খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا.
অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন তদ্রƒপ যদি তোমরা সম্মানিত ঈমান মুবারক গ্রহণ করতে পারো তাহলে তোমরা হিদায়েত মুবারক লাভ করতে পারবে। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৭)
এ লিখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহ বাকি অংশ পড়ুন...
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [التوبة: ২৪].
অর্থ : (আয় মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, তোমাদের নিকট যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশি প্রিয় হয় তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের আহলি বাকি অংশ পড়ুন...
চার মাযহাবের ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের
ফিক্বাহ্ শাস্ত্রের আলোকে মহিলাদের নামাযের পার্থক্য:
১) ফিক্বহে হানাফী:
قَالَ حَضْرَتْ مُحَمَّدٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ: أَحَبُّ إِلَيْنَا أَنْ تَجْمَعَ رِجْلَيْهَا فِي جَانِبٍ، وَلَا تَنْتَصِبَ انْتِصَابَ الرَّجُلِ
অর্থ: ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্যতম ছাত্র হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমাদের নিকট পছন্দনীয় হলো, মহিলারা নামাযে বসার সময় উভয় পা একপাশে মিলিয়ে রাখবেন। পুরুষের মত এক পা দাঁড় করিয়ে রাখবেন না। {কিতাবুল আসার, ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি-১/৬০৯}
رَوَى اِمَامُن বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّه نَـهَي النِّسَاءَ عَنِ الْـخُرُوْجِ اِلَـى الْـمَسَاجِدِ فَشَكَوْنَ اِلٰى اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ الصِّدِّيْقَةُ عَائِشَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَوْ عَلِمَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عَلِمَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا اَذِنَ لَكُمْ فِي الْـخُرُوْجِ.
অর্থ : হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে বাইরে বের হয়ে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন। অতঃপর মহিলা উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার খিদ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র আয়াত শরীফে উল্লেখিত إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا উনার দ্বারা মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা খোলা রেখে বের হওয়ার কথা মোটেও বুঝানো হয় নাই তার প্রমাণ (৩য় অংশ):
সিলসিলাতুত তাফসীর লি-মুছত্বফা আদওয়া-১১তম খ-, ৩৫পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
وَلا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا- لأهل العلم في ذلك أقوال: أقوى هذه الأقوال من ناحية السند وصحته قول حَضْرَتْ عبد الله بن مسعود رضي الله تعالى عنه أنه قال: (إن هذه الزينة هي الرداء والثياب) فمن شأن العرب أن نساءهم كن يلبسن العباءة السوداء وتحتها ثوب ملون، فأحياناً يظهر ذيل الثوب الملون من أسفل العباءة، ويشق على المرأة ستره، فهذا الذي فسر به حَضْرَتْ ابن مسعود رضي الله تعالى عنه الآية-
অর্থ: পবিত্র সূরা নূর শরীফে মহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَكَانَ يُعَلِّمُ وَقَائِعَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ.
অর্থ : হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত জোড় ও বিজোড় উনাদের গুরুত্ব:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ফজর শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ ﴿٣﴾
অর্থ : কসম জোড় ও বিজোড়ের”।
এই আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْوَتْرُ يَوْمُ عَرَفَةَ وَالشَّفْعُ يَوْمُ النَّحْرِ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বিজোড় হচ্ছে আরাফার দিন আর জোড় হচ্ছে ইয়াওমুন নহর বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ عَسَرَتْ عَلَيْهِ حَاجَةٌ فَلْيُكْثِرْ بِالصَّلَاةِ عَلَيَّ فَإِنَّهَا تَكْشِفُ الْـهُمُوْمَ وَالْغُمُوْمَ وَتَكْثُرُ الْأَرْزَاقَ وَتَقْضِى الْـحَوَائِجَ
অর্থ: কারো জন্য কোন বিষয় যখন কঠিন হয়ে যায়, তখন সে যেন আমার প্রতি বেশি বেশি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করে। কেননা, পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বিদূরিত হয়, রিযিক বৃদ্ধি পায় এবং প্রয়োজনসমূহ পূরণ হয়। সুবহানাল্লাহ! (আল ক্বওলুল বাদী’)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার ৩৬নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِيْ كِتَابِ اللّٰهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ
অর্থ : নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আসমান এবং যমিন সৃষ্টির শুরু থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবে গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা বারোটি। তন্মধ্যে চারটি হচ্ছে হারাম অর্থাৎ সম্মানিত মাস।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَعَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ بَكْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبيِّ قَالَ إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِه বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَي عَنْهُ ، عَنْ رَّسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ أَبَدًا: اَلدَّيُّوثُ مِنَ الرِّجَالِ، وَالرَّجُلَةُ مِنَ النِّسَاءِ، وَمُدْمِنُ الْخَمْرِ.
অর্থ: হযরত আম্মার বিন ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তি কখনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না-
(১) দাইয়ূছ (যে পুরুষ নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করায় না। )
(২) ঐ সকল মহিলা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রসিদ্ধ কয়েকজন তাবেয়ীনে কিরাম উনাদের ফতওয়া:
سَمِعْتُ عَطَاءً رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ سُئِلَ عَنِ الْمَرْأَةِ كَيْفَ تَرْفَعُ يَدَيْهَا فِي الصَّلاَةِ ؟ قَالَ: حَذْوَ ثَدْيَيْهَا.
অর্থ: হযরত আতা বিন আবী রাবাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে একদিন জিজ্ঞেস করা হলো, “নামাযে মহিলারা কতটুকু হাত উঠাবে?” তিনি বললেন- “বুক বরাবর”। (মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/২৭০, হাদীছ শরীফ নং-২৪৮৬)
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ جُرَيْجٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ، قَالَ: قُلْتُ لِعَطَاءٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ: تُشِيرُ الْمَرْأَةُ بِيَدَيْهَا بِالتَّكْبِيرِ كَالرَّجُلِ ؟ قَالَ: لاَ تَرْفَعُ بِذَلِكَ يَدَيْهَا كَالرَّجُلِ، وَأَشَارَ فَخَفَضَ يَدَيْهِ جِدًّا، وَجَمَعَهُمَا إلَيْهِ جِدًّا বাকি অংশ পড়ুন...












