মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّـمَا بَـغْـيُكُمْ عَلٰى أَنْــفُسِكُمْ ۖ مَّتَاعَ الْـحَيَاةِ الدُّنْــيَا ۖ ثُـمَّ إِلَـيْـنَا مَرْجِعُكُمْ فَـنُـنَــبِّـئُكُمْ بِـمَا كُـنْـتُمْ تَـعْمَلُوْنَ ﴿২৩﴾ سورة يونس
হে লোক সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের বিরোধীতা তোমাদের উপরই বর্তাবে অর্থাৎ নিজেদেরই ক্ষতি করবে। তোমরা সামান্য দুনিয়াবী সম্পদ ভোগ করে নাও। তারপর তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। তোমরা যা আমল করতে, সে বিষয়ে আমি তোমাদেরকে অবহিত করবো। [সূরা ইউনূস শরীফ: ২৩]
এখানে বিরোধীতা মানে অবাধ্যতা বা নাফরমানী যা মহান আল্লাহ পাক তিনি অপছন্দ করেন। বান্দা যখন মহান আল বাকি অংশ পড়ুন...
পরকালই সকলের গন্তব্য স্থল বা চিরস্থায়ী ঠিকানা। সেখানেই সকলকে ফিরে যেতে হবে তাই দুনিয়ার উপর পরকালকেই প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী আর পরকাল চিরস্থায়ী।
বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা থাকলেও দুনিয়ায় চিরকাল থাকা যাবে না। একদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে।
তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
كُلُّ نَـفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ثُـمَّ إِلَـيْـنَا تُـرْجَعُوْنَ ﴿৫৭﴾ سورة العنكبوت
প্রত্যেকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, তারপর আমার (আল্লাহ পাক) কাছেই প্রত্যাবর্তন করবো। [সূরা আনকাবুত শরীফ: ৫৭]
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত হাবীব আযমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রথম জীবনে একজন সুদখোর ছিলেন। উনার অনেক টাকা-পয়সা ছিল। তিনি সমস্ত টাকা পয়সা সুদে খাটাতেন। প্রতিদিন দেনাদারদের থেকে তিনি কিছু না কিছু সুদ আদায় করতেন, যা দ্বারা উনার প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হতো। অর্থাৎ উনার শরীরের রক্ত-গোশত সুদের হারাম পয়সা দ্বারা পয়দা হয়েছে।
একদিন হযরত হাবীব আযমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বাড়িতে এসে দেখলেন ঘরে কোনো খাবার নেই। তখন তিনি দেনাদারদের বাড়িতে গেলেন সুদ আদায় করতে। এক বাড়ি থেকে একটি খাসির মাথা ও অন্য বাড়ি থেকে আটা, লাকড়ি ইত্যাদি নিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের দেশে অনেক শিশুই শ্বাসকষ্টে ভোগে। এ নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। নানা কারণেই শ্বাসকষ্ট হতে পারে। জন্মগত কারণ থাকতে পারে। আবার বাচ্চার থাকার পরিবেশও এর জন্য দায়ী হতে পারে।
একজন শিশু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছে, সেটি তার বাবা-মা কিংবা অভিভাবক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা আসলে কীভাবে বুঝতে পারবেন? শ্বাসকষ্ট শিশুদের একটা খুব সাধারণ রোগ। জীবনের বিভিন্ন সময়ে, শিশু তার জন্মের কোনো পর্যায়ে কোনো না কোনও ভাবে শ্বাসকষ্টে ভোগে। একটা শিশুর বুকের খাঁচা খুব দ্রুত ওঠানামা করবে। তার শ্বাসের গতি বা হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাবে। অনেক সময় বাকি অংশ পড়ুন...
এ রোগে চিকিৎসাপদ্ধতি কী?
যখন কেউ এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আসে তখন আমরা প্রথমে রোগীর ইভ্যালুয়েশন করি, রোগটা দেখি এবং বিবেচনা করি। বয়স কত, জীবনাচরণ কেমন, শরীরের কী অবস্থা, আগে থেকে কোনো রোগ আছে কিনা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আসি। এসবের ওপর ভিত্তি করে আমরা আসলে ফোকাস করি রোগীর কী হয়েছে। কেন রোগী কষ্ট পাচ্ছে। এরপর আমরা সরেজমিনে পরীক্ষা করি-রক্তশূন্যতা আছে কিনা, তার পালস কেমন। পাশাপাশি আমরা তার হাঁটু পরীক্ষা করি, ঘাড়ে সমস্যা থাকলে ঘাড় পরীক্ষা করি। এরপর আমরা দেখি তার আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা লাগবে কিনা। আমাদের যদি বিবেচনায় আসে পরীক্ষা নিরীক্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, সুলতানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, তিনি হজ্জ করেছেন অনেকবার। একবার হজ্জ সমাধা হওয়ার পর তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করলেন, ‘আয় আল্লাহ পাক! হজ্জ তো হয়ে গেলো। লক্ষ লক্ষ লোক হজ্জ করেছেন। এরমধ্যে কার হজ্জ কবুল হলো, আর কার হজ্জ কবুল হলো না, যদি দয়া করে সেটা আমাকে জানাতেন।’ মহান আল্লাহ পাক বললেন, ‘হে হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি! যেহেতু আপনি আমার ওলী, আমার বন্ধু, সুতরাং আপনার আরজু পূরণ করা হবে। আপনি জেনে রাখুন, ছয় লক্ষ লোক হজ্জ করেছে এই বছর। সকলেরই হজ্জ কব বাকি অংশ পড়ুন...
