তালবীনাহ এক প্রকার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাদ্য মুবারক। তালবীনাহ শব্দটি লাবানুন (لَبَنٌ) শব্দ থেকে এসেছে। অর্থাৎ তালবীনাহ একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। অসুখ-বিসুখে রোগীকে সহজপাচ্য, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় পথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসুখ-বিসুখ, দুঃখ-শোকে তালবীনাহ খাওয়ার পরামর্শ মুবারক দিতেন।
সাধারণত যবের আটার সাথে দুধ মিশিয়ে তালবীনাহ প্রস্তুত করা হয়। সাথে মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন: বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হযরত সাঈদ ইবনু যায়দ ইবনু আমর ইবনু নুফায়ল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি যে, কামআ (মাশরুম) মান্না জাতীয়। আর এর পানি (রস) চোখের জন্য ঔষধ বিশেষ। সুবহানাল্লাহ!
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে- বরকতময় সুন্নতী খাবার মাশরুমের নানা উপকারিতা ও রোগ নিরাময়কারী উপাদান রয়েছে। তাই সুন্নত মুবারক পালনের মহান উদ্দেশ্যে মাশরুম খান, সুস্থ থাকুন।
বরকতময় এ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় সুন্নতী বিষয়াদিসহ সকল প্রকার সুন্নতী সামগ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرُّ رَحِيْمٌ
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত মুবারক করে থাকো, তাহলে আমার সম্মানিত ইত্তিবা’, অনুসরণ-অনুকরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। সুবহানাল্লাহ! (সূরা আলে ‘ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে ম বাকি অংশ পড়ুন...
ছাগলের দুধ:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ يَقُولُ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، في دَارِنَا هَذِهِ فَاسْتَسْقَى فَحَلَبْنَا لَهُ شَاةً لَنَا ثُمَّ شُبْتُهُ مِنْ مَاءٍ بِئْرِنَا هَذِهِ فَأَعْطَيْتُهُ وَحَضْرَتْ أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنْ يَسَارِهِ وَحَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ تُجَاهَهُ وَأَعْرَابِي عَنْ يَمِيْنِهِ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ هَذَا حَضْرَتْ أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. فَأَعْطى الأَعْرَابِيَّ ثُمَّ قَالَ الأَيْمَنُوْنَ الْأَيْمَنُوْنَ أَلاَ فَيَمِّنُوا ، قَالَ حَضْرَتْ أَنَسُ رَضْيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ فَهِيَ سُنَّةٌ فَهِيَ س বাকি অংশ পড়ুন...
দুধ শব্দের আরবী: (حَلِيْبُ) হালীব। তবে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে দুধ বুঝাতে লাবান শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَخَالِدُ بْنُ الوَلِيدِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَلَى حَضْرَتْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ الثَّالِثَةِ عَشَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَجَاءَتْنَا بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عَلَى يَمِينِهِ وَخَالِدٌ عَلَى شِمَالِهِ فَقَالَ لِي الشَّرْبَةُ لَكَ فَإِنْ شِئْتَ آثَرْتَ بِهَا خَالِدًا فَقُلْتُ مَا كُن বাকি অংশ পড়ুন...
(২য় অংশ)
বাহুর গোশত (لَـحْمُ الذِّرَاعُ):
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ اُتِـيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَحْمٍ فَرُفِعَ اِلَيْهِ الذِّرَاعُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا.
অর্থ: হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য গোশত আনা হল এবং উনাকে বাহুর গোশত পরিবেশন করা হল। তিনি এটা পছন্দ করেছেন। তিনি তা নূরুল্লাহ মুবারক (দাঁত মুবারক) দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে চিবিয়ে খেলেন। (তিরমিযী শ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِيْهِمَا فَاكِهَةٌ وَنَحْلٌ وَرُمَّانٌ
অর্থ : “তথায় আছে ফল-মূল, খেজুর ও আনার। ” (পবিত্র সূরা রহমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৮)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ رُمَّانٍ مِنْ رُمَّانِكُمْ هٰذَا إِلَّا وَهُوَ مُلَقَّحٌ بِحَبَّةٍ مِّنْ رُمَّانِ الْجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করলেন, তিনি মূলত আমাকেই জিন্দা করলেন। আর যে ব্যক্তি আমাকে জিন্দা করলেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করার জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পিলু, যয়তুন ও খেজুর গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করেছেন। সুবহ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত কিতাব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اللهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ
অর্থ: মহান অল্লাহ পাক তিনি মু’মিনদের ওলী বা অভিভাবক। উনাদেরকে তিনি অন্ধকার বা গোমরাহী থেকে সম্মানিত নূর অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে নিয়ে যান। আর যারা কাফির, তাদের ওলী বা বন্ধু হচ্ছে শয়তান। শয়তান তাদেরকে সম্মানিত নূর অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...












