পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّه نَـهَي النِّسَاءَ عَنِ الْـخُرُوْجِ اِلَـى الْـمَسَاجِدِ فَشَكَوْنَ اِلٰى اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ الصِّدِّيْقَةُ عَائِشَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَوْ عَلِمَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عَلِمَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا اَذِنَ لَكُمْ فِي الْـخُرُوْجِ.
অর্থ : হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে বাইরে বের হয়ে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন। অতঃপর মহিলা উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার খিদম বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয হওয়ার দলীল (১) :
فَخَمَّرْتُ وَجْهِي بِجِلْبَابِي
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা মহিলাদের চেহারাসহ সমস্ত শরীর পর্দায় আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া সুস্পষ্টভাবে ফরয প্রমাণিত।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
ইফকের ওয়াক্বিয়া’ মুবারক বর্ণনা করতে গিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ-ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন-
فَرَأَى سَوَادَ إِنْسَانٍ نَائِمٍ فَأَتَانِي فَعَرَفَنِي حِينَ رَآنِي وَكَانَ رَآنِي قَبْلَ الحِجَابِ فَاسْتَيْقَظْتُ بِاسْتِرْجَاعِهِ حِينَ عَرَفَنِي فَخَ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَكَانَ يُعَلِّمُ وَقَائِعَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ.
অর্থ : হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই। যা সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। রোগ-বালাই যা কিছুই হয়ে থাকে তা একমাত্র খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকেই এসে থাকে। সুতরাং রোগকে ছোঁয়াচে বলে বিশ্বাস করার মানে হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে রোগের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করা। যা কাট্টা কুফরী এবং শিরকীর অন্তর্ভূক্ত।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حضرت زَيدِ بْنِ خَالِدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ صَلَّى بِن বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ عَسَرَتْ عَلَيْهِ حَاجَةٌ فَلْيُكْثِرْ بِالصَّلَاةِ عَلَيَّ فَإِنَّهَا تَكْشِفُ الْـهُمُوْمَ وَالْغُمُوْمَ وَتَكْثُرُ الْأَرْزَاقَ وَتَقْضِى الْـحَوَائِجَ
অর্থ: কারো জন্য কোন বিষয় যখন কঠিন হয়ে যায়, তখন সে যেন আমার প্রতি বেশি বেশি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করে। কেননা, পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বিদূরিত হয়, রিযিক বৃদ্ধি পায় এবং প্রয়োজনসমূহ পূরণ হয়। সুবহানাল্লাহ! (আল ক্বওলুল বাদী’) বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَي عَنْهُ، عَنْ رَّسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ أَبَدًا: اَلدَّيُّوثُ مِنَ الرِّجَالِ، وَالرَّجُلَةُ مِنَ النِّسَاءِ، وَمُدْمِنُ الْخَمْرِ.
অর্থ: হযরত আম্মার বিন ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তি কখনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না-
(১) দাইয়ূছ (যে পুরুষ নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করায় না। )
(২) ঐ সকল মহিলা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَي عَنْهُ، عَنْ رَّسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ أَبَدًا: اَلدَّيُّوثُ مِنَ الرِّجَالِ، وَالرَّجُلَةُ مِنَ النِّسَاءِ، وَمُدْمِنُ الْخَمْرِ.
অর্থ: হযরত আম্মার বিন ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তি কখনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না-
(১) দাইয়ূছ (যে পুরুষ নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করায় না। )
(২) ঐ সকল মহিলা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হাত ধরে বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইয়াওমুস সাবত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আহাদ পর্বত সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল ইছনাইন গাছ সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়গুলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আরবিয়া আলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল খ্বমীস সব ধরনের প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল জুমু‘আ আছরের পর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বাকি অংশ পড়ুন...
গায়রে মুকাল্লিদ আলেমদের ফতওয়া:
মহিলাদের নামাযের পদ্ধতিতে ইতোপূর্বে যা কিছু উল্লেখ করা হলো তথা পবিত্র হাদীছ শরীফ, আছারে ছাহাবা, তাবেয়ীনদের ইজমা এবং চার ইমামের ঐক্যমতের আলোকে যুগ যুগ ধরে অবিচ্ছিন্ন সূত্র পরম্পরায় যেই পার্থক্যের আমল চলে আসছে, সেটাকে গায়রে মুকাল্লিদদের নেতৃস্থানীয় আলেমরাও স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সেই আলোকে ফতওয়া দিয়েছে।
# মাওলানা মুহম্মদ দাউদ গযনবী উনার পিতা আল্লামা আব্দুল জাব্বার গযনবীকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, “মহিলাদের নামাযে জড়সড় হয়ে থাকা কি উচিত?” জবাবে তিনি একটি হাদীছ শরীফ উল্লেখ করার পর লেখেন, “এর উপরই আহলুস বাকি অংশ পড়ুন...












