কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়াতে একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ ও মশহুর মহান আল্লাহ্ পাক উনার ওলী ছিলেন। উনাকে এলাকার সমস্ত লোকেরা চিনত। উনি উনার মাদ্রাসায় র্দস দিতেন। খান্কা শরীফে তা’লীম দিতেন যিকির-আযকারের জন্য। উনার একাধিক সন্তান-সন্ততি ছিল। প্রত্যেকেই আল্লাহ্ওয়ালা দ্বীনদার, পরহিজগার ছিলেন, সকলেই সেটা জানত। কিন্তু উনার বড় ছেলেটা ছিল বেশরা। অর্থাৎ শরীয়তের খেলাফ সে চলতো। উনি খান্কা শরীফে তা’লীম দিতেন, র্দস দিতেন। দেখা যেত সেই ছেলেটা আজে-বাজে জিনিস পান করে এসে নেশাগ্রস্থ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করত, যার কারণে তিনি লজ্জিত হতেন। উনার বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা প্রত্যেকেই কাউকে না কাউকে অনুসরণ করে থাকি। তবে বাজার দরে সবাইকে অনুসরণ করা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম, সম্মানিত শরীয়ত উনার সম্পূর্ণ খিলাফ ও গুনাহের কাজ। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত কালাম পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেন- যিনি আমার এবং আমার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু হয়েছেন উনার অনুসরণ করো।
বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যার বা যাদের ক্বলব আমার সম্মানিত যিকির মুবারক থেকে গাফি বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “যদি কোনো ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী করে এবং উনার যাবতীয় বিষয় বিশ্বাস করে, তারপরেও সে এক যাররা পরিমাণ ফায়দা লাভ করতে পারবে না এবং নিঃসন্দেহে সে কাফির; যদি সে সাক্ষ্য না দেয়-
اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে বাগউয়ী ৮/৪৬৩)
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনিসহ অনেক বিশিষ্ট হযরত ছাহাবায়ে কিরাম বাকি অংশ পড়ুন...
মেয়েদের হাতে পায়ে মেহেদী দেয়া সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, এক মহিলা একদা চিঠি নিয়ে পর্দার আড়াল থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে ইশারা করলেন। তখন তিনি হাত মুবারক গুটিয়ে নিলেন এবং বললেন যে, এই হাত মহিলার, নাকি কোনো পুরুষের? তখন মহিলাটি বললেন যে, মহিলার। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ১৮ যিলক্বদ শরীফের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ সংরক্ষণ, চর্চা ও তা’লীম দানে মহিলাগণের অবদান:
গবেষণায় দেখা যায় যে, হিজরী দশম শতাব্দী হতে পবিত্র হাদীছ শরীফ শাস্ত্রে ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অন্যান্য বিষয়ে ইলিম মুবারক অর্জনে নারীদের অংশগ্রহণ ও ভূমিকা কিছুটা কমে গেছে। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে মাত্র কিছু সংখ্যক প্রখ্যাত পবিত্র হাদীছ শরীফ বিশারদ নারীর নাম পাওয়া যায়। যাঁরা মূলত নবম শতাব্দীর শেষের দিকে আবির্ভূত হন। হযরত আসমা বিনতে কামাল আল্-দ্বীন রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উপর দর্স দিতেন। ঐ সময়ের সুলতানে বাকি অংশ পড়ুন...
বিবাহের উদ্দেশ্যে ছেলে বা মেয়েকে দেখার সুন্নতী তারতীব
বিবাহের ক্ষেত্রে সমাজে কিছু বদ রসম ও ভুল পন্থা-পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। যা সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ। আবার অনেক ক্ষেত্রে বেপর্দা, বেহায়াপনা ও ফিতনা-ফাসাদের সৃষ্টি হয়। মেয়ে দেখতে যায় ছেলের বাবা, ছেলের ভাই, ছেলের নানা-দাদা, চাচা ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গ। নাউযুবিল্লাহ! যা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হারাম।
প্রকৃতপক্ষে সম্মানিত সুন্নত মুবারক এবং শরঈ বিধান হচ্ছে, বিবাহের পূর্বে শুধুমাত্র ছেলেই দেখবে। আর মেয়ে দেখবে সেই ছেলেকে। তবে অন্য কোন মেয়ে কিংবা মহিলা প্রস্তাবিত মেয়েকে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিভিন্ন জায়াগায় অধিকাংশ লোকের অনুসরণ করা থেকে বান্দাদের সতর্ক করেছেন। এখানে কয়েকটি পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করা হলো-
(১) “যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর তবে তারা তোমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার পথ হতে (হেদায়েতের পথ থেকে) বিচ্যুত করবে; আর তারা শুধু অমূলক ধারণার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ কাল্পনিক কথা বলে।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৬)
(২) “(হে আমার হাবীব ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার প্রমাণ পাওয়া সত্বেও) অধিকাংশ লোক ঈমাণ গ্রহণ করছেনা; যদিও আপনি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت ام حميد رضى الله تعالى عنها قالت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انا نحب الصلاة معك فيمنعنا ازواجنا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاتكن فى بيوتكن خير من صلاتكن فى دوركن وصلاتكن فى دوركن افضل من صلاتكن فى مسجد الجماعة. (سنن الكبرى للبيهقى، الجوهرالنقى)
অর্থ: হযরত উম্মু হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা মহিলারা আপনার সাথে নামায পড়তে ইচ্ছুক কিন্তু আমাদের আহাল বা স্বামীরা আমাদেরকে নিষেধ করেন। অতঃপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
عن حضرت ابن عمر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اياكم والتعرى فان معكم من لا يفارقكم الا عند الغائط وحين يفضى الرجل الى اهله، فاستحيوهم واكرموهم
হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, আখিরী রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা বস্ত্রহীনতা থেকে সতর্ক থাক।’ অর্থাৎ শরীর থেকে কাপড় স বাকি অংশ পড়ুন...
একবার দিল্লীর বাদশাহের শরীরে চুলকানি রোগ হয়। এক ডাক্তার বললো, চুলকানি রোগ সারাতে বাদশাহকে রেশমি কাপড়ের পোশাক পরতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, পুরুষের জন্য তো রেশমি কাপড় পরা হারাম। দিল্লীর বাদশাহ তখন মাওলানা সাহেবদের কাছে ফতওয়া চাইলেন। তো দিল্লীর বাদশাহের সুস্থতার জন্য ফতওয়া লাগবে আর তা পাওয়া যাবে না, তা তো হবার নয়। প্রায় ৩০০ মাওলানা ফতওয়া দিয়ে দিলো, “প্রয়োজনে বাদশাহের জন্য রেশমি কাপড় জায়েয”। বাদশাহ ফতওয়ার তালিকা দেখলেন, ৩০০ জনের নাম আছে, শুধু নেই হযরত মোল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম। বাদশাহ বললেন, ৩০০ জনের ফতওয়ায় হবে ন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ছাহাবী সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে উমারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার দ্বিতীয় সন্তান সাইয়্যিদুনা হযরত হাবীব ইবনে যায়েদ ইবনে আসেম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি শরিক হয়েছিলেন বাইয়াতে আকাবা শরীফ উনার মধ্যে। মুসলমানদের হয়ে যুদ্ধ করেছেন উহুদ ও খন্দকের জিহাদে।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারকের শেষের দিকের ঘটনা! মিথ্যাবাদী, কাফির, মুসায়লামাতুল কাযযাব; সে নবী দাবি করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনা বাকি অংশ পড়ুন...












