‘কুফর’ শব্দের আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হচ্ছে অস্বীকার করা। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তা অস্বীকার করাই হচ্ছে কুফর বা কুফরী। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিদায়েতসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে এসেছেন। যেমন- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْـنَكُمْ
অর্থ: তোমরা কার নিকট থেকে দ্বীন তথা ইলিম গ্রহণ করছো তাকে দেখে নাও।
বাকি অংশ পড়ুন...
কারো প্রতি মুহব্বত প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ দাবি বা অংশ হচ্ছে ঐ ব্যক্তির আদেশ মেনে চলা, তার চিন্তা ও আদর্শকে জীবনে ধারণ করা।
হযরত মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে গভীর মুহব্বত মুবারক পোষণ করতেন তা উনাদের প্রতিটি আমলের মাধ্যমে নিয়মিতই প্রকাশ পেত।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার সম্মানিত মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন। তিনি দেখলেন নারী-পুরুষ পাশাপাশি পথ চলছে। তখন (নূরে মুজাসসাম হাবীবু বাকি অংশ পড়ুন...
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالسَّابِقُوْنَ الْاَوَّلُوْنَ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ وَ الْأنْصَارِ وَالَّذِيْنَ اتَّبَعُوْهُمْ بِإحْسَانٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ وَ اَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِىْ تَحْتَهَا الْأنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا اَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ .
অর্থ : হযরত মুহাজির ও আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, যাঁরা পূর্ববর্তীদের মধ্যে অগ্রগণ্য, উনারা এবং উনাদেরকে যাঁরা (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) উত্তমভাবে অনুসরণ করবে, উনাদের উপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার উপর সন্তুষ্ট। উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ ۖ فَاحْكُم بَيْنَهُم بِمَا أَنزَلَ اللَّـهُ ۖ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ ۚ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا.
অর্থ: “তাদের কাছে যে কিতাব আছে তার সত্যায়ণকারী স্বরূপ আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি হিফাযতকারীরূপে। অতঃপর আপনি তাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব অনুসারে ফায়ছালা করুন। আপনার কাছে হক্ব আসার পর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। অর্থাৎ আপনার উম্মত যেন তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ না করে। আমি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছাম্ম উনার ৬ তারিখ বিশ্ববিখ্যাত ওলীয়ে কামিল, সুলত্বানুল হিন্দ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজায়ে আ’যম চিশতী সানজরী আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সুমহান দিবস। ভারতবর্ষে মানবতার মুক্তির দিশারী হিসেবে উনার বিকল্প আর কেউ নেই। অর্থাৎ বর্বর অসভ্য হিন্দু বা মুশরিক অধ্যুষিত ভারতবর্ষে যখন বিভিন্ন জাতি ভেদের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে মানবতা, সভ্যতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছিলো, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা দয়া কর বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের ইছলাহের জন্য, হিদায়েতের জন্য প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে একজন সংস্কারক বা তাজদীদ করনেওয়ালা অর্থাৎ মুজাদ্দিদ পাঠাবেন। যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন, মানুষকে হিদায়েত করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ৭ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হিসেবে সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাই বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফিতনা-ফাসাদের সময় একটি পবিত্র সুন্নত আঁকড়ে ধরবে তার আমলনামায় একশত শহীদ উনাদের ছওয়াব লিখা হবে। ” সুবহানাল্লাহ!
অনেকে এই ছওয়াবের ব্যাপারে চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে ঈমানহারা হয়ে যায়। অথচ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
বিগত বছরের পাঠ্যবইয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীতে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে বয়ঃসন্ধির শিক্ষার নাম দিয়ে শেখানো হচ্ছে বয়ঃসন্ধী কালে নারী-পুরুষের দেহের পরিবর্তন, নারী-পুরুষের শরীর থেকে কি নির্গত হয়, কিসের আকার পরিবর্তন হয়, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ ইত্যাদি। প্রকাশ্যে ছাত্র-ছাত্র একসাথে এসব শিক্ষা প্রদান মোটেও শরীয়ত সম্মত নয়। সম্পূর্ণ হারাম।
উল্লেখ্য শরীয়তে পর্দা করা ফরয। তাই ছাত্র ও ছাত্রীদের একসাথে পাঠ দানের প্রশ্নই আসেনা। কারণ বেপর্দা হওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ। আর যে বা যারা হারামকে যায়েজ মনে করে বা বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন যে, “হে আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম! আমি যখন কোনো নির্জন স্থানে যাই, তখন ‘সম্মানিত গায়িবী নিদা মুবারক অর্থাৎ অদৃশ্য আওয়ায মুবারক’ শুনতে পাই- কে যেন আমাকে বলেন,
اَلسَّلَامُ عَلَيْكِ يَا اُمَّ سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ. اَلسَّلَامُ عَلَيْكِ يَا اُمَّ اِمَامِ الْمُرْسَلِيْنَ
অর্থ: “হে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানি বাকি অংশ পড়ুন...












