(গত ১১ যিলক্বদ শরীফের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ সংরক্ষণ, চর্চা ও তা’লীম দানে মহিলাগণের অবদান:
পৃথিবীর চার মহাদেশের ৪০টির বেশী দেশ ভ্রমনকারী মরক্কোর বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতা সিরিয়ার রাজধানী দামেশকে থাকার সময় হযরত যয়নাব বিনতে আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহা ও অন্যান্য মুয়াল্লিমাদের নিকট পবিত্র হাদীস শরীফ উনার ইলম মুবারক লাভ করেন। দামেশকের বিখ্যাত ঐতিহাসিক ইবনে আসাকির বলেন, তিনি ১২০ জন পুরুষ ও ৮০ জন নারী উনাদের নিকট ইলম মুবারক শিক্ষা করেন। ইমাম সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘রিসালা বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মানুষের শরীরে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত সৌন্দর্যের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন। এটি মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকে বিকৃত করার শামিল, যাকে ইসলামী শরীয়ত শয়তানী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত শারীরিক সৌন্দর্যের মধ্যে অবৈধ ও নিষিদ্ধ কিছু হস্তক্ষেপ হলো— সার্জারি করার মাধ্যমে বয়সের ভারে সৃষ্টি হওয়া চেহারার বলিরেখা দূর করা, শরীরের চামড়ার রঙ বদলে ফেলা এবং মাথায় পরচুলা লাগানো ইত্যাদি শরীয়তে জায়িয নেই।
এ ব্যাপারে মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ :نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِـيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَـيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ .اَمَّا بَعْدُ:
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِـيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল বাকি অংশ পড়ুন...
“অবশ্যই এই ঘটনা সমূহের মধ্যে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য নছীহত।” (পবিত্র সূরা ইউসুফ শরীফঃ পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১১১)
“পূর্ববর্তীদের ঘটনাসমূহ পরবর্তীদের জন্য নছীহত স্বরূপ”
ঘটনা-৩৯: দ্বীন ইসলাম পালনে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার দৃঢ়তা
আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত কালে জেরুজালেম তথা বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করেন মুসলিম সেনাপতি বিশিষ্ট ছাহাবী, হযরত আবূ উবায়দাহ ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। সেখানকার ইহুদি সম্প্রদায়দের আসমানী কিত বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল-৪৩: যে ব্যক্তি তার প্রথম আহলিয়ার ভরণপোষণ ঠিকমতো আদায় করতে পারে না তার জন্য দ্বিতীয় বিবাহ করা জায়েয আছে কি? জানতে বাসনা রাখি।
জাওয়াব মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি একাধিক বিবাহ করা প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً
অর্থ: অত:পর তোমাদের পছন্দ হয় এমন দুই, তিন, চার পর্যন্ত নারীদেরকে বিবাহ করতে পার। তবে যদি ইনসাফ করতে না পারার ভয় কর তাহলে একজনকে বিবাহ করো।
পবিত্র দ্বীন ইসলামে যদিও সর্বোচ্চ চারটি বিবাহের অনুমতি দে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইত্তেবা বা অনুসরণ করবে, সে বিরাট কামিয়াবী লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, ৭১নং পবিত্র আয়াত শরীফ)
এ পবিত্র আয়াত শরীফে মুসলমানদের সর্বক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় সম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুযায়ী আমল করতে হবে, তাহলে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিল হবে, এ বিষয়টিই বুঝানো হয়েছে। বর্তমানে মুসলমানরা কাফির-মুশরিকদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কাফির-ম বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মুল কুরআন পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মধ্যে নির্দেশ করা হয়েছে যে, নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা উনাদের পথে চলার জন্য। এ সম্পর্কে পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৬৯ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উক্ত নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা উনাদের সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উনারা হচ্ছেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও ছলিহ। সুবহানাল্লাহ। অর্থাৎ নবী হচ্ছেন এক স্তর এবং আরেক স্তর হচ্ছেন ছিদ্দীক, শহীদ ও ছলিহ। আমরা জানি, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যামানা শেষ হয়ে গেছে বা অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখন ওলীআল্লাহ উনাদের যামানা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান যামানায় আমরা তো ন বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত শরীয়ত উনার খাছ ফতওয়া মতে, মহিলাদের জামায়াতে নামায পড়ার জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া কুফরী
প্রকাশ থাকে যে, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার খিলাফত মুবারক কালে মহিলাদেরকে জামায়াতে নামায পড়তে মসজিদে যেতে নিষেধ করেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি তা পূর্ণ সমর্থন ও সত্যায়িত করেন। এর দ্বারা এটা প্রতিভাত যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিষেধকৃত বিষয়কে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনী বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহিলাদের গলার আওয়াজ যেটা রয়েছে সেটাও পর্দার অর্ন্তভুক্ত।” সেখানেও পর্দা করতে হবে। যেখানে সেখানে, যার তার সাথে কথা বলা যাবে না। নেহায়েত জরুরত যদি থাকে তাহলে সে কথা বলতে পারবে। এছাড়া কারো পক্ষে কথা বলা যাবে না। অর্থাৎ যদি যার তার সাথে, যেখানে সেখানে কথা বলে সেটাও তার পর্দার খিলাফ হয়ে যাবে। সেখানেও তাকে সর্তক থাকতে হবে। এতখানি মহান আল্লাহ্ পাক তিনি শক্ত নির্দেশ করেছেন। মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, “কথা বলার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন কথার কারণে কারো অন্তরে ওয়াসওয়াসা বাকি অংশ পড়ুন...
মানব বাগানে শিশুরা ফুল। শিশুরা স্বপ্ন। মায়েরা বাগানের মালিক। মায়ের আদরে গড়ে ওঠে শিশু। মায়ের হাতে তাদের স্বপ্নের আগামী।
বাবার স্নেহ ও শাসন সন্তান পরিচর্যায় সহায়ক। তবে মায়ের মুহব্বত আদর স্নেহে নির্মিত হয় সন্তানের ভবিষ্যত। শিশুর স্বপ্নিল আগামী গড়তে লালন পালনে সচেতন হতে হয় অভিভাবকদের। এ আলোচনায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে শিশু সন্তানের যত্নের বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ!
প্রথমেই দেহ গঠন:
দেহের পরিচর্যার ক্ষেত্রে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান হতে হবে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে। মায়েদের সন্তানের স্ব বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ০৪ যিলক্বদ শরীফের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ সংরক্ষণ, চর্চা ও তা’লীম দানে মহিলাগণের অবদান:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ সংগ্রহে পুরুষের সঙ্গে অনেক মহিলাগণও অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকল গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র হাদীছ শরীফ সংগ্রাহকগণ অনেক মহিলা থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ সংগ্রহ করেছেন। প্রতিটি প্রধান সংগ্রহে অনেক মহিলা ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এবং হযরত মহিলা আউলিয়ায়ে ক্বিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাদের নাম রয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
তালক্বীন সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ করা হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত সা’দ বিন মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দাফন মুবারক শেষ করার পর সুবহানাল্লাহ্ ও আল্লাহু আকবার বলে তাসবীহ মুবারক পাঠ করেছেন। কারণ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবর এ সকল প্রত্যেকটি শব্দ মুবারক আলাদাভাবে একেকটি তাসবীহ্। এ তাসবীহ মুবারক উচ্চারণ করা সম্পর্কে তরীক্বার ইমাম ও ছূফিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ বলেছেন, মূলতঃ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছ বাকি অংশ পড়ুন...












