নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসংখ্য-অগণিত হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ছিলেন। তন্মধ্যে অন্যতম একজন জলীলুল ক্বদর, বিশিষ্ট ছাহাবী ছিলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিরিবিলি একাকী থাকতে পছন্দ করতেন। তাই ‘সবজা’ নামক একটা জায়গায় তিনি অবস্থান করতেন। তিনি একদিন উনার ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন। উনার পরনে ছিল সদ্যধোয়া পরিষ্কার কাপড়; আর পানি দেয়ার কারণে সেই জমিটি ছিল কর্দমাক্ত।
এমন সময় একজন ল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পোশাক সম্পর্কিত হুকুম-আহকাম সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেছেন। তাই পোশাক-পরিচ্ছদের ভালো মন্দ মানুষের কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ, চরিত্র ও নৈতিকতা অর্থাৎ মানবিক জীবনের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করে এবং অন্তর ও মন-মানসিকতায় গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেননা, প্রত্যেকটা বিষয়ের একটা তাছির বা প্রতিক্রিয়া আছে।
যখন কেউ মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার আমল করে তখন তার প্রতি রহমত মুবারক নাযিল হয়। আর যখন কেউ কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ করে তার প্রতি লা বাকি অংশ পড়ুন...
সর্বাবস্থায় সম্মানিত সুন্নতী পোশাক পরিধান করা ফরয
سنة (সুন্নত) শব্দের অর্থ আদর্শ, তর্জ-তরীক্বা, নিয়ম-কানুন, আমল, কাজ, পদ্ধতি, আদত, বৈশিষ্ট, স্বভাব ইত্যাদি।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকেও সুন্নত মুবারক বলে।
পারিভাষিক অর্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুপম সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক উনাকে সুন্নত মুবারক বলে।
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার মাক্বাম সর্বোচ্চ। মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার মাধ্যমেই সর্বপ্রকার নেয়ামত মুবারক হাছিল করা সম্ভব। খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি নির্দেশ মুবারকে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র”।
কাজেই এখান থেকেই বুঝা যায় আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র উনার গুরুত্ব কতো বেমেছাল!
প্রবাদে একটি কথা রয়েছে,
كُلُّ اِنَاءٍ يَتَرَشَّهُ بِمَا فِيْهِ.
অর্থাৎ ‘পাত্রে আছে যাহা, ঢালিলে পড়িব বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে, ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি মুবারক প্রকাশ করা ফরয। যা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ ﴿٥٨﴾
অর্থ : আয় আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুয বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ২৬শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৪১ হিজরী ইয়াওমুল জুমু’আহ্ শরীফ; পবিত্র জুমু’আহ শরীফ উনার আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা একটা স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। জুমু’আহতে বলা হয়নি। রাতে (২৩শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ বা মঙ্গলবার রাত্রে) বলা হয়েছিলো। যে, আমি স বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
وَلَمَّا كَانَ الشَّهْرُ التَّاسِعُ دَخَلَ عَلَىَّ رَجُلٌ وَهُوَ يَقُوْلُ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَاخَاتِمَ رُسُلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَنَى الْقُرْبُ مِنْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ لَهٗ مَنْ اَنْتَ قَالَ اَنَا عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ قُلْتُ لَهٗ مَاتُرِيْدُ قَالَ اَبْشِرِىْ يَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ حَمَلْتِ بِالنَّبِىِّ الْمُكَرَّمِ وَالرَّسُوْلِ الْمُعَظَّمِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَالَ عَنْكِ الْبُؤْسُ وَالْعَنَا وَالسَّقْمُ وَالْاَلَمُ
অর্থ: এবং যখন নবম মাস আগমন করলো বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
وَلَمَّا كَانَ الشَّهْرُ السَّابِعُ دَخَلَ عَلَىَّ رَجُلٌ وَهُوَ يَقُوْلُ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَنِ اخْتَارَهُ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ لَهٗ مَنْ اَنْتَ قَالَ اَنَا اِسْمَاعِيْلُ الذَّبِيْحُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قُلْتُ لَهٗ مَا تُرِيْدُ قَالَ اَبْشِرِىْ يَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ حَمَلْتِ بِالنَّبِىِّ الرَّجِيْحِ الْمَلِيْحِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: আবার যখন সপ্তম মাস আগমন করলো তখন একজন আগন্তুক সালাম দিয়ে বললেন-
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَنِ اخْتَارَهُ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থঃ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
وَلَمَّا كَانَ الشَّهْرُ الْخَامِسُ دَخَلَ عَلَىَّ رَجُلٌ وَهُوَ يَقُوْلُ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا صَفْوَةَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ لَهٗ مَنْ اَنْتَ قَالَ اَنَا هُوْدٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قُلْتُ لَهٗ مَاتُرِيْدُ قَالَ اَبْشِرِىْ يَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ حَمَلْتِ بِصَاحِبِ الشَّفَاعَةِ الْعُظْمٰى فِىْ الْيَوْمِ الْمَوْعُوْدِ.
অর্থ: যখন পঞ্চম মাস আগমন করলো তখন একজন এসে বললেন-
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا صِفْوَةَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থঃ ইয়া মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয় হাবীব ও মাহবূব, নূরে ম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللّٰهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهٖ مَنْ يَشَاءُ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান উনাকে রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ: ১০৫)
এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী ও পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মনোনীত করেই সৃষ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
وَلَمَّا كَانَ الشَّهْرُ الثَّانِىْ دَخَلَ عَلَىَّ رَجُلٌ وَهُوَ يَقُوْلُ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ لَهٗ مَنْ اَنْتَ قَالَ اَنَا شِيْثُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قُلْتُ لَهٗ مَا تُرِيْدُ قَالَ اَبْشِرِىْ يَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ حَمَلْتِ بِصَاحِبِ التَّأْوِيْلِ وَالْحَدِيْثِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .
অর্থ: যখন দ্বিতীয় মাস আগমন করলো তখন আমার নিকট এক সম্মানিত ব্যক্তি আগমন করে বললেন-
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থঃ ইয়া মহান আল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা, খিদমত মুবারক করা, গোলামী মুবারক উনার আঞ্জাম মুবারক দেয়া কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন। সেই আমল মুবারক সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা নিজেরাও করেছেন এবং উম্মতদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক) প্রকাশ উনার পূর্বে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলা বাকি অংশ পড়ুন...












