميع بني أمية فخرجوا إليه ولما دخلوا على يزيد قام له واعتنَقَه وقبَّل ما بين عينيه وقبَّل ابنُ زياد يدَه وأجلَسه معه على سريره وقرَّبه وأدناه وأجلسه معه على سريره في الخضراء وكان منادمَه وقال يزيد ليل বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
স্মরণীয় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাঝে সেই সমস্ত সম্পদ বন্টন করে দিলেন যা ইহুদীদের থেকে গনীমত হিসাবে লাভ করেছিলেন। এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইচ্ছা মুবারক ছিলো, হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যে হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
আল্লামা সিবতু ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وأما المشهور عن يزيد لعنة الله عليه في جميع الروايات أنه لما حضر الرأس بين يديه جمع أهل الشام وجعل ينكت بالخيزران ويقول أبيات ابن الزبعري
ليت أشياخي ببدر شهدوا ... وقعة الخزرج من وقع الأسل
قد قتلنا القرن من ساداتهم ... وعدلناه ببدر فاعتدل
অর্থ: “সমস্ত রেওয়াতের মধ্যে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির ব্যাপারে যে বিষয়টি মশহূর বা প্রসিদ্ধ, তা হচ্ছে- যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সির বা মাথা মুবারক ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির সামনে উপস্থিত করা হয়, তখন সে শামব বাকি অংশ পড়ুন...
গত পর্বের পর---
قَالَ حضرت الزُّهْرِيِّ قَالَ حضرت عُمَرُ عليه السلام فَعَمِلْتُ لِذَلِكَ أَعْمَالاً. قَالَ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأَصْحَابِهِ " قُومُوا فَانْحَرُوا، ثُمَّ احْلِقُوا ". قَالَ فَوَاللَّهِ مَا قَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ حَتَّى قَالَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ دَخَلَ عَلَى حضرت أم المؤمنين السادسة أُمِّ سَلَمَةَ عليها السلام، فَذَكَرَ لَهَا مَا لَقِيَ مِنَ النَّاسِ. فَقَالَتْ حضرت أم المؤمنين السادسة عليها السلام يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَتُحِبُّ ذَلِكَ اخْرُجْ ثُمَّ لاَ تُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى تَنْحَرَ بُدْنَكَ، وَتَدْعُوَ حَالِقَكَ فَيَحْلِقَكَ. فَخَرَجَ فَلَمْ يُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُ বাকি অংশ পড়ুন...












