সম্মানিত হিজরী তৃতীয় বৎসরে সংঘটিত হয় সম্মানিত গাতফানের জিহাদ। এই সম্মানিত জিহাদকে আনমারের জিহাদ বা যী- আমরের জিহাদও বলা হয়। স্থানটি ছিলো নজদের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (তথা মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) এ জিহাদ সংঘটিত হয়েছিল। অন্য বর্ণনায় ৩য় হিজরী পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গাতফান গোত্রকে তা’লীম দেয়ার উদ্দেশ্যে নজদের পথে বের হন। এই সম্মানিত জিহাদ উনার কারণ ছিলো, সংবাদ প্রচারিত হয়ে গেলো যে, বানী ছা’লাবা এবং বানী মুহারি বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন। হযরত হাসসান ইবনে ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কাট্টা কাফির আমরাহ বিনতে আলকামা হারিছী ও তার পতাকা উত্তোলন সম্পর্কে বলেন-
إِذَا عَضَلٌ سِيقَتْ إِلَيْنَا كَأَنَّهَا ... جَدَايَةُ شِرْكٍ مُعْلَمَاتِ الْحَوَاجِبِ
أَقَمْنَا لَهُمْ طَعْنًا مُبِيرًا مُنَكِّلًا ... وَحُزْنَاهُمُ بِالضَّرْبِ من كل جانب
فلولا لواء الخارثية أَصْبَحُوا ... يُبَاعُونَ فِي الْأَسْوَاقِ بَيْعَ الْجَلَائِبِ
অর্থ: “যখন বানূ আদ্বল শিরক এলাকার হরিণের বাচ্চার মত আমাদের দিকে ধেয়ে এসেছিল, যখন তাদের ভ্রুর উপর চিহ্ন ছিল, তখন আমরা তাদের প্রতি দৃষ্টান্তমূলক বিধ্বংসী বর্শা নিক্ষেপ বাকি অংশ পড়ুন...
স্মরণীয় যে, মক্কার কাফির মুশরিকরা সম্মানিত উহুদের ময়দান থেকে সবাই এদিক সেদিক পলায়ন করল যার ফলে ময়দানে কাফিরদের কেউই অবশিষ্ট থাকলো না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যখন দেখলেন কাফির মুশরিকরা পলায়ন করেছে তারা আর ময়দানে নেই তখন উনারা নিজেদের মাল-সামানা এবং কাফির মুশরিকদের সম্পদগুলো গনীমত হিসেবে পেয়ে সংগ্রহ করতে লাগলেন। কারণ সম্মানিত জিহাদে কাফির মুশরিকদের থেকে লব্ধ গনীমতকে মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
বনু কুরায়যাকে শাস্তিদানের ব্যাপারে রায় দানকারী ছাহাবী হযরত সা‘দ ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক:
হযরত সা‘দ ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন অন্যতম ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন। যিনি সম্মানিত বদর, উহুদ ও খন্দকের জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সম্মানিত হিজরতের পূর্বে মদীনা শরীফে তিনি নিজ গোত্র আওসের আমীর ছিলেন। পবিত্র মদীনাবাসীদেরকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার ৫১-৫৭ নং আয়াত শরীফ নাযিলের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
يَا أبَا الْحَبَّابِ مَا نَفَسْتَ الْيَهُوْدَ عَلَى حَضْرَتْ عُبَادَةِ بْنِ الصَّامِتِ رَضِىَ اللهُ تَعَالىَ عَنْهُ فَهُوَ لَكَ دَوْنَهُ-
অর্থ: “হে আবুল হাব্বাব! ইহুদীদের বন্ধুত্ব থেকে তোমরা যা অতিরিক্ত গ্রহণ করেছ তা তোমাদের জন্য রইলো। হযরত উবাদা ইবনে ছামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এর মধ্যে নেই। কাট্টা মুনাফিক উবাই বিন সুলূল বলল, তবে তাই হবে।”
অর্থাৎ হযরত উবাদা ইবনে ছামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভিতর বাকি অংশ পড়ুন...
