সম্মানিত ছলাতুল ফজর উনার পর সবার আগে হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি প্রস্তুত হয়ে ৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনাদেরকে বের হতে বললেন এবং উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই কবিতা মুবারক আবৃত্তি করলেন-
هبوا جميع اخوتى ارواحا. نحو العدو نبتغى الكفاحا
ويرزق الله لنا صلاحا. فى نصرنا الغدو والرواحا
অর্থ: “আমার সকল ভাইগণ প্রাণ নিয়ে জেগে উঠুন। আমরা শত্রুর দিকে সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ যাবো। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সঠিকত্বের বুঝ দিবেন, আমাদের সকাল-সন্ধ্যার বিজয় যুদ্ধে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সর্বোচ্চ কামিয়াবী মুবারক হ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পরিবর্তে হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে বেশী ত্বলব করার কারণ সম্পর্কে তিনি নিজেই বলেন, ‘হে হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম! আমি আপনাদেরকে ত্বলব করার কারণ হলো- আপনাদের প্রতি আমার সম্মানিত মুহব্বত এবং আপনাদের সম্মানিত ঈমান উনার প্রতি আমার হুসনে যন, সুধারণা মুবারক। আপনারা তো এমন ব্যক্তিত্ব মুবারক, আপনাদের সম্মানিত অন্তর মুবারক-এ সম্মানিত ঈমান মুবারক মজবুতভাবে আসীন হয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ! এই কথা মুবারক শু বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত বুর‘ঈ ইবনে আদী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন- “আমি হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মুখে ছিলাম। তিনি ৬০ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে আহ্বান মুবারক করেন। সর্বপ্রথম আহ্বান মুবারক করে বলেন- কোথায় হযরত উমর তাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু? কোথায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাতিবে ওহী হযরত শুরাহ্বীল ইবনে হাসানাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু? কোথায় হযরত খালিদ ইবনে সাঈদ ইবনে ‘আছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু? কোথায় হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবূ সুফিয়ান উমাইয়্যী রদ্বিয়াল্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ভিতরে প্রবেশ করে সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় করা এবং বিভিন্ন স্থানের মূর্তিপূজার কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ যখন পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করা হলো- তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ভিতরে প্রবেশ করেন এবং সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় করেন। এরপর তিনি হাজরে আসওয়াদ চুম্বন মুবারক করেন এবং ইহরাম বাঁধা ব্যতীত তাকবীর, তাহলীল, হামদ, যিকর ইত্যাদি পাঠ করার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহা বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়ারমূকের সম্মানিত জিহাদ মুবারক শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে রোমান খ্রিষ্টানরা ষঢ়যন্ত্রমূলকভাবে আরব খ্রিষ্টানদের ৬০ হাজার সৈন্যকে জাবালা নামক এক কাফিরের নেতৃত্বে যুদ্ধের জন্য পাঠায়। তাদেরকে চরম শিক্ষা দিয়ে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়া এবং রোমান খ্রিষ্টান বাহিনীকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার জন্য হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এক বিশেষ হিকমত মুবারক অবলম্বন করেন। তিনি আমীরুল মুজাহিদীন হযরত আবূ উবাইদাহ্ ইবনে জাররাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হে সম্মানিত আমীরুল মুজাহিদীন হযরত আবূ উ বাকি অংশ পড়ুন...
মূর্তি অপসারণ করা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় করা হয়। সেই সময় পর্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ভিতরে এবং আশেপাশে অনেকগুলি মূর্তি ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেগুলো ভেঙে ফেলার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক দেন, তিনি নিজেও উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) দ্বারা মূর্তি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত উম্মতদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপব বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ:
‘মাররুয যাহরান’ নামক স্থানেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত সৈন্যবাহিনীকে অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে সাজান। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার উচ্চভূমি দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করেন এবং হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার নিম্নভূমি দিয়ে প্রবে বাকি অংশ পড়ুন...












