বীর মুসলিম সেনাপতি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখন বললেন- ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, আমার দেহে একটি মাত্র প্রাণ। যা এখনি চলে যাবে। যদি আমার একশ’ প্রাণ থাকতো, তাহলে আমি প্রত্যেকটি প্রাণ এভাবেই মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রাস্তায় কুরবান করে দিতাম।’ সুবহানাল্লাহ!
মুসলিম সেনাপতি উনার এ আশ্চর্যজনক উত্তরে রোম শাসক বিস্ময়াভূত হয়ে গেল। আর ভাবতে লাগলো- ‘শত বার মৃত্যুকে হাসিমুখে বরণ করে নেয়ার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তির শাস্ বাকি অংশ পড়ুন...
অর্থাৎ যখন কারো মৃত্যু এসে যাবে তখন চাইলেও সময়কে পিছানো যাবে না। নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু হবে। এজন্য সময় থাকতে দান-খয়রাত করতে হবে। পরকালে ফায়দা লাভ করার জন্য মৃত্যুর পূর্বে দুনিয়াতে থাকতেই দান করে নিজের জন্য জমা করে রাখতে হবে। আর দুনিয়াতে যা দান করবে তা পরকালে নিজের জন্যই থাকবে। দুনিয়াতে যে যত বেশি দান-সদকা করবে পরকালে তার তত বেশি নেকী জমা হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
أَقِـيْـمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللّٰهَ قَـرْضًا حَسَنًا وَمَا تُــقَدِّمُوْا لِأَنْــفُسِكُمْ مِّنْ خَـيْـرٍ تَـجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ هُوَ خَـيْـرًا وَأَعْظَمَ أَ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত প্রিয় একজন ছাহাবী যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য মাল-জান কুরবান করে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন।
আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আযম আলাইহিস সালাম তিনি রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। সে অভিযানে সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন বয়সে তরুণ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
ঘটনাক্রমে তিনি মুসলিম সৈন্যদল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّكُمْ مَالُ وَارِثِهٖ أَحَبُّ إِلَـيْهِ مِنْ مَالِهٖ؟ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ مَا مِنَّا أَحَدٌ إِلَّا مَالُـهٗ أَحَبُّ إِلَـيْهِ مِنْ مَالِ وَارِثِهٖ قَالَ فَإِنَّ مَالَهٗ مَا قَدَّمَ وَمَالُ وَارِثِهٖ مَا أَخَّرَ. (رواه بـخاری)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, তার মাল-সম্পদ থে বাকি অংশ পড়ুন...
ওহুদের ময়দানে এক নারী পরাক্রমশালী বীর পুরুষের ন্যায় যুদ্ধ করেছিলেন। এই বীর মুজাহিদার নাম ‘নাসিবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা’।
নাসিবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার স্বামী এবং পুত্রদ্বয় ওহুদের যুদ্ধে গমন করলে নাসিবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা নিশ্চেষ্টভাবে ঘরে বসে থাকা অপেক্ষা যুদ্ধে যাওয়াই শ্রেয় বলে স্থির করলেন এবং আহত মুসলমান সৈনিকদেরকে পানি প্রদান করার দায়িত্বে নিয়োজিত হলেন। কিন্তু যখন দেখলেন ব্যতিক্রম অবস্থা, তখন নাসিবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা আর স্থির থাকতে পারলেন না। এক আহত সৈনিকের হাত থেকে তরবারি গ্রহণ করে শ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَا أَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّــقُوا اللّٰـهَ وَلْـتَــنْـظُـرْ نَــفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ وَاتَّــقُوا اللّٰـهَ إِنَّ اللّٰـهَ خَبِـيْــرٌ بِـمَا تَــعْمَلُوْنَ ﴿১৮﴾ وَلَا تَكُوْنُــوْا كَالَّذِيْنَ نَسُوا اللّٰـهَ فَأَنْسَاهُمْ أَنْــفُسَهُمْ أُولٰئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ ﴿১৯﴾ سورة الـحشر
হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। প্রত্যেক ব্যক্তি যেন লক্ষ্য করে, সে আগামী দিনের জন্য কি পাঠিয়েছে। তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন তোমরা কি আমল করো। তোমরা ঐ সমস্ত লোকদের মত হয়ো না যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে গিয় বাকি অংশ পড়ুন...
হাড়ের ক্ষয়রোগ মানবদেহের বিভিন্ন হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর করে। শরীরে সবসময় ব্যথার অনুভূতি বাড়িয়ে স্বাভাবিক হাঁটাচলা, কাজকর্মে বিঘœ ঘটায়।
হাড় গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৪০ বছর বয়সের আগে হাড়ের বৃদ্ধি বেশি হয় আর ক্ষয় কম হয়। এরপর থেকে হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়, বৃদ্ধি কম হয়। হাড়ক্ষয় নির্ভর করে ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হাড়ের ঘনত্বের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, কোলাজেন ফাইবারের উপস্থিতি কেমন তার ওপর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ ক্ষয়জনিত সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।
কারণ:
বয়োবৃ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুসয়াব ইবনে উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, পিতা-মাতার পরম আদর আর ঐশ্বর্যের মধ্যে লালিত মক্কা শরীফের অন্যতম সুদর্শন যুবক ছিলেন তিনি। মা সম্পদশালী হওয়ার কারণে অত্যন্ত ভোগ বিলাসের মধ্যে উনাকে প্রতিপালন করে। তখনকার যুগে মক্কা শরীফের যত রকমের চমৎকার পোশাক ও উৎকৃষ্ট খুশবু পাওয়া যেত সবই তিনি ব্যবহার করতেন। রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে কোনভাবে উনার প্রসঙ্গ উঠলে বলতেন, “মক্কা শরীফে মুসয়াব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চেয়ে সুদর্শন এবং উৎকৃষ্ট পোশাকধারী আর কেউ ছিল না।” ঐতিহাসিকরা বলেছেন, “তিনি ছ বাকি অংশ পড়ুন...
শিশুর মুখে দাঁত উঠা ও পড়ার নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। প্রতিটি দুধ দাঁত উঠা ও পড়া এবং স্থায়ী দাঁত উঠার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যায় দাঁত উঠার নির্দিষ্ট সময়ের পরও দাঁত ওঠেনি। উঠলেও সেটি আঁকাবাঁকা।
অর্থ্যাৎ নির্দিষ্ট অ্যালাইনমে না উঠে অন্যভাবে উঠেছে। অথবা দাঁতটি নির্দিষ্ট সময় পরেও মুখে রয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে এলোমেলো দাঁত উঠার শংকা খুব বেশি থাকে। এজন্য অভিভাবকদের জানতে হবে কোন দাঁতটি কখন পড়বে।
আঁকাবাঁকা দাঁতের কারণ জানতে হবে।
শিশুর আঁকাবাঁকা দাঁতের প্রধান কারণ হচ্ছে দুধদাঁত পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের পরবর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
যখন সূরা “আর রহমান শরীফ” নাযিল হলো, তখন সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনাদের মধ্যে কে আছেন, যে এই পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ পবিত্র কা’বা শরীফে গিয়ে তিলাওয়াত করে আসতে পারবেন?’ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যদি অনুমতি বাকি অংশ পড়ুন...












