মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “যে মু’মিন অবস্থায় নেক কাজ করবে, পুরুষ হোক বা মহিলা, আমি অবশ্যই তাকে উত্তম জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কাজ অনুযায়ী উত্তম পুরস্কার প্রদান করব।” (পবিত্র সূরা নাহল শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৭)
পুরুষ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা যেভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য জান-মাল সবকিছু বিলীন করে দিয়েছেন, অনুরূপভাবে হযর বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতিদিন খবর আসে, রাজনীতির দ্বন্দ্ব, আধিপত্যের লড়াই, জমিজমার ঝগড়া, হারাম প্রেম তথা অবৈধ সম্পর্কের অপতৎপরতা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় একে অপরকে কোপাকোপি করে আহত-নিহত করে যাচ্ছে।
এছাড়া মৌলবাদী ওহাবী সন্ত্রাসবাদীরা তো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিকৃত ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ফিতনা বা বিশৃঙ্খলা করেই যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
এরপর এসব অপকর্ম বা মারামারি নিয়ে প্রতিবাদ সভা, মিছিল, সমাবেশ, বক্তৃতা, বিবৃতি সমানে চলতেই থাকে। সবাই ছি ছি ধিক্কার দিতে থাকে। একে অপরকে দোষারোপ করে মামলা মোকাদ্দামা করতে থাকে। এমতাবস্থায় যারা দ্বীন ইসলাম উনার রাহ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَتـِمُّوْا الْحَجَّ وَ الْعُمْرَةَ لِلّهِ
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য হজ্জ ও উমরা আদায় কর।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ১৯৬)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَ لِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَيْهِ سَبِيْلاً
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্যেই মানুষের প্রতি হজ্জ ফরয করা হয়েছে, যার পাথেয় ও পথের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৯৭)
অর্থাৎ যার পাথেয় ও পথের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে তার জন্যই একমাত্র মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
কোন ধরণের মেয়ে বিবাহ করা সুন্নত
যে সকল মেয়ে অনুগতা, মুহব্বতকারিণী, অধিক সন্তানদানে সক্ষম তাদেরকে বিবাহ করা সুন্নত। তাদের দ্বারা বৈবাহিক জীবন বরকতপূর্ণ ও সুখের হয়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تَـزَوَّجُوا الْوَدُوْدَ الْوَلُوْدَ فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الْأُمَمْ
অর্থ: “তোমরা মুহব্বতকারিণী ও অধিক সন্তানদানে সক্ষম নারীকে বিবাহ করো। কারণ এতে আমার উম্মতের সংখ্যাধিক্য প্রাধান্য পাবে। (আবূ দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ)
যে সকল মেয়ে অ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت السائب بن يزيد رضى الله تعالى عنه قال كُنْتُ قَائِمًا في المَسْجِدِ فَحَصَبَنِي رَجُلٌ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ الفاروق عليه السلام، فَقَالَ: اذْهَبْ فَأْتِنِي بهَذَيْنِ، فَجِئْتُهُ بهِمَا، قَالَ: مَن أنْتُما - أوْ مِن أيْنَ أنْتُمَا؟ - قَالَا: مِن أهْلِ الطَّائِفِ، قَالَ: لو كُنْتُما مِن أهْلِ البَلَدِ لَأَوْجَعْتُكُمَا، تَرْفَعَانِ أصْوَاتَكُما في مَسْجِدِ رَسولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ.
