মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র সূরা হাশর শরীফ উনার ৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেনে তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। ”
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ -নির্দেশ মুবারক মেনে চলার কথা বলেছেন এবং তিনি যে বিষয়ে নিষেধ করেছেন তা থেকে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالإِنسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لاَّ يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لاَّ يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لاَّ يَسْمَعُونَ بِهَا أُوْلَـئِكَ كَالأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُوْلَـئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ
অর্থ: আমি জিন-ইনসানের মধ্যে হতে অনেককে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। অর্থাৎ অনেকেই বদআমলের কারণে জাহান্নামী হবে। তাদের অন্তর থাকার পরও তারা বুঝবে না, চক্ষু থাকার পরও তারা দেখবে না এবং কান থাকার পরও তারা শুনবে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো। বরং তার চেয়েও নির্বোধ। এবং তারা হচ্ছে চরম গাফিল অর্থাৎ ত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈমান ও আক্বাইদই হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী যিন্দিগীর মূল বিষয়। কেননা যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার তাওহীদ বা একত্বে বিশ্বাসী নয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নুবুওওয়াত মুবারক ও রিসালত মুবারক উনার উপর যার ঈমান নেই তার পবিত্র নামায, পবিত্র রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র যাকাত ইত্যাদি কোনো ইবাদতই গ্রহণযোগ্য নয়। ইবাদত পালন ও কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে ছহীহ ঈমান ও আক্বীদা।
অতএব, পবিত্র ঈমান তথা ইসলামী আক্বাইদ উনার কোনো একটি আক্বীদা অশুদ্ধ বা ত্রুটি হয়ে গেলে আমল কবুলযোগ্য হবে ন বাকি অংশ পড়ুন...
সামগ্রিকভাবে সকল হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অপরিসীম মর্যাদা মর্তবার বিষয়ে খ্বালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ
উনারা অন্য কোন নারীর মত নন অর্থাৎ উনারা কারো মত নন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র সূরা আহযাবের ৬নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে ‘উম্মাহাতুল মু’মিনীন’ বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন-
أَلنَّبِيُّ أوْلٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهٗ أُمُّهَاتُهُمْ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ رَاٰى مِنْكُمْ مُّنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهٖ فَاِنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهٖ فَاِنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهٖ وَذٰلِكَ اَضْعَفُ الْاِيْـمَانِ.
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কেউ যখন সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার খিলাফ কোন কাজ দেখবে, তখন সে যেন তা হাত দিয়ে বাধা দেয়। যদি হাত দিয়ে বাধা দিতে সক্ষম না হয়, তাহলে সে যেন তা মুখ দিয়ে বাধ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ اَنَّهٗ كَانَ يُحَدِّثُ ذَاتَ يَوْمٍ فِى بَيْتِهٖ وَقَائِعَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْمٍ فَيَسْتَبْشِرُونَ وَيُحَمِّدُونَ اللهَ وَيُصَلُّونَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا جَاءَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَلَّتْ لَكُمْ شَفَاعَتِى .
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজগৃহে সমবেত ছাহাবীগণ উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার ঘটনাসমূহ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে কারো কোনো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না। ’ (দায়লামী শরীফ)
কাজেই, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আলাদা পরিভাষা মুবারক দ্বারা সম্বোধন করা আবশ্যক এবং আদব উনার অন্তর্ভুক্ত। মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহাপবিত্র মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْخُ فِى اَهْلِهٖ كَالنَّبِىِّ فِى اُمَّتِهٖ وَفِى رِوَايَةٍ اَلشَّيْخُ لِقَوْمِهٖ كَالنَّبِىِّ فِى اُمَّتِهٖ
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের নিকট যেরূপ সম্মানিত ও অনুসরণীয়, শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা তিনিও উনার অধীনস্থদের নিকট তদ্রƒপ সম্মানিত ও অ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حُبُّ الصَّحَابَةِ إيْمَانٌ وَ بُغْضُهُمْ كُفْرٌ
অর্থ: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান, আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। (কানযুল উম্মাল)
বাকি অংশ পড়ুন...












