বিগত বছরের পাঠ্যবইয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীতে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে বয়ঃসন্ধির শিক্ষার নাম দিয়ে শেখানো হচ্ছে বয়ঃসন্ধী কালে নারী-পুরুষের দেহের পরিবর্তন, নারী-পুরুষের শরীর থেকে কি নির্গত হয়, কিসের আকার পরিবর্তন হয়, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ ইত্যাদি। প্রকাশ্যে ছাত্র-ছাত্র একসাথে এসব শিক্ষা প্রদান মোটেও শরীয়ত সম্মত নয়। সম্পূর্ণ হারাম।
উল্লেখ্য শরীয়তে পর্দা করা ফরয। তাই ছাত্র ও ছাত্রীদের একসাথে পাঠ দানের প্রশ্নই আসেনা। কারণ বেপর্দা হওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ। আর যে বা যারা হারামকে যায়েজ মনে করে বা বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন যে, “হে আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম! আমি যখন কোনো নির্জন স্থানে যাই, তখন ‘সম্মানিত গায়িবী নিদা মুবারক অর্থাৎ অদৃশ্য আওয়ায মুবারক’ শুনতে পাই- কে যেন আমাকে বলেন,
اَلسَّلَامُ عَلَيْكِ يَا اُمَّ سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ. اَلسَّلَامُ عَلَيْكِ يَا اُمَّ اِمَامِ الْمُرْسَلِيْنَ
অর্থ: “হে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানি বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি হারাম মাসে (যিলক্বদ, যিলহজ্জ, মুর্হরম ও রজব) তিন (৩) দিন রোযা রাখবে, তার জন্য নয় (৯) বৎসর ইবাদতের ছওয়াব লিখা হবে। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, বর্ণনাটি আমি নিজ কানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি। ”
বর্ণিত আছে, “যারা পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার মধ্যে রোযা রাখে, তাদের গুনাহ মাফের জন্য হযরত ফের বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تُطِعْ مَنْ اَغْفَلْنَا قَلْبَهٗ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ اَمْرُهٗ فُرُطًا
অর্থ: “তোমরা ঐ ব্যক্তির অনুসরণ করো না, যার ক্বলব বা অন্তর আমার সম্মানিত ও পবিত্র যিকির মুবারক থেকে গাফিল। সে তার নফস বা প্রবৃত্তির অনুসণ করে থাকে এবং তার আমলগুলো হয়ে থাকে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার খিলাফ। ” নাঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাহ্ফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاَنْ تُصَلِّيَ الْمَرْاَةُ فِيْ بَيْتِهَا خَيْرٌ مِّنْ اَنْ تُصَلِّيَ فِي حُجْرَتِـهَا،وَلَاَنْ تُصَلِّيَ فِيْ حُجْرَتِـهَا خَيْرٌ مِّنْ اَنْ تُصَلِّيَ فِي الدَّارِ وَاَنْ تُصَلِّيَ فِي الدَّارِ خَيْرٌ مِّنْ اَنْ تُصَلِّيَ فِي الْمَسْجِدِ
অর্থ : হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, মহিলাদের বদ্ধ কা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতিদিন আমাদের সমাজ নারীঘটিত ফিতনা-ফাসাদে জর্জরিত। বেশিরভাগ ফিতনা-ফাসাদের মূলে যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো- নারী। যার কারণে মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই অধিকাংশ পিতা-মাতা বোঝা মনে করে থাকে। মূলত মেয়ে সন্তান পিতা-মাতার জন্য বোঝা নয়, বরং ইহসান।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “কারো যদি তিনটা মেয়ে থাকে সে যদি উপযুক্ত শিক্ষা অর্থাৎ দ্বীনি তা’লীযম-তালকীন দিয়ে সৎপাত্র-এর কাছে বিয়ে দেয় তাহলে সে এবং আমি এইভাবে থাক বাকি অংশ পড়ুন...