অর্থ: হযরত সায়িব ইবনে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা আমি মসজিদে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি আমার প্রতি একটি কঙ্কর নিক্ষেপ করলে আমি তাকিয়ে দেখি, তিন বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অনুসরণ করো। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত ৪১)
প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা কীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনাকে অনুসরণ করবো! মহান আল্লাহ পাক তিনি নিরাকার। তিনি আহার করেন না, নিদ্রা যান না। তিনি ইবাদত থেকেও পবিত্র। এক কথায় সমস্ত কিছু থেকে বেনিয়াজ।
তবে একটি বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করা সম্ভব। সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
খেজুর একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। যা মরুভূমি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। বিশেষভাবে পবিত্র মদীনা শরীফ খেজুরের জন্য বিখ্যাত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ঘরে খেজুর নেই, সেই ঘরের অধিবাসীগণ ক্ষুধার্ত অর্থাৎ সেই ঘরে যেন কোন খাবারই নেই। ” (আবূ দাউদ শরীফ: হাদীছ শরীফ নং ৩৮৩১)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকাশ থাকে যে, পর্দার গুরুত্বের জন্যেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহিলাদের ঘরে নামায পড়া সর্বোত্তম ও অধিক ফযীলতপূর্ণ বলে উৎসাহ প্রদান করেন। আর তাই দেখা যায়, পর্দা ফরয হওয়ার পূর্বে মহিলাগণ যেভাবে মসজিদে যেতেন কিন্তু পর্দা ফরয হওয়ার পর ক্রমেই তা কমতে থাকে। আর আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে পর্দার গুরুত্বের কারণেই তা পরিপূর্ণ বন্ধ বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মহিলাদের ঘরে নামায পড়ার উৎসাহ ও ফযীলত সর্ম্পকে পবি বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ মনে করে থাকে, অল্পতে কি হবে? সে চিন্তা করেছে সত্যি কিন্তু অল্পটাই আস্তে আস্তে বিরাট আকার ধারণ করে থাকে।
তদ্রুপ শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা তো একবারে ক্রিয়া করবেনা। সে বেপর্দা হয়ে মনে করে যে, অন্তর তো আমার ঠিক রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। কস্মিনকালেও এটা শুদ্ধ নয়। প্রাথমিক অবস্থায় সে নিজেকে কন্ট্রোল করবে। এরপর সে আর পারবেনা। পর্যায়ক্রমে ওয়াস্ওয়াসায় পড়ে যাবে।
কাজেই খুব সাবধান থাকতে হবে, চোখের দৃষ্টি থেকে। সেটাই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলে দিয়েছেন, যা পুরুষ এবং মহিলাদেরকে বলে দিয়েছেন-
قل للمؤمن বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تعلموا الفرائض وعلموها الناس فانه نصف العلم وهو ينسى وهو اول شىء ينزع من امتى .
অর্থ: তোমরা ফারায়িদ্ব শিক্ষা গ্রহণ করো এবং মানুষকে তা শিক্ষা দাও। কেননা, ইহা অর্ধেক ইলম। এটাকে মানুষ স্মরণ রাখে না, ভুলে যায়। আর এটা হচ্ছে প্রথম বিষয় যা আমার উম্মত থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে। (ইবনে মাজাহ শরীফ)
কাজেই প্রত্যেক পুরুষ-মহিলাদের জন্য ইলমে ফারায়িদ্ব শিক্ষা করা ফরয। এটা এমনি গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ইলিম ব্যতীত হক মত ও পথে ইস্তিকামত থাকা অত্যন্ত কঠিন।
علم الفرائض বাকি অংশ পড়ুন...
বইটির নাম- দ্য ল রিলেটিং টু পর্দানশীন ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া (সিভিল এন্ড ক্রিমিনাল)
লেখক- জে এন মুখার্জী (অ্যাডভোকেট, কলকাতা হাইকোর্ট) এবং এন এন মুখার্জী।
বইটি ১৯০৬ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
বইটি বলে দেয়, ব্রিটিশরা বিধর্মী হওয়ার পরেও এ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের পর্দা করার অধিকার কেড়ে নেয়নি। অর্থাৎ ব্রিটিশ উপনিবেশকালেও এ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের পর্দা করার অধিকার সংরক্ষিত ছিলো। সিভিল বা ক্রিমিনাল প্রতিটি আইনেই মুসলিম পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করে আলাদা সুযোগ সুবিধা দেয়া ছিলো।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, আজ বাংলাদেশ বাকি অংশ পড়ুন...












