অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বা সুন্নাহ শরীফের অনুগামী না হওয়া পর্যন্ত মু’মিনে কামিল বা পরিপূর্ণ মু’মিন হওয়া যাবে না।
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ مُعَاوِيَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِـنْـتَانِ وَسَـبْـعُوْنَ فِـىْ النَّارِ وَ وَاحِدَةٌ فِـىْ الـجَنَّـةِ وَهِىَ الْـجَمَاعَةُ وَاَنَّهٗ سَيَخْرُجُ فِـىْ اُمَّتِىْ اَقْـوَامٌ يَــتَجَارٰى بِـهِمْ تِلْكَ الاَهْوَاءُ كَمَا يَــتَجَارٰى الْكَلْبُ بِصَاحِبِهٖ لَايَــبْـقٰى مِنْهُ عِرْقٌ وَ لَامَفْصَلٌ اِلَّا دَخَلَهٗ. (رواه أحمد وأبو داؤد)
হযরত মুয়াব বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষ নফসের অনুসরণ কখন করে এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
فَإِنْ لَّـمْ يَسْتَجِـيْـبُـوْا لَكَ فَاعْلَمْ أَنَّـمَا يَـتَّبِعُوْنَ أَهْوَاءَهُمْ وَمَنْ أَضَلُّ مِـمَّنِ اتَّــبَعَ هَوَاهُ بِغَيْرِ هُدًى مِّنَ اللّٰهِ إِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِيـْنَ ﴿৫০﴾ سورة القصص
যদি তারা আপনার ডাকে সাড়া না দেয়; জেনে রাখুন, তারা তাদের নফসের বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। ঐ ব্যক্তিই সর্বাধিক গোমরাহ যে মহান আল্লাহ পাক উনার হিদায়েত উনার পরিবর্তে তার নফসের বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি যালিমদেরকে হিদায়েত দান করেন না। নাঊযুবিল্লাহ! [সূরা ক্বছাছ শরী বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَتَـخَوَّفُ عَلٰى أُمَّتِـيْ اَلْـهَوٰى وَ طُوْلُ الْأَمَلِ فَأَمَّا الْـهَوٰى فَـيَصُدُّ عَنِ الْـحَقِّ وَ أَمَّا طُوْلُ الْأَمَلِ فَـيُـنْسِي الْاٰخِرَةَ وَ هٰذِهِ الدُّنْــيَا مُرْتَـحِلَةٌ ذَاهِبَةٌ وَ هٰذِهِ الْاٰخِرَةُ مُرْتَـحِلَةٌ قَادِمَةٌ وَ لِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْـهُمَا بَـنُـوْنَ فَإِنِ اسْتَطَعْـتُمْ أَنْ لَا تَكُوْنُـوْا مِنْ بَنِـي الدُّنْـيَا فَافْـعَلُوْا فَإِنَّكُمُ الْيَـوْمَ فِـيْ دَارِ الْعَمَلِ وَ لَاحِسَابَ وَ أَنْــتُمْ غَدًا فِـيْ دَارِ الْـحِسَابِ وَ لَا عَمَلَ. ( رواه البيهقي فى شعب الإيـمان)
হযরত জাবির রদ্বিয়া বাকি অংশ পড়ুন...
এ রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
এ রোগের মূল লক্ষণ হলো হাঁটুতে ব্যথা, মূলত জয়েন্টে ব্যথা। হাঁটুর ব্যথা নিয়েই রোগীরা আমাদের কাছে বেশি আছে। এটা মূলত আমরা বলে থাকি বয়সজনিত সমস্যা, অর্থাৎ প্রাকৃতিক সমস্যা। রোগীদের মধ্যে অনেক সমস্যা দেখা যায়। কেউ একজন এসে বলে ইদানীং তার হাঁটু গেড়ে বসতে সমস্যা হয়, নামাজ পড়তে সমস্যা হয়। নিচে বসে তরকারি কাটা, কাপড় কাচা, বঁটিতে বসে কাজ করা অর্থাৎ মায়েরা যে নিয়মিত বসে কাজ করে ইত্যাদি করতে সমস্যা হয়। নিচে বসে কৃষকরা যে কৃষিকাজগুলো করেন সেখানে বারবার তাদের নিচে বসা লাগে, এ কাজগুলো করতে সমস্যা হয়। আগে এ কাজগুলো করতে বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি এমন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ও ইলমে লাদুন্নীপ্রাপ্ত সুমহান ইমাম ছিলেন, যাঁর কোনো মেছাল নেই। ইলমের সমস্ত শাখা প্রশাখায় উনার অসামান্য দক্ষতা, সূক্ষ¥ সমঝের কারণে সকলের মাথার তাজ ছিলেন তিনি। সেই জগদ্বিখ্যাত ইমাম, ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার যিনি সম্মানিতা মা ছিলেন, তিনি উনার যামানার একজন হক্বানী আলিম সাহেবের মাসয়ালা-মাসায়েল অনুসরণ করতেন। অর্থাৎ সেই আলিম সাহেব উনার মুকাল্লিদ ছিলেন তিনি। সে সময় ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সমস্ত আল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
مَّنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهٗ فِـيْـهَا مَا نَشَاءُ لِمَنْ نُّرِيْدُ ثُـمَّ جَعَلْنَا لَهٗ جَهَنَّمَ يَصْلَاهَا مَذْمُوْمًا مَّدْحُوْرًا ﴿১৮﴾ وَمَنْ أَرَادَ الْاٰخِرَةَ وَسَعٰى لَـهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولٰئِكَ كَانَ سَعْـيُـهُمْ مَّشْكُوْرًا ﴿১৯﴾ كُلًّا نُّـمِدُّ هٰؤُلَاءِ وَهٰـؤُلَاءِ مِنْ عَطَاءِ رَبِّكَ ۚ وَمَا كَانَ عَطَاءُ رَبِّكَ مَـحْظُوْرًا ﴿২০﴾ سورة الإسراء
যে ব্যক্তি দুনিয়া চায় আমি তাকে দুনিয়াতেই যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু দিয়ে দেই। তারপর তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাই বিতাড়িত এবং নিন্দিত অবস্থায়। নাঊযুবিল্লাহ! আর যে মু’মিন আখিরাত চায় এবং আ বাকি অংশ পড়ুন...