যখন কেউ এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আসে তখন আমরা প্রথমে রোগীর ইভ্যালুয়েশন করি, রোগটা দেখি এবং বিবেচনা করি। বয়স কত, জীবনাচরণ কেমন, শরীরের কী অবস্থা, আগে থেকে কোনো রোগ আছে কিনা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আসি। এসবের ওপর ভিত্তি করে আমরা আসলে ফোকাস করি রোগীর কী হয়েছে। কেন রোগী কষ্ট পাচ্ছে। এরপর আমরা সরেজমিনে পরীক্ষা করি-রক্তশূন্যতা আছে কিনা, তার পালস কেমন। পাশাপাশি আমরা তার হাঁটু পরীক্ষা করি, ঘাড়ে সমস্যা থাকলে ঘাড় পরীক্ষা করি। এরপর আমরা দেখি তার আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা লাগবে কিনা। আমাদের যদি বিবেচনায় আসে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করলেও চলবে তখন ওষুধ বাকি অংশ পড়ুন...
একবার কিছু লোক কোথাও থেকে অনেক ছাগল লুট করে কূফায় নিয়ে এলো এবং সেগুলোকে কূফার বাজারে বিক্রি করে দিল। তখন লুটের ছাগলগুলো কূফার অন্য সব ছাগলের সঙ্গে মিশে গেল। তাই লুটের ছাগল আলাদা করে চেনার কোনো উপায় ছিল না। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এ ঘটনা জানতে পেরে লোকদের জিজ্ঞেস করলেন, একটি ছাগল সর্বোচ্চ কত বছর জীবিত থাকতে পারে?
লোকেরা বলল, সর্বোচ্চ সাত বছর।
এরপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কূফায় অবস্থানকালে সাত বছর পর্যন্ত ছাগলের কোনো গোশত খেলেন না। কারণ, উনার কাছে লুট বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মালেক দীনার রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি দামেশক নগরীর একজন ধনী অধিবাসী ছিলেন। তিনি হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নির্মিত দামেশক জামে মসজিদে এক বছর ই’তিকাফ করেছিলেন। উনার উদ্দেশ্য ছিল সেই মসজিদের মুতাওয়াল্লী হওয়া। তিনি আশা করেছিলেন, যদি তিনি সেখানে ইবাদতে মশগুল থাকেন তবে সবাই বিশ্বাস করে উনাকে মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করবেন। তিনি সর্বক্ষণ নামাযে ও ইবাদতে মশগুল থাকতেন। এভাবে এক বছর অতিবাহিত হয়ে যায়।
একদিন রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য ওযূ করার উদ্দেশ্যে তিনি মসজিদ থেকে বের হলেন। হঠাৎ শুনতে পেলেন, কে যেন বলছে বাকি অংশ পড়ুন...
এই নাজাতপ্রাপ্ত দলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো উনারা আক্বীদা-আমল, ইবাদত-বন্দেগী, স্বভাব-চরিত্র ও আচার-ব্যবহার সর্বদিক থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নকারী হবেন। উনাদের নিকট দ্বীনের ব্যাপারে কোনো বিদয়াত খুঁজে পাওয়া যাবে না। উনারা মহান আল্লাহ পাক এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে সর্বোচ্চ আদব রক্ষা করে চলবেন।
আর দ্বিতীয় বিষয়টি হলো দীর্ঘ আকাক্সক্ষা। মানুষের আকাক্সক্ষা হলো দুনিয়াতে অনেকদিন বেঁচে থাকবে, অনেক ধন-সম বাকি অংশ পড়ুন...
একবার শাসক হারুনুর রশীদের দরবারে ঐ যুগের বিখ্যাত বুযুর্গ হযরত সুলাইমান ইবনে হরব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাশরীফ আনলেন। কাজের ফাঁকে শাসকের পানির পিপাসা লাগল। শাসক খাদেমকে বললেন, আমাকে পানি দাও। খাদেম একটি গ্লাসে ঠা-া পানি এনে শাসকের দিকে বাড়িয়ে দিলেন।
শাসক হারুনুর রশীদ তার হাত থেকে পানির গ্লাস নিতেই হযরত সুলাইমান ইবনে হরব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে শাসক! একটু থামুন। শাসক থেমে গেলেন।
হযরত সুলাইমান ইবনে হরব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমাকে একটি কথা বলুন, আপনার এখন পিপাসা লেগেছে; যদি এমন এক সময় আসে যে, আপনার এমন পিপাসা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি যিনি হাম্বলী মাযহাবের ইমাম। তিনি একবার কিছু আটা এনে উনার খাদিমের কাছে দিলেন রুটি বানানোর জন্য এবং তাড়াতাড়ি করে রুটি বানিয়ে দিতে বললেন। কারণ ক্ষুধা লেগেছে। খাদিম মনে মনে চিন্তা করলেন, উনার যেহেতু ক্ষুধা লেগেছে তাই তাড়াতাড়ি রুটি তৈরি করে উনার সামনে পেশ করি। তারপর তিনি তাড়াতাড়ি রুটি তৈরি করে সামনে পেশ করার পরে হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, এত তাড়াতাড়ি কি করে রুটি তৈরি করলে? লবনই বা কোথায় পেলে? আর আগুনই বা কোথায় পেলে? উনাকে বলা হলো, হুযূর! মূলতঃ তাড়াতাড়ি কর বাকি অংশ পড়ুন...












