সম্মানিত হিজরী তৃতীয় বৎসরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে, নাজরানদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা। একে বানী সুলাইমের অভিযানও বলা হয়। ওই অভিযানের কারণ ছিলো এরকম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সংবাদ জানানো হলো যে, সেখানে বানী সুলাইম গোত্রের লোকেরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হচ্ছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৩০০ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নিয়ে সেখানে তাশরীফ বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ উনার পরের দিন ১৮ই রমাদ্বান শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত বিছালী শান মুবারক গ্রহণ করেন:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত মদীনা শরীফ-এ হিজরত মুবারক করার পর প্রায় এক বছর কয়েক মাস দুনিয়ার যমীন-এ অবস্থান মুবারক করেন। দ্বিতীয় হিজরী সনের সম্মানিত শা’বান মাসের শুরুর দিকে উনার গুটিবসন্ত হয়। তখন থেকে তিনি সম বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত উহুদ জিহাদে স্বয়ং খলিক মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত খুশি মুবারক করার লক্ষ্যে পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন-
لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ
অর্থ: “(মহান আল্লাহ পাক) তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন এই বিষয়ে আপনার কোন কিছুই করতে হবে না কারণ তারাতো যালিম। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ১২৮)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছ বাকি অংশ পড়ুন...
স্মরণীয় যে, যারা বলেছিল যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক গ্রহণ করেছেন সুতরাং আপনারা নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট ফিরে যান। তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন-
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজন সুমহান রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার পূর্বে অনেক হযরত রসূল আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
দেওয়ানি প্রকৃতির মামলা:
কোন বিষয়ে অধিকারের দাবি বা সম্পত্তি দাবি বা কোন ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবির ক্ষেত্রে যে মামলা করা হয় তাকে দেওয়ানি মামলা বলে। সম্পত্তির ওপর স্বত্ব ও দখলের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে যে মামলার মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হয় তাকে দেওয়ানি মামলা বলে। দেওয়ানি মামলাকেই আদালতের ভাষায় ‘মোকদ্দমা’ বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের মামলা হলো ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির, প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির সাথে প্রতিষ্ঠানের বিরোধ সংক্রান্ত মামলা। যার নিস্পত্তি হয় সাধারণত ক্ষতিপূরণ আদায়ের মাধ্যমে বা অধিকার ফিরিয় বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক সম্মানিত খন্দকের জিহাদ সম্পর্কে নাযিলকৃত মহাসম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ ৯ থেকে ২৭ পর্যন্ত উনাদের সরল অর্থ মুবারক:
قُل لَّن يَنفَعَكُمُ الْفِرَارُ إِن فَرَرْتُم مِّنَ الْمَوْتِ أَوِ الْقَتْلِ وَإِذًا لَّا تُمَتَّعُونَ إِلَّا قَلِيلًا ﴿١٦﴾
(আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে বলুন, ‘তোমাদের কোন লাভ হবে না যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর, তবে সেই ক্ষেত্রে তোমাদেরকে দুনিয়ার স্বাদ সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে।’ (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১৬)
قُلْ مَن ذَا الَّذِي يَعْصِمُكُم مِّنَ اللَّهِ إِنْ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রসিদ্ধ তারিখ ও ইতিহাস গ্রন্থসমূহে আরো উল্লেখ রয়েছে-
يَا كَذَّابُ أَيْنَ تَفِرُّ فَحَمَلَ عَلَيْهِ فَطَعَنَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَيْبِ الدِّرْعِ فَجُرِحَ جَرْحًا خَفِيفًا فَوَقَعَ يَخُورُ خُوَارَ الثَّوْرِ فَاحْتَمَلُوهُ وَقَالُوا لَيْسَ بِكَ جِرَاحَةٌ فَمَا يُجْزِعُكَ؟ قَالَ: أَلَيْسَ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَ لَو كَانَت تَجْتَمِع ربيعَة وَمُضر لقتلهم. فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ حَتَّى مَاتَ مِنْ ذَلِكَ الْجُرْحِ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,‘হে মিথ্যুক! তুই এখন কোথায় যাবি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ، قَالَ كَأَنـِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـحْكِي نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ ضَرَبَهُ قَوْمُهُ، وَهُوَ يَـمْسَحُ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ، وَيَقُولُ ্রرَبِّ اغْفِرْ لِقَوْمِي فَإِنّـَهُمْ لَا يَعْلَمُونَগ্ধ،
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেন আমি এখনও চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করছেন, উনার ক্বওম উনাকে বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশের প্রতিটি আদালতের বিচারিক ক্ষমতা সংবিধান অথবা রাষ্ট্রকর্তৃক পাশকৃত আইন দ্বারা সীমাবদ্ধ। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং তৎক্রম নিম্নভাবে জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি আদালত এবং ফৌজদারি আদালত রয়েছে। এছাড়াও বিশেষ মামলাসমূহের জন্য রয়েছে বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতের বিচারিক ক্ষমতা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-
বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৪ নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত হবে সুপ্রীম কোর্ট যা দুটি ভাগে বিভক্ত-
ক) আপীল বিভাগ, এবং
খ) হাইকোর্ট বিভাগ বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক সম্মানিত খন্দকের জিহাদ সম্পর্কে নাযিলকৃত মহাসম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ উনার ৯ থেকে ২৭ পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের সরল অর্থ মুবারক:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَاءَتْكُمْ جُنُودٌ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَّمْ تَرَوْهَا ۚ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا ﴿٩﴾
“হে ঈমানদারগণ! আপনাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহকে স্মরণ করুন, যখন আপনাদের নিকট এসেছিল সেনাদলসমূহ। অতঃপর আমরা তাদের উপর প্রেরণ করলাম তীব্র ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এমন সেনাবাহিনী যাদেরকে আপনারা দেখেননি। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনারা যা করেন তা দ বাকি অংশ পড়ুন...
অতঃপর হযরত আবূ উবাইদাহ্ ইবনে জাররাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘এমন কে আছেন যিনি শত্রু ছাওনির ভিতরে গিয়ে আমাদের জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের সংবাদ মুবারক নিয়ে আসবেন? যিনি এই কাজ করবেন, উনার প্রতিদান স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই দিবেন।’ হযরত আবূ উবাইদাহ্ ইবনে জাররাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এই সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সবার আগে সাড়া দেন হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। হযরত আবূ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার পর অনেক জিহাদ সংঘটিত হয়। সেগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে, গাযওয়া ও সারিয়াহ। যেসমস্ত সম্মানিত জিহাদসমূহে স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ বা তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছিলেন তার নাম গাযওয়া। আর যে সমস্ত জিহাদে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সরাসরি অংশগ্রহণ করে বাকি অংশ পড়ুন...












