হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম একদিন তূর পাহাড়ে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার সাথে কথোপকথন করতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক গরীব মহিলার সাথে উনার সাক্ষাত হলো। মহিলা উনার নিকট আরজু করলো, ‘হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আমি খুব গরীব। অতি কষ্টে আমার দিন চলে। আপনি যখন মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলবেন তখন আমার ব্যাপারে একটু জিজ্ঞেস করবেন যে, কি করলে আমি স্বচ্ছলতা পাবো। ’
তিনি রাজী হয়ে আবার পথ চলতে লাগলেন। এরপর উনার সাথে এক ধনী মহিলার সাক্ষাত হলো। মহিলা উনার নিকট আরয করলো, ‘হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আমি খুব ধ বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْتُمْ بِهٰ فَقَدْ اهْتَدَوْا.
অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন তদ্রƒপ যদি তোমরা সম্মানিত ঈমান মুবারক গ্রহণ করতে পারো তাহলে তোমরা হিদায়েত মুবারক লাভ করতে পারবে। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ : আয়াত শরীফ ১৩৭)
এ লিখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ব বাকি অংশ পড়ুন...
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [التوبة: ২৪].
অর্থ : (হে মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, তোমাদের নিকট যদি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশি প্রিয় হয় তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের আহলিয়াগণ, বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতময় সৃষ্টি মানব জাতি। তাদের এক অংশ নর অপর অংশ নারী। একজন অন্যজনের পরিপূরক। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
অর্থ: আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি। (পবিত্র সূরা নাবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
তবে তাদের মধ্যে সৃষ্টিগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। জীবন যাপনের মধ্যেও কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। একইভাবে ইবাদত বন্দেগীতেও তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। অথচ ছহীহ সমঝের অভাবে কিছু গোমরাহ লোক তা উপলব্ধি করতে পারেনা। ফলে তারা তাদের গোমরাহী মূলক ফতওয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে সমাজে ফিতনা- ফাসাদ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال لَوْ كَانَ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ لاَبْتَغَى ثَالِثًا، وَلاَ يَمْلأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন।
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি আদম সন্তানকে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ দুটি উপত্যকাও দেয়া হয় (তবুও সে পরিতৃপ্ত থাকবে না। ) তারপরও সে তৃতীয়টির জন্য আশা-আকাঙ্খা করবে। মূলত মানুষের প বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র আয়াত শরীফে উল্লেখিত إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا উনার দ্বারা মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা খোলা রেখে বের হওয়ার কথা মোটেও বুঝানো হয় নাই তার প্রমাণ:
একই পবিত্র আয়াত শরীফে পর পর উল্লেখিত
وَلا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
এবং
...... وَلا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلا لِبُعُولَتِهِنَّ
উনাদের মধ্যে প্রথম যিনাত এবং দ্বিতীয় যিনাত মোটেও একই বিষয় নয়। কেননা, দু’টি যিনাত একই হলে মহান আল্লাহ পাক তিনি একই পবিত্র আয়াত শরীফে পর পর দুইবার وَلا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ উল্লেখ করতেন না। বরং প্রথম যিনাত দ্বারা এমন যিনাতকে বুঝানো হয়েছে যা গোপন করা মোটেও সম্ভব নয়। আর দ্বিতীয় বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَكَانَ يُعَلِّمُ وَقَائِعَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ.
অর্থ : হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ ও ইতিহাস গ্রন্থসমূহে ছহীহ সনদসহ এমন অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে যে, একজন নানী বা দাদীর বয়সই হতো ২১ বছর। অর্থাৎ বাল্যবিবাহ ঘরে ঘরে বিরাজমান ছিলো। হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “সুনানে কুবরা বায়হাক্বীতে” বর্ণনা করেছেন,
وَأَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ قِرَاءَةً عَلَيْهِ حَدَّثَنِى أَبُو أَحْمَدَ : مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الشَّعْبِىُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَرْزُنَانِىُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ طَاهِرِ بْنِ حَرْمَلَةَ حَدَّثَنِى جَدِّى حَدَّثَنِى الشَّافِعِىُّ قَالَ : رَأَيْتُ بِصَنْعَاءَ جَدَّةً بِنْتَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً ، حَاضَتْ ابْنَةَ تِسْعٍ و বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ عَسَرَتْ عَلَيْهِ حَاجَةٌ فَلْيُكْثِرْ بِالصَّلَاةِ عَلَيَّ فَإِنَّهَا تَكْشِفُ الْـهُمُوْمَ وَالْغُمُوْمَ وَتَكْثُرُ الَأَرْزَاقَ وَتَقْضِى الْـحَوَائِجَ
অর্থ: কারো জন্য কোন বিষয় যখন কঠিন হয়ে যায়, তখন সে যেন আমার প্রতি বেশি বেশি পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করে। কেননা, পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বিদূরিত হয়। রিযিক বৃদ্ধি পায় এবং প্রয়োজনসমূহ পূরণ হয়। সুবহানাল্লাহ! (আল ক্বওলুল বাদী’)
বাকি অংশ পড়ুন...