এ সম্পর্কে প্রসিদ্ধ তারিখ ও সীরাত গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে-
لَمَّا حَارَبَتْ بَنُو قَيْنُقَاعٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , تَشَبَّثَ بِأَمْرِهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ , وَقَامَ دُونَهُمْ . ومَشَى عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَكَانَ أَحَدَ بَنِي عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ مَنْ لَهُ حِلْفُهُمْ مِثْلُ الَّذِي لَهُمْ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ , فَخَلَعَهُمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَتَبْرَأَ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ مِنْ حِلْفِهِمْ , وَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ مِنْ حِلْفِهِمْ وَأَتَوَلَّى اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ , وَأَبْرَأُ مِنْ حِ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত জিহাদের ময়দান থেকে কাফির মুশরিকদের পলায়ন ও সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিজয়:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল সাহসিকতাপূর্ণ ঈমান, পরম আগ্রহপূর্ণ অন্তর এবং সুনিপুন হিকমতপূর্ণ জিহাদের দরুন কুরাইশ কাফির মুশরিকরা আর ময়দানে টিকে থাকতে পারলো না। তারা এদিক সেদিক পালাতে শুরু করলো। কাফির মুশরিকদের পক্ষের মহিলারাও একপর্যায়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় উর্ধ্বশ্বাসে পিছন পানে দৌঁড়ে যেতে লাগলো।
কিছুক্ষণ ধরে এরূপ কঠিন অবস্থা চলতে থাকে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সম্মানি বাকি অংশ পড়ুন...
চতূর্থ মুবারিয: এরপর পতাকা হাতে নিয়ে নিলো কাট্টা কাফির আবূ সা’দ ইবনে আবূ ত্বলহা। সাইয়্যিদুনা হযরত সা’দ ইবনে আ৬বী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তৎক্ষনাৎ তাকে নিশানা করে তীর নিক্ষেপ করলেন, তীর গিয়ে তার গলায় লাগল। ফলে তার মুখ থেকে জিহ্বা বাইরে বের হয়ে আসলো। সাইয়্যিদুনা হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কাট্টা কাফির আবূ সা’দকে তাড়াতাড়ি কতল করলেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
পঞ্চম মুবারিয: এরপর এলো কাট্টা কাফির মুসাফি বাকি অংশ পড়ুন...
অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধ গণ্য করে শাস্তি ও জরিমানার বিধান রেখে তৈরি করা হচ্ছে 'ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন'।
এটি এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আইনটি চলতি ২০২৩ সালেই মন্ত্রিপরিষদে উঠবে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভূমির অপ্রতুলতার কথা মাথায় রেখে সরকার প্রথমবারের মতো অকৃষি জমিতেও সিলিং রাখার বিধান করেছে। প্রাথমিকভাবে ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন’-এ ৪০ বিঘা সিলিং (সর্বোচ্চ সীমা) প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে একজন নাগরিকের নামে ৪০ বিঘার বেশি অকৃষি জমির মালিকানা বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক সম্মানিত খন্দকের জিহাদে পরীখা বা খন্দক খননের পরামর্শদানকারী হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহনের সম্মানিত ওয়াক্বিয়া মুবারক: ৩
হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যতদিন চান ততদিন আমি আম্মুরিয়্যা হতে অবস্থান করলাম। অতঃপর আমার নিকট দিয়ে কালব গোত্রের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা যাচ্ছিল। আমি উনাদেরকে বললাম, তোমরা আমাকে আরবে নিয়ে চল। (বিনিময়ে) আমি তোমাদের এই গাভী ও বকরীগুলো প্রদান করব। তারা বলল, ঠিক আছে। অতঃপর আমি উনাদেরকে সেগুলো দিয়ে দিলাম আর তারা আ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ছলাতুল ফজর উনার পর সবার আগে হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি প্রস্তুত হয়ে ৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনাদেরকে বের হতে বললেন এবং উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই কবিতা মুবারক আবৃত্তি করলেন-
هبوا جميع اخوتى ارواحا نحو العدو نبتغى الكفاحا
ويرزق الله لنا صلاحا فى نصرنا الغدو والرواحا
অর্থ: “আমার সকল ভাইগণ প্রাণ নিয়ে জেগে উঠুন। আমরা শত্রুর দিকে সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ যাবো। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সঠিকত্বের বুঝ দিবেন, আমাদের সকাল-সন্ধ্যার বিজয় যুদ্ধে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সর্বোচ্চ কামিয়াবী মুবারক হ বাকি অংশ পড়ুন...












