আল ইহসান ডেস্ক:
চাকমা সার্কেল চিফ উপজাতি রাজাকার ত্রিদিবের সবচেয়ে বড় পরিচয়- সে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী একজন যুদ্ধাপরাধী রাজাকার। তার নেতৃত্বে উপজাতিরা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। আর এর প্রধান নেতা ছিল- উপজাতি চাকমাদের বর্তমান চীফ দেবাশীষের পিতা যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব।
উচ্চ আদালতের এক আদেশে সব স্থাপনা থেকে ত্রিদিবের নাম মুছে ফেলার নির্দেশনা দেয় পর থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছে সে। উঠে এসেছে একাত্তরে তার জঘন্য ভূমিকার নানা ইতিহাস।
একাত্তরের ১৬ এপ্রিল। রাঙ্গামাটি মহকুমা সদরের এসডিও আবদুল আলী। পাকিস্তান সর বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
উপজাতি চাকমা ত্রিদিব ছিলো তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা ও পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গামাটি সার্কেলের চাকমা নেতা এবং আত্মস্বীকৃত কুখ্যাত রাজাকার।
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত রাজাকার ত্রিদিব চাকমা সার্কেল চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
পরে ১৯৭৭ সালে তার অনুপস্থিতিতেই তার ছেলে সার্কেল চিফ দেবাশীষ চাকমা সার্কেলের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
৬ দফা দাবির বিরোধিতা:
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। উপজাতি চাকমা রাজাকার ত্রিদিব এই কর্মসূচির স বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
রাজাকার ত্রিদিবের নামে সব স্থাপনার নাম মুছে ফেলার নিদের্শনা দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মূলত, উপজাতি চাকমা ত্রিদিব ছিলো তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা ও পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গামাটি সার্কেলের চাকমা নেতা এবং আত্মস্বীকৃত কুখ্যাত রাজাকার। এই উপজাতি রাজাকার ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রবল বিরোধিতা করেছিলো। শুধু তাই নয়; দেশ স্বাধীন হওয়ায় সে রাগে, ক্ষোভে ও ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে পাকিস্তান চলে যায়।
সে ছিলো রাঙ্গামাটি সার্কেলের চাকমা নেতা ও সার্কেল চীফ। তার বাবা নলিনাক্ষ ১৯৫২ সালের বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সরকার ঘোষণা দিয়েছে- রাজাকারের উত্তরসূরী তথা তাদের সন্তানদের সরকারী কোন চাকরী-বাকরি ও সুযোগ-সুবিধা দিবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সকল উপজাতিরাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলো। অথচ বর্তমানে এসব স্বাধীনতাবিরোধী উপজাতিরা ‘উপজাতি কোটায়’ সরকারী চাকরি ও সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে।
যুদ্ধাপরাধী চাকমা উপজাতি রাজাকার ত্রিদিব বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে করতেই পাকিস্তানে মারা গেছে। সেই কুখ্যাত রাজাকারের অনুসারী উপজাতিরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্রকে খ-িত করে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক: সরকার ঘোষণা দিয়েছে- রাজাকারের উত্তরসূরী তথা তাদের সন্তানদের সরকারী কোন চাকরী-বাকরি ও সুযোগ-সুবিধা দিবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সকল উপজাতিরাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলো। অথচ বর্তমানে এসব স্বাধীনতাবিরোধী উপজাতিরা ‘উপজাতি কোটায়’ সরকারী চাকরি ও সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে।
যুদ্ধাপরাধী রাজাকার ত্রিদিব পাকিস্তান সরকারের কাছে এতটাই অনুগত ছিলো যে, তাকে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ফেডারেল মন্ত্রী, ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত পর্যটন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ১৯৮১ থে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
আফসান চৌধুরী লিখেছেন (বাংলাদেশ ১৯৭১ : প্রথম খ-, ফেব্রু. ২০০৭, মাওলা ব্রাদার্স, পৃষ্ঠা ৪৩২) : ‘উপজাতি অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামে মিজো এবং চাকমা উপজাতি পাকসৈন্যদের সাহায্য করে’।
অনেকে এসব উপজাতিদের পক্ষে দালালি করে বলে থাকে, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহচর্য না পেয়ে অথবা অর্থের লোভে পড়ে রাজাকারদের সাথে যোগ দিয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, দেশ স্বাধীন করতে আসা কোনো মুক্তিসেনা কি হতাশ হয়ে শক্রপক্ষের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ দলের উপর সশস্ত্র হামলা চালাতে পারে বা প্রশিক্ষণও কি নিতে পারে? যদি পারেও তাহলে তাদের সবারই কি স্বা বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি
আল ইহসান ডেস্ক:
