সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ سَعِيْدِ ۨ الْـخُدْرِىّ رَضِىَ اللهُ تَعَالىٰ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـخْرُجُ رَجُلٌ مّـِنْ اَهْلِ بَيْتِىْ عِنْدَ اِنْقَطَاعٍ مّـِنَ الزَّمَانِ وَظُهُوْرٌ مّـِنَ الْفِتَنِ رَجُلٌ يُّقَالُ لَهُ السَّفَّاحُ فَيَكُوْنُ اِعْطَاؤُهُ الْمَالَ حَثْيًا
অর্থ : “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন তিনি স্বাধীন ছিলেন না। উনাকে কাট্টা কাফির উমাইয়া বিন খালফ যে কঠিন যুলুম-নির্যাতন করেছে, তা বর্ণনার দ্বারা প্রকাশ করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। মরুভূমির টগবগে ফুটন্ত বালির উপরে খালি গায়ে শোয়ায়ে উনার বুকের উপর অনেক ওযনের বিশালাকারের পাথর চাপা দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে অস্বীকার করার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করা হ বাকি অংশ পড়ুন...
সাফফাহ (سَفَّاحٌ) শব্দ মুবারক উনার তাহক্বীক্ব বা শাব্দিক বিশ্লেষণ: সাফফাহ (سَفَّاحٌ) শব্দ মুবারকখানা ইসমে ফায়িল মুবালাগাহ। ইহা سفح মাদ্দাহ হতে নির্গত। মহান আল্লাহ পাক উনার (غَفَّارٌ) গফফার, (سَتَّارٌ) সাত্তার, (جَبَّارٌ) জাব্বার ইত্যাদি ছিফতী নাম মুবারক উনাদের ন্যায় এই (سَفَّاحٌ) সাফফাহ শব্দ মুবারকখানাও আধিক্যের অর্থ প্রদান করবে। অর্থাৎ (غَفَّارٌ) গফফার অর্থ যেমন সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল। যাঁর উপর আর কোনো ক্ষমাশীল নেই। তেমনিভাবে (سَفَّاحٌ) সাফফাহ অর্থ হচ্ছেন- সর্বশ্রেষ্ঠ মুুক্তিদানকারী। যাঁর উপর আর কোনো মুক্তিদানকারী নেই। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন মহান আল বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ছিলেন পারিবারিকভাবে অত্যন্ত উচ্চ বংশীয়। প্রাথমিক জীবনে তিনি একদিন একটি কাফেলার সাথে উনার নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ‘ক্বায়েস গোত্র’ উনাদের কাফেলার সব কিছু ছিনিয়ে নিলো। এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকেও নিয়ে গিয়ে গোলাম হিসেবে বিক্রি করে দিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত হাকিম ইবনে হায্ম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফুফু উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা বাকি অংশ পড়ুন...
যারা উম্মী অর্থ নিরক্ষর করে তাদের মূল দলীল হচ্ছে বুখারী শরীফের একটি হাদীছ শরীফ। কিন্তু তারা একবারও হাদীছ খানা ফিকির করেছে?
হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: ্রإِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لَا نَكْتُبُ وَلَا نَحْسُبُ،
“আমরা উম্মী জাতি। লিখি না, হিসাব করি না”। (বুখারী শরীফ: ১০৮০)
উম্মী শব্দকে নিরক্ষর অর্থকারীরা এই হাদীছ শরীফ থেকে অর্থ করে আমরা নিরক্ষর জাতি। আমরা লিখতে পারি না, আমরা হিসাব করতে পারি না। কিন্তু এই হাদীছ শরীফের যদি এরকম অর্থ করা হয় তাহলে মারাত্মক স্ববিরোধিতা তৈরী হয় সেই সাথে অনেক বিকৃতিরও বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই গাধা মুবারক উনার উপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আরোহণ মুবারক করতেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুদায়ী মুবারক উনার কারণে সেই গাধা মুবারকটি এত বেশি ব্যথিত ও মর্মাহত হলেন যে, সেটি একটি কূপে লাফ দিয়ে পরে ইন্তেকাল করেন। এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَاتَ تَرَدَّى فِي بِئْرٍ جَزَعًا وَحُزْنًا فَمَاتَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর একজন হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত মুবারক করতে এসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে বলতে থাকেন-
إِكْشِفِيْ لِي قَبْرَ رَسُول اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَشَفَتْهُ لَهَا فَبَكَتْ حَتَّى مَاتَتْ
‘হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছেন,
أن حضرت عبد الله بن زيد رضى الله تعالى عنه كان يعمل فى جنة له فأتاه ابنه فأخبره أن النبى صلى الله عليه وسلم قد توفى فقال اللهم أذهب بصرى حتى لا أرى بعد حبيبى سيدنا مولانا محمد صلى الله عليه وسلم أحدا فكف بصره
অর্থ: “নিশ্চয়ই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার একটি বাগানে কাজ করছিলেন। তখন উনার নিকট উনার ছেলে এসে সংবাদ মুবারক দিলেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। তখন তি বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইলিম মুবারক নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা কি মানুষ রাখে?
৫) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও বলেছেন, “আলিফ, লাম, ‘র’; এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াতসমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে। ” (পবিত্র সূরা হুদ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০১)
৬) মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন, বলুন! আমার পালনকর্তার কথা লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্ বাকি অংশ পড়ুন...
১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন- ‘আল হাদিয়াহ্ ‘আশার অর্থাৎ ১১তম’। এজন্য উনাকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম’ ব বাকি অংশ পড়ুন...