অস্টিওআর্থ্রাইটিস মূলত কী?:
অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মধ্যে অস্টিও শব্দের অর্থ হলো হাড়জনিত ব্যথা,আর্থ্রাইটিস শব্দের অর্থ হলো বাতজনিত ব্যথা। এর মূল বিষয়টা হলো আমাদের হাড় বা শরীরের যে জয়েন্ট থাকে সেসব জয়েন্টে প্রদাহ। এটি একটি বয়সজনিত সাধারণ সমস্যা। বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
কোন বয়সীদের এ রোগে বেশি দেখা দেয়?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত এ রোগ বেশি দেখা যায়। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের মধ্যে এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পুরুষ ও নারী উভয়েরই এ রোগ হতে পারে। কিছু গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ৪০-৪৫ শতাংশ মানুষের এ রোগ দেখা দিতে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সময় এক বৃদ্ধা মহিলা ছিল। সে ছিল উনার মুখালিফ অর্থাৎ উনার বিরুদ্ধবাদী। সে একদিন উনার এক ছাত্রকে বললো, ‘তোমাদের ইমাম সাহেব তো খুব বড় ইমাম। তিনি তো অনেক মাসয়ালা-মাসায়িলের জওয়াব দিয়ে থাকেন। আমার একটা মাসয়ালা রয়েছে, এই মাসয়ালার জওয়াব কি তিনি দিতে পারবেন?’ সেই ছাত্র বললো, ‘হে বৃদ্ধা মহিলা! আপনি উনাকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। আশা করি তিনি আপনার মাসয়ালার জওয়াব দিতে পারবেন।’
বৃদ্ধা মহিলা হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, ‘হে হযরত ইমামে আ’ বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَـنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَـعَثَ بِهٖ إِلَى الْيَمَنِ قَالَ إِيَّاكَ وَالتَّـنَـعُّمَ فَإِنَّ عِبَادَ اللّٰهِ لَيْسُوْا بِالْمُتَــنَعِّـمِـيـْنَ. (رواه البيهقي)
হযরত মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ইয়েমেনে পাঠালেন তখন বললেন: আপনি বিলাসিতা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দাগণ বিলাসী জীবনযাপন করেন না।
[ বাকি অংশ পড়ুন...
গরম কাপড়:
শীতে শিশুদের নিরাপদ রাখার প্রধান শর্ত হলো গরম কাপড় পরানো। তবে না বুঝে অস্বস্তিকর গরম কাপড় পরাবেন না। যেহেতু বড়দের চেয়ে শিশুদের শীতের অনুভূতি বেশি থাকে, তাই শীতের তীব্রতা বুঝে শিশুকে শীতের কাপড় পরাতে হবে।
শীতে শিশুর ডায়রিয়া:
শীতকালে শিশুর ডায়রিয়ার মূল কারণ খাদ্যনালিতে রোটাভাইরাসের অবস্থান। এটি মুখের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে খুব সহজেই প্রবেশ করে। শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এ সময় শিশুর স্বাভাবিক খাবার বন্ধ করা যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ২-৩ ঘণ্টা পরপর মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছোট ইস বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তাই উনাকে প্রচুর আর্থিক লেনদেন করতে হতো। অধিকাংশ শহর-নগরে উনার কাজ-কারবার ছিল, ফলে বহু লোকজনের সাথে যোগাযোগ ঘটতো। তিনি সদা-সর্বদা সতর্ক থাকতেন, যাতে উনার উপার্জিত আয়ে কোনভাবেই এক পয়সারও হারাম মাল মিশ্রিত না হয়। কেননা, এক পয়সা হারাম মাল ভক্ষণ করলে চল্লিশ দিনের ইবাদত কবুল হয় না। উনার পরহেযগারী বা তাক্বওয়া কেমন ছিল তার একটি দৃষ্টান্ত কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।
একদা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার এক কর্মচারীর নিকট কতিপয় থান কাপড় প্রেরণ করলেন এবং প্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَبـِيْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَـنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا يَـنْـتَظِرُ أَحَدُكُمْ إِلَّا غِنًى مُطْغِيًا أَوْ فَـقْرًا مُنْسِيًا أَوْ مَرَضًا مُفْسِدًا أَوْ هَرَمًا مُفْنِدًا أَوْ مَوْتًا مُـجْهِزًا أَوِ الدَّجَّالَ فَالدَّجَّالُ شَرٌّ غَائِبٌ يُـنْـتَظَرُ أَوِ السَّاعَةَ وَالسَّاعَةُ أَدْهٰى وَأَمَرُّ. (رواه الترمذى و النسائى)
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কেউ এমন ধনী হওয়ার প্রতীক্ষ বাকি অংশ পড়ুন...