শুধু শুধু নেতা বা শাসকরাই নয়, চাকমা যুবকরাও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয় এবং সিভিল আর্মড ফোর্স (বা সিএএফ) অথবা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন।
চাকমা যুবকদের রাজাকার বাহিনীতে প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রসঙ্গে মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক তার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতি মূল্যায়ন’ বইয়ের ৭৭ পৃষ্ঠায় লেখেন : ‘উপজাতীয় যুবকদের কিছুসংখ্যক মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলেও অধিকাংশই পকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত সিভিল আর্মড ফোর্স বা সিএএফ (রাজাকার বাহিনী হিসেবে পরিচিত)-এ যোগ দিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
চাকমা শাসক যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব নিজেই তার অপকীর্তিগুলো স্বীকার করে বইও লিখেছে। সে তার বির্তকিত বই দা ডিপার্টেড মেলোডজ-তে লিখেছে, ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল সকালে সে (রাজা ত্রিদিব রায়) তার ভগ্নিপতি কর্নেল হিউম, ম্যাজিট্রেট মোনায়েম এবং আরো কয়েকজন রাজাকার নেতাসহ চট্টগ্রামের নতুন পাড়ায় অবস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেন্টার-এর পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে। পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে ম্যাজিস্ট্রেট মোনায়েম এবং ত্রিদিবের সঙ্গে আসা আরো কয়েকজন বাঙালি ঢাকা থেকে আসা জুনিয়র অফিসার বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
চাকমা শাসক ত্রিদিব এবং বোমাং শাসক অং শৈ প্রু র নাম বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে তৈরি যুদ্ধপরাধীর তালিকায় রয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রর বই ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর (ফেব্রু ২০০৮) ৮১ পৃষ্ঠায় এই দুই শাসকের নাম জ্বলজ্বল করছে তাদের সেই সময়ের সহযোগী গো-আযম, আলী আহসান মুজাহিদ বা ফকা চৌধুরীর নামের পাশে। অন্যদিকে ডা. এম এ হাসানের বই ‘যুদ্ধাপরাধীর তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গ’তেও (ফেব্রু ২০০৯, তাম্রলিপি, পৃষ্ঠা ১৫২) আছে দুই রাজাকার শাসকের নাম। তাদের রাজাকার নম্বর ৯৪৮ এবং ৯৫২ :
948. Mr. Raja Tridiv Roy, Father Late Raja Nalinakhya Roy, Village Rajbari Rangamati, Thana Kotwali, Chittagong.
952. Mr. Aung Shwe Prue Chowdhury, Father Thwi Aung Prue, Village Bandar বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী উপজাতি রাজাকারদের কথা আমাদের নতুন প্রজন্ম জানেই না। এ সুযোগে উপজাতি রাজাকাররা এবং তাদের বংশধররা স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারী নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে এবং প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পৌঁছে গেছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
উপজাতি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার না করে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি করা, তাদেরকে সরকারী সুযোগ-সুবিধা দেয়া কি দেশের জন্য অপমানের নয়?
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পার্বত্য চট বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মাদরাসা শিক্ষা শেষে ১৯৭১ সালে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ পাস করে। ছাত্র অবস্থাতেই ১৯৭১ সালে সে ছাত্রসংঘ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ও সিলেট আল-বাদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলো। ছাত্রসংঘ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকী বাহিনীর পক্ষ নেয়। দেশ স্বাধীনের পর সে আত্মগোপনে ছিলো। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে জামাতে যোগ দেয় ফরিদ উদ্দিন। পরে ১৯৭৭ সালে জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য হয়।
‘আল হিকমা’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন জানান, সিলেটে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে সংগঠিত করার দায়িত্বে ছিলো ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যায় সে। তবে আশির দশকে জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর মতো সেও পুনর্বাসিত হয়।
রাজনীতিতে পুনর্বাসন: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ি গ্রামের মালানা আবদুল হক চৌধুরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ১৯৫৯ সালে দাখিল, ১৯৬৩ সালে আলিম, ১৯৬৫ সালে ফাজিল, ১৯৬৭ সালে কামিল পাস করে সিলেট আলিয়া মাদরাসা থেকে। সিলেটের বালাগঞ্জের গহরপুর মস বাকি অংশ পড়ুন...












